সম্পাদকীয়
গত শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত হয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের অবদান, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলন। আয়োজক ছিল ব্যবসায়ীদের পক্ষে এফবিসিসিআই। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। তাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শনির্বিশেষে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা চান।
এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধৈর্য ধরে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সব সময় ব্যবসায়ীদের পাশে আছি।’
ব্যবসায়ী নেতাদের বক্তব্য সংবাদপত্রে গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের আলোচনাও হচ্ছে।
ব্যবসায়ী নেতারা আবার আওয়ামী লীগের সরকার চেয়েছেন। এটা তাঁরা চাইতেই পারেন। কিন্তু কীভাবে সেটা চান, তা কি কেউ স্পষ্ট করে বলেছেন? ব্যবসায়ী নেতারা কি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারকে আগামী মেয়াদে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চান? নাকি এফবিসিসিআই নেতৃত্ব যেভাবে বিনা ভোটে পদাধিকারী হন, সেই রীতিতেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে চান? নির্বাচনের কোনো কথা ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন বলে খবর ছাপা হয়েছে কি?
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একবার কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় ফিরলেও কারও আপত্তি করার কিছু নেই।
বর্তমান সংসদ সদস্যদের ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ পেশায় ব্যবসায়ী। এর মধ্যে মহাজোট থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, এমন ব্যবসায়ী আছেন ১৭৪ জন (৬০ দশমিক ৪১ শতাংশ)।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে উন্নয়ন-অগ্রগতি অবশ্যই হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ উন্নয়নের চিত্র দৃশ্যমান। আবার এটাও ঠিক যে এই সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে লাগামহীনভাবে। কখনো যুক্তিসংগত কারণে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একশ্রেণির ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফালাভের লোভের কারণে।
যাঁরা অতিরিক্ত লাভের আশায় দেশের মানুষকে জিম্মি করতে পারেন, প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা সিন্ডিকেট করে সবাইকে জিম্মি বানাতে পারেন, জিনিসপত্রের দাম কমাতে যাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ফায়দা হয় না—তাঁরা আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকার কথা বললে সাধারণ মানুষ খুব খুশি হয় কি?
একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বলেছেন, যাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে এক-এগারোর সরকারের স্বপ্ন দেখছে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেওয়া যাবে না। এক-এগারোর সরকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জেলে পুরেছিল। এক-এগারোর মতো অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হতে দেওয়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে সঙ্গে যদি বিতর্কিত নির্বাচনের বিরুদ্ধেও কথা বলা হতো এবং জনজীবনের দুর্ভোগ কমানোর জন্য জিনিসপত্রের দাম অন্তত নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করা হতো, তাহলে সাধারণ মানুষ একাত্মবোধ করত। রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা নিজেদের স্বার্থই রক্ষা করেছেন।
গত শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত হয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের অবদান, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলন। আয়োজক ছিল ব্যবসায়ীদের পক্ষে এফবিসিসিআই। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। তাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শনির্বিশেষে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা চান।
এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধৈর্য ধরে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সব সময় ব্যবসায়ীদের পাশে আছি।’
ব্যবসায়ী নেতাদের বক্তব্য সংবাদপত্রে গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের আলোচনাও হচ্ছে।
ব্যবসায়ী নেতারা আবার আওয়ামী লীগের সরকার চেয়েছেন। এটা তাঁরা চাইতেই পারেন। কিন্তু কীভাবে সেটা চান, তা কি কেউ স্পষ্ট করে বলেছেন? ব্যবসায়ী নেতারা কি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারকে আগামী মেয়াদে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চান? নাকি এফবিসিসিআই নেতৃত্ব যেভাবে বিনা ভোটে পদাধিকারী হন, সেই রীতিতেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে চান? নির্বাচনের কোনো কথা ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন বলে খবর ছাপা হয়েছে কি?
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একবার কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় ফিরলেও কারও আপত্তি করার কিছু নেই।
বর্তমান সংসদ সদস্যদের ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ পেশায় ব্যবসায়ী। এর মধ্যে মহাজোট থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, এমন ব্যবসায়ী আছেন ১৭৪ জন (৬০ দশমিক ৪১ শতাংশ)।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে উন্নয়ন-অগ্রগতি অবশ্যই হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ উন্নয়নের চিত্র দৃশ্যমান। আবার এটাও ঠিক যে এই সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে লাগামহীনভাবে। কখনো যুক্তিসংগত কারণে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একশ্রেণির ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফালাভের লোভের কারণে।
যাঁরা অতিরিক্ত লাভের আশায় দেশের মানুষকে জিম্মি করতে পারেন, প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা সিন্ডিকেট করে সবাইকে জিম্মি বানাতে পারেন, জিনিসপত্রের দাম কমাতে যাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ফায়দা হয় না—তাঁরা আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকার কথা বললে সাধারণ মানুষ খুব খুশি হয় কি?
একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বলেছেন, যাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে এক-এগারোর সরকারের স্বপ্ন দেখছে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেওয়া যাবে না। এক-এগারোর সরকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জেলে পুরেছিল। এক-এগারোর মতো অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হতে দেওয়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে সঙ্গে যদি বিতর্কিত নির্বাচনের বিরুদ্ধেও কথা বলা হতো এবং জনজীবনের দুর্ভোগ কমানোর জন্য জিনিসপত্রের দাম অন্তত নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করা হতো, তাহলে সাধারণ মানুষ একাত্মবোধ করত। রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা নিজেদের স্বার্থই রক্ষা করেছেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫