গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় হাতিটানা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে পোলট্রি খামারসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা। শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলা বাজার হতে মাগুরখালী ইউনিয়নের কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর প্রায় ৮ কিলোমিটারের দুই পাশ দিয়ে এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন স্থানীয়রা। এর ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর আগে হাতিটানা নদীর মুখে সালতা নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে সেই থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বাইলহারা স্লুইচ গেট। কিন্তু মাদারতলা বাজার থেকে শুরু করে ব্রহ্মারবেড়, ঝরঝরিয়া, শুকোরমারি ও কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর দুই পাশ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অনেক স্থাপনা।
বাইলহারা গেটের মোহনায় কোড়াকাটা এলাকায় নদীটির প্রায় সিংহভাগ অবৈধ দখলে চলে গেছে। এখানে হেতালবুনিয়া গ্রামের কালিপদ মণ্ডলের ছেলে স্বদেশ মণ্ডল প্রায় এক একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে ৫টি পোলট্রি খামার গড়ে তুলেছেন। এতে একদিকে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া এলাকার প্রভাবশালী বসুন সানা, বিশ্বজিৎ মিস্ত্রিসহ অনেকেই নদী দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে স্বদেশ মণ্ডল জানান, নদীর জায়গা দখল করেছি ঠিক। তবে সরকার আমাদের আট বছর আগে ৫০ শতক জমি একসনা বন্দোবস্ত দেয়। মূলত সেখানে পোলট্রি খামার করেছি। ৫টি খামারে ৩ হাজার ডিমের মুরগি আছে। সরকার যদি নদী খনন করে তখন আমার খামার সরিয়ে নেব।
এ বিষয়ে স্থানীয় শিবপদ গাইন বলেন, বর্ষাকালে আমাদের উঠান তলিয়ে যায়। নদী দিয়ে পানি সরে যাওয়ার কায়দা নেই দখলদারদের কারণে। আমরা চাই অবৈধ দখলমুক্তসহ নদীটি খনন করা হোক। তাহলে অন্তত ডোবার হাত থেকে বাঁচতে পারব।
শিক্ষক অমরেন্দু মণ্ডল বলেন, অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে হাতিটানা নদীটি। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একটাই পথ এই নদী। নদীর একদিকে সিলটেড করা হয়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দখল উৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু মানুষ।
এ প্রসঙ্গে মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, সালতা ও হাতিটানা নদী সিলটেড হয়ে যাওয়ায় এবং নদী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে এসব নদী দখলমুক্ত করে নদী খনন করা একান্ত জরুরি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, হাতিটানা নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে হরিভদ্রা নদী সিলটেড হওয়ায় বিল সিংগায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষাকালে পানিতে নষ্ট হয় বিভিন্ন ধরনের সবজি। অনেক বসতবাড়ির আঙিনাতেও পানি উঠে। তাই বিল বাঁচাতে বিএডিসি’র সহায়তা নিয়ে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নাধীন ২৫নং পোল্ডারের আওতায় সিংগার বিল। এখানে প্রায় ২ হাজার একর জমি ও জলাশয় রয়েছে। চিংড়ি ঘেরের উপর নির্ভরশীল এখানকার প্রায় প্রতিটি মানুষ।
ডুমুরিয়ায় হাতিটানা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে পোলট্রি খামারসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা। শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলা বাজার হতে মাগুরখালী ইউনিয়নের কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর প্রায় ৮ কিলোমিটারের দুই পাশ দিয়ে এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন স্থানীয়রা। এর ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর আগে হাতিটানা নদীর মুখে সালতা নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে সেই থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বাইলহারা স্লুইচ গেট। কিন্তু মাদারতলা বাজার থেকে শুরু করে ব্রহ্মারবেড়, ঝরঝরিয়া, শুকোরমারি ও কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর দুই পাশ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অনেক স্থাপনা।
বাইলহারা গেটের মোহনায় কোড়াকাটা এলাকায় নদীটির প্রায় সিংহভাগ অবৈধ দখলে চলে গেছে। এখানে হেতালবুনিয়া গ্রামের কালিপদ মণ্ডলের ছেলে স্বদেশ মণ্ডল প্রায় এক একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে ৫টি পোলট্রি খামার গড়ে তুলেছেন। এতে একদিকে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া এলাকার প্রভাবশালী বসুন সানা, বিশ্বজিৎ মিস্ত্রিসহ অনেকেই নদী দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে স্বদেশ মণ্ডল জানান, নদীর জায়গা দখল করেছি ঠিক। তবে সরকার আমাদের আট বছর আগে ৫০ শতক জমি একসনা বন্দোবস্ত দেয়। মূলত সেখানে পোলট্রি খামার করেছি। ৫টি খামারে ৩ হাজার ডিমের মুরগি আছে। সরকার যদি নদী খনন করে তখন আমার খামার সরিয়ে নেব।
এ বিষয়ে স্থানীয় শিবপদ গাইন বলেন, বর্ষাকালে আমাদের উঠান তলিয়ে যায়। নদী দিয়ে পানি সরে যাওয়ার কায়দা নেই দখলদারদের কারণে। আমরা চাই অবৈধ দখলমুক্তসহ নদীটি খনন করা হোক। তাহলে অন্তত ডোবার হাত থেকে বাঁচতে পারব।
শিক্ষক অমরেন্দু মণ্ডল বলেন, অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে হাতিটানা নদীটি। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একটাই পথ এই নদী। নদীর একদিকে সিলটেড করা হয়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দখল উৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু মানুষ।
এ প্রসঙ্গে মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, সালতা ও হাতিটানা নদী সিলটেড হয়ে যাওয়ায় এবং নদী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে এসব নদী দখলমুক্ত করে নদী খনন করা একান্ত জরুরি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, হাতিটানা নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে হরিভদ্রা নদী সিলটেড হওয়ায় বিল সিংগায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষাকালে পানিতে নষ্ট হয় বিভিন্ন ধরনের সবজি। অনেক বসতবাড়ির আঙিনাতেও পানি উঠে। তাই বিল বাঁচাতে বিএডিসি’র সহায়তা নিয়ে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নাধীন ২৫নং পোল্ডারের আওতায় সিংগার বিল। এখানে প্রায় ২ হাজার একর জমি ও জলাশয় রয়েছে। চিংড়ি ঘেরের উপর নির্ভরশীল এখানকার প্রায় প্রতিটি মানুষ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪