ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
২৮৬ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান শেষে গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পৃথিবীতে ফিরে আসেন আমেরিকান মহাকাশচারী বুচ উইলমোর ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস। তাঁরা গত বছরের জুন মাসে আট দিনের একটি মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ছিলেন। তবে কারিগরি সমস্যার কারণে তাঁদের ২৮৬ দিন থাকতে হয়।
সুনিতা উইলিয়ামসকে নিয়ে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। Kolkata Canvas নামে ফেসবুক পেজ থেকে ১৯ মার্চ রাত ১০টা ২৭ মিনিটে পোস্ট করা ছবিটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে।
এটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইনি সুনীতা উইলিয়ামস! ভারতীয় বংশোদ্ভূত (গুজরাট) মার্কিন নভোশ্চর। দীর্ঘ সাড়ে নয় মাস মহাকাশে থেকে গবেষণা চালিয়ে আজ সফল ভাবে পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন! যারা দু-পাতা বিজ্ঞান পড়ে নিজেদের বিরাট নাস্তিক মনে করেন, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রশ্ন তোলেন, নিজেদের বিশাল বড়ো বিজ্ঞানী ভেবে ফেলেন, এই ছবিটা তাদের জন্য।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টটিতে ২ লাখ ৩০ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে, ৬ হাজার ৪০০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৮ হাজার ৭০০।
ছবিটির বিষয়ে জানতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ২০১৩ সালের ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় সুনিতা উইলিয়ামস ভারতের গুজরাটে তাঁর পৈতৃক গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেছিলেন।
এসব তথ্যসূত্র গুগলে সার্চ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস তিন দিনের সফরে ভারতের গুজরাটে পৌঁছান। গুজরাটের মেহসানার ঝুলাসনে তিনি তাঁর পৈতৃক গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সুনিতা উইলিয়ামসের বাবার নাম দীপক পান্ডিয়া। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সুপরিচিত স্নায়ু বিশেষজ্ঞ। ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত তিনি এই গ্রামেই বসবাস করতেন।
সুনিতার ওই সফরের বর্ণনায় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুব আনন্দিত ছিলেন তিনি। তাঁকে মানুষের আগ্রহ বেশ উপভোগ করছিলেন। গ্রামের শিশুরা তাঁর সামনে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করে।
২০০৭ সালে প্রথমবার ওই গ্রামে গিয়েছিলেন সুনিতা। এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার গ্রামে যান তিনি। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন গুজরাট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হারেন পান্ডিয়ার স্ত্রী জাগৃতি পান্ডিয়া এবং তাঁর চাচাতো ভাই দিনেশ রাওয়াল।
তাঁরা স্থানীয় দেবতার মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন এবং গ্রামবাসীর সঙ্গে খানিকটা সময় কাটান। মহাকাশ থেকে সুনিতার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য মন্দিরে প্রার্থনা করা হয়।
একই দৃশ্য ছবির স্টকবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যালামিতে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
হিন্দুস্তান টাইমসে ১৯ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সুনিতা উইলিয়ামসের বাবা দীপক পান্ডিয়া, তিনি ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা। সুনিতা উইলিয়ামসের মায়ের নাম উরসুলিন বনি জালোকার। তাঁর মা একজন স্লোভেনীয়-আমেরিকান। সুনিতার স্বামীর নাম মাইকেল জে. উইলিয়ামস।
২৮৬ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান শেষে গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পৃথিবীতে ফিরে আসেন আমেরিকান মহাকাশচারী বুচ উইলমোর ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস। তাঁরা গত বছরের জুন মাসে আট দিনের একটি মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ছিলেন। তবে কারিগরি সমস্যার কারণে তাঁদের ২৮৬ দিন থাকতে হয়।
সুনিতা উইলিয়ামসকে নিয়ে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। Kolkata Canvas নামে ফেসবুক পেজ থেকে ১৯ মার্চ রাত ১০টা ২৭ মিনিটে পোস্ট করা ছবিটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে।
এটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইনি সুনীতা উইলিয়ামস! ভারতীয় বংশোদ্ভূত (গুজরাট) মার্কিন নভোশ্চর। দীর্ঘ সাড়ে নয় মাস মহাকাশে থেকে গবেষণা চালিয়ে আজ সফল ভাবে পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন! যারা দু-পাতা বিজ্ঞান পড়ে নিজেদের বিরাট নাস্তিক মনে করেন, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রশ্ন তোলেন, নিজেদের বিশাল বড়ো বিজ্ঞানী ভেবে ফেলেন, এই ছবিটা তাদের জন্য।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টটিতে ২ লাখ ৩০ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে, ৬ হাজার ৪০০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৮ হাজার ৭০০।
ছবিটির বিষয়ে জানতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ২০১৩ সালের ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় সুনিতা উইলিয়ামস ভারতের গুজরাটে তাঁর পৈতৃক গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেছিলেন।
এসব তথ্যসূত্র গুগলে সার্চ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস তিন দিনের সফরে ভারতের গুজরাটে পৌঁছান। গুজরাটের মেহসানার ঝুলাসনে তিনি তাঁর পৈতৃক গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সুনিতা উইলিয়ামসের বাবার নাম দীপক পান্ডিয়া। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সুপরিচিত স্নায়ু বিশেষজ্ঞ। ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত তিনি এই গ্রামেই বসবাস করতেন।
সুনিতার ওই সফরের বর্ণনায় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুব আনন্দিত ছিলেন তিনি। তাঁকে মানুষের আগ্রহ বেশ উপভোগ করছিলেন। গ্রামের শিশুরা তাঁর সামনে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করে।
২০০৭ সালে প্রথমবার ওই গ্রামে গিয়েছিলেন সুনিতা। এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার গ্রামে যান তিনি। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন গুজরাট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হারেন পান্ডিয়ার স্ত্রী জাগৃতি পান্ডিয়া এবং তাঁর চাচাতো ভাই দিনেশ রাওয়াল।
তাঁরা স্থানীয় দেবতার মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন এবং গ্রামবাসীর সঙ্গে খানিকটা সময় কাটান। মহাকাশ থেকে সুনিতার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য মন্দিরে প্রার্থনা করা হয়।
একই দৃশ্য ছবির স্টকবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যালামিতে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
হিন্দুস্তান টাইমসে ১৯ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সুনিতা উইলিয়ামসের বাবা দীপক পান্ডিয়া, তিনি ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা। সুনিতা উইলিয়ামসের মায়ের নাম উরসুলিন বনি জালোকার। তাঁর মা একজন স্লোভেনীয়-আমেরিকান। সুনিতার স্বামীর নাম মাইকেল জে. উইলিয়ামস।
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১ দিন আগেবিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১৫ দিন আগেপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
১৬ দিন আগেপিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর এলাকায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তাঁর ভাবি মৌকলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
১৭ দিন আগে