ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
গতকাল (১৫ আগস্ট) থেকে ফেসবুকে একটি নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘শোক দিবসের দোয়া মাহফিলে নাচ গান চলছে।’
ফ্যাক্টচেক
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছরই জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবারই এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হাস্যরস ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
ভিডিওটি ঝাপসা হওয়ায় নৃত্যরত নারীর পেছনে থাকা ব্যানারের সব লেখা স্পষ্ট বোঝা যায় না। তবে ব্যানারের শিরোনামে যে ‘দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা’ লেখা, সেটি স্পষ্ট। ওই ব্যানারের ওপরের দিকে পাশাপাশি সাতজন মানুষের ছবি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের ছবিও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। অবশ্য ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবিটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ২ মার্চ ফেসবুকে প্রকাশিত ওই অনুষ্ঠানের আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে একজন নারীশিল্পী ‘ও আমার বাংলা মা তোর’ গানটি গাইছিলেন। মঞ্চের ব্যানারে লেখা, প্রধান অতিথি জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল আজিজুর রহমান এবং প্রধান বক্তা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মিন্টু। অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সৌদি আরব ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেম। ব্যানারের ওপরের দিকে থাকা ছবিগুলো সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের।
অতিথির নাম, ব্যানারের শিরোনামের কি–ওয়ার্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি প্রথম আলোর দূর পরবাস বিভাগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সৌদি আরবের জেদ্দা শাখার উদ্যোগে জেদ্দায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল বিজয় র্যালি, শিশু-কিশোরদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। ওই প্রতিবেদনের তথ্যের সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির ব্যানারে থাকা অতিথিদের নাম ও অনুষ্ঠানের বিষয় হুবহু মিলে যায়। ফেসবুকেও এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ ও গান পরিবেশনের বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু অস্পষ্ট ভিডিও প্রচার করে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন বলে দাবি করায় ভিডিওটি নেতিবাচক ভাবে ভাইরাল হয়েছে। ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও দোয়া মাহফিল লেখা থাকায় অনেকেই বিশ্বাস করেছেন যে, এটি শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ধারণ করা।
সিদ্ধান্ত
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠানের। ২০১৪ সালে সৌদি আরব মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠানে ভিডিওটি ধারণ করা।
গতকাল (১৫ আগস্ট) থেকে ফেসবুকে একটি নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘শোক দিবসের দোয়া মাহফিলে নাচ গান চলছে।’
ফ্যাক্টচেক
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছরই জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবারই এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হাস্যরস ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
ভিডিওটি ঝাপসা হওয়ায় নৃত্যরত নারীর পেছনে থাকা ব্যানারের সব লেখা স্পষ্ট বোঝা যায় না। তবে ব্যানারের শিরোনামে যে ‘দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা’ লেখা, সেটি স্পষ্ট। ওই ব্যানারের ওপরের দিকে পাশাপাশি সাতজন মানুষের ছবি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের ছবিও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। অবশ্য ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবিটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ২ মার্চ ফেসবুকে প্রকাশিত ওই অনুষ্ঠানের আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে একজন নারীশিল্পী ‘ও আমার বাংলা মা তোর’ গানটি গাইছিলেন। মঞ্চের ব্যানারে লেখা, প্রধান অতিথি জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল আজিজুর রহমান এবং প্রধান বক্তা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মিন্টু। অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সৌদি আরব ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেম। ব্যানারের ওপরের দিকে থাকা ছবিগুলো সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের।
অতিথির নাম, ব্যানারের শিরোনামের কি–ওয়ার্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি প্রথম আলোর দূর পরবাস বিভাগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সৌদি আরবের জেদ্দা শাখার উদ্যোগে জেদ্দায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল বিজয় র্যালি, শিশু-কিশোরদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। ওই প্রতিবেদনের তথ্যের সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির ব্যানারে থাকা অতিথিদের নাম ও অনুষ্ঠানের বিষয় হুবহু মিলে যায়। ফেসবুকেও এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ ও গান পরিবেশনের বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু অস্পষ্ট ভিডিও প্রচার করে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন বলে দাবি করায় ভিডিওটি নেতিবাচক ভাবে ভাইরাল হয়েছে। ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও দোয়া মাহফিল লেখা থাকায় অনেকেই বিশ্বাস করেছেন যে, এটি শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ধারণ করা।
সিদ্ধান্ত
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠানের। ২০১৪ সালে সৌদি আরব মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠানে ভিডিওটি ধারণ করা।
ভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
১ দিন আগেসামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
২ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
৩ দিন আগে