ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি মহানবীর (সা.) কার্টুন আঁকা বিতর্কিত কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কসের সড়ক দুর্ঘটনার ছবি।
গত ৩ অক্টোবর সুইডেনে একটি শহরের কাছে লার্স ভিল্কসের গাড়ি ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িতে থাকা দুই পুলিশসহ তাঁর মৃত্যু হয়। ট্রাকচালক আহত হন। কিন্তু বাংলাদেশে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যে ছবিটি এই দুর্ঘটনার বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি আসলে অন্য দুর্ঘটনার।
ফেসবুকে ছবি ও ক্যাপশনে দেওয়া তথ্য থেকে দুটি বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এক- দুর্ঘটনার ছবিটি ভিন্ন একটি ঘটনার, দুই- লার্স ভিল্কসকে বহনকারী গাড়িটি সুইডেনে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, ফ্রান্সে নয়।
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবিটি ছয় বছর আগের। ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় হংকংয়ে বসবাসরত একই পরিবারের চার জন মার্কিন নাগরিক নিহত হন। তাঁরা নিউজিল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছবিটি সেই দুর্ঘটনার।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজ টকজবি-এ ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনাস্থলেই ওয়ারেন লি, অ্যাসুন লি ও তাঁদের ২০ বছর বয়সী মেয়ে জুলিয়া লি নিহত হন।
একই সংবাদমাধ্যমে ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত অন্য একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনায় আহত পরিবারের অন্য আরেকজন সদস্য গ্রিফিন লি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওই প্রতিবেদনে পুলিশের বরাতে বলা হয়, জুলিয়া লির নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। মেয়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন পরিবারের অন্য তিন সদস্য।
ড্রাইভিং সিটে বসা জুলিয়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত লেনে চলে এসেছিল। ফলে অপর পাশ দিয়ে আসা গাছের গুঁড়ি ভর্তি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। পেছনের সিটে বসা জুলিয়ার বাবা-মার সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না।
নিউজিল্যান্ডের ওই দুর্ঘটনার ছবি ব্যবহার করে লার্স ভিল্কসের একটি পোর্ট্রেট ইনসেটে বসিয়ে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা দুর্ঘটনার তথ্য সঠিক হলেও দুর্ঘটনার স্থান লেখা হয়েছে ফ্রান্স।
কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই কার্টুনিস্ট সুইডেনের মার্কারিড শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
সংবাদমাধ্যম ইনসাইডার ও নিউ ইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লার্স ভিল্কসের ওই দুর্ঘটনার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটি তুলেছেন রয়টার্স এর সাংবাদিক জোহান নিলসন।
২০০৭ সালে ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভিল্কসের আঁকা মহানবীর (সা.) কার্টুনটি মুসলমানদের ক্ষুব্ধ করেছিল। এই কার্টুনের জন্য দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রেডরিক রেইনফেল্টকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হয়েছিল। এরপর ইরাকের আল কায়েদা সেই কার্টুনিস্টের মাথার দাম ১ লাখ ডলার ঘোষণা করে।
এর আগে ২০১৫ সালে একটি অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন ভিল্কস। ৭৫ বছর বয়সী এ কার্টুনিস্ট প্রাণনাশের হুমকির কারণে আগে থেকেই পুলিশি পাহারায় চলাচল করতেন।
সিদ্ধান্ত
গত ৩ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিতর্কিত কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস। সেই দুর্ঘটনার ছবি বলে দাবি করে যে ছবিটি বাংলাদেশে ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে, সেটি আসলে ছয় বছর আগে নিউজিল্যান্ডের একটি সড়ক দুর্ঘটনার ছবি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি মহানবীর (সা.) কার্টুন আঁকা বিতর্কিত কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কসের সড়ক দুর্ঘটনার ছবি।
গত ৩ অক্টোবর সুইডেনে একটি শহরের কাছে লার্স ভিল্কসের গাড়ি ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িতে থাকা দুই পুলিশসহ তাঁর মৃত্যু হয়। ট্রাকচালক আহত হন। কিন্তু বাংলাদেশে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যে ছবিটি এই দুর্ঘটনার বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি আসলে অন্য দুর্ঘটনার।
ফেসবুকে ছবি ও ক্যাপশনে দেওয়া তথ্য থেকে দুটি বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এক- দুর্ঘটনার ছবিটি ভিন্ন একটি ঘটনার, দুই- লার্স ভিল্কসকে বহনকারী গাড়িটি সুইডেনে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, ফ্রান্সে নয়।
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবিটি ছয় বছর আগের। ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় হংকংয়ে বসবাসরত একই পরিবারের চার জন মার্কিন নাগরিক নিহত হন। তাঁরা নিউজিল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছবিটি সেই দুর্ঘটনার।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজ টকজবি-এ ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনাস্থলেই ওয়ারেন লি, অ্যাসুন লি ও তাঁদের ২০ বছর বয়সী মেয়ে জুলিয়া লি নিহত হন।
একই সংবাদমাধ্যমে ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত অন্য একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনায় আহত পরিবারের অন্য আরেকজন সদস্য গ্রিফিন লি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওই প্রতিবেদনে পুলিশের বরাতে বলা হয়, জুলিয়া লির নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। মেয়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন পরিবারের অন্য তিন সদস্য।
ড্রাইভিং সিটে বসা জুলিয়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত লেনে চলে এসেছিল। ফলে অপর পাশ দিয়ে আসা গাছের গুঁড়ি ভর্তি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। পেছনের সিটে বসা জুলিয়ার বাবা-মার সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না।
নিউজিল্যান্ডের ওই দুর্ঘটনার ছবি ব্যবহার করে লার্স ভিল্কসের একটি পোর্ট্রেট ইনসেটে বসিয়ে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা দুর্ঘটনার তথ্য সঠিক হলেও দুর্ঘটনার স্থান লেখা হয়েছে ফ্রান্স।
কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই কার্টুনিস্ট সুইডেনের মার্কারিড শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
সংবাদমাধ্যম ইনসাইডার ও নিউ ইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লার্স ভিল্কসের ওই দুর্ঘটনার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটি তুলেছেন রয়টার্স এর সাংবাদিক জোহান নিলসন।
২০০৭ সালে ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভিল্কসের আঁকা মহানবীর (সা.) কার্টুনটি মুসলমানদের ক্ষুব্ধ করেছিল। এই কার্টুনের জন্য দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রেডরিক রেইনফেল্টকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হয়েছিল। এরপর ইরাকের আল কায়েদা সেই কার্টুনিস্টের মাথার দাম ১ লাখ ডলার ঘোষণা করে।
এর আগে ২০১৫ সালে একটি অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন ভিল্কস। ৭৫ বছর বয়সী এ কার্টুনিস্ট প্রাণনাশের হুমকির কারণে আগে থেকেই পুলিশি পাহারায় চলাচল করতেন।
সিদ্ধান্ত
গত ৩ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিতর্কিত কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস। সেই দুর্ঘটনার ছবি বলে দাবি করে যে ছবিটি বাংলাদেশে ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে, সেটি আসলে ছয় বছর আগে নিউজিল্যান্ডের একটি সড়ক দুর্ঘটনার ছবি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
ভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
১ দিন আগেসামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
২ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
৩ দিন আগে