হারুনুর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)
সারা দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। এতে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসে দিশেহারা ক্রেতা সাধারণ। অপরদিকে মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি। চাষিরা বলছেন, এ উপজেলার মরিচের খেতগুলো উঁচু থাকায় পানিতে তলিয়ে যায় নি। ফলে তাঁরা এখন লাভের মুখ দেখছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার জমি উঁচু থাকায় এ মৌসুমে কাঁচামরিচ চাষে ঝুঁকেছে অনেকেই। মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর এলাকায় ৫০ বিঘার অধিক জমিতে চাষাবাদ হতে দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব হরিপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ভালো ফলন ও লাভের আশায় নিয়মিত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় তাঁরা খুশি বলে জানান।
মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর গ্রামের চাষি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩৫ শতক জমিতে মরিচ চাষাবাদ করেছি। বাজারে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন থাকলে ১ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব।’
এই সময় মরিচের দাম বেশি থাকে বলেই এই এলাকার কামাল মিয়াও মরিচ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানকার জমি উঁচু। সহজে পানি ওঠেনা। ফলে এ মৌসুমে এখানকার অনেকেই মরিচ চাষ করেন। আমিও ২০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছি। ভালো দাম পাচ্ছি।’
চাষি আলমগীর হোসেন ও কামাল মিয়ার মতো একই এলাকার কাসেম, আসাদ মিয়া ও বাচ্চু মিয়াসহ আরও অনেকে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ চাষাবাদ করেছেন। তাঁরাও চাষি আলমগীর হোসেনের মত লাভের মুখ দেখছেন বলে জানান।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পাগলা বাজার, সাপমরা, রাধাগঞ্জ, মরজাল, রায়পুরা বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ২২০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের পক্ষে মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের কাছে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা বাজার নজরদারি জন্য প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
উপজেলার সাপমারা বাজারে ক্রেতা মোস্তাফা, সাগর ও আল আমিন জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ২৫০ টাকা ধরে মরিচ কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। মরিচ ছাড়া রান্নাও চলে না। দাম বেশি হলেও পরিমাণে কম নিতে হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার মরজাল বাজারে মরিচ কিনতে আসা হুমায়ূন কবির, কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘কি করব দাম বেশি হলেও খেতে তো হবেই। বাধ্য হয়ে নিচ্ছি। গরিব মানুষ, টাকা কম। ১ পোয়া মরিচ ৬০ টাকায় কিনলাম।’
পাগলাবাজার হাটে মরিচ বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, ‘বিভিন্ন এলাকায় মরিচের খেত ডুবে গেছে। বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট রয়েছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচের কেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবু আজ (বৃহস্পতিবার) মোকামে গিয়ে মরিচ পাইনি। বেশি দামে আনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।’
কয়েকজন পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী জানান, ‘বাজারে মরিচ নেই। আমদানি কম থাকায় মরিচের দাম বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘মরিচের দাম বৃদ্ধি সারা দেশের একই চিত্র। উপজেলায় এ মৌসুমে মরিচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকেরা। কৃষি অফিস তাঁদের সর্বদা সহায়তা করে যাচ্ছে।’
সারা দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। এতে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসে দিশেহারা ক্রেতা সাধারণ। অপরদিকে মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি। চাষিরা বলছেন, এ উপজেলার মরিচের খেতগুলো উঁচু থাকায় পানিতে তলিয়ে যায় নি। ফলে তাঁরা এখন লাভের মুখ দেখছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার জমি উঁচু থাকায় এ মৌসুমে কাঁচামরিচ চাষে ঝুঁকেছে অনেকেই। মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর এলাকায় ৫০ বিঘার অধিক জমিতে চাষাবাদ হতে দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব হরিপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ভালো ফলন ও লাভের আশায় নিয়মিত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় তাঁরা খুশি বলে জানান।
মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর গ্রামের চাষি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩৫ শতক জমিতে মরিচ চাষাবাদ করেছি। বাজারে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন থাকলে ১ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব।’
এই সময় মরিচের দাম বেশি থাকে বলেই এই এলাকার কামাল মিয়াও মরিচ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানকার জমি উঁচু। সহজে পানি ওঠেনা। ফলে এ মৌসুমে এখানকার অনেকেই মরিচ চাষ করেন। আমিও ২০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছি। ভালো দাম পাচ্ছি।’
চাষি আলমগীর হোসেন ও কামাল মিয়ার মতো একই এলাকার কাসেম, আসাদ মিয়া ও বাচ্চু মিয়াসহ আরও অনেকে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ চাষাবাদ করেছেন। তাঁরাও চাষি আলমগীর হোসেনের মত লাভের মুখ দেখছেন বলে জানান।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পাগলা বাজার, সাপমরা, রাধাগঞ্জ, মরজাল, রায়পুরা বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ২২০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের পক্ষে মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের কাছে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা বাজার নজরদারি জন্য প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
উপজেলার সাপমারা বাজারে ক্রেতা মোস্তাফা, সাগর ও আল আমিন জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ২৫০ টাকা ধরে মরিচ কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। মরিচ ছাড়া রান্নাও চলে না। দাম বেশি হলেও পরিমাণে কম নিতে হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার মরজাল বাজারে মরিচ কিনতে আসা হুমায়ূন কবির, কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘কি করব দাম বেশি হলেও খেতে তো হবেই। বাধ্য হয়ে নিচ্ছি। গরিব মানুষ, টাকা কম। ১ পোয়া মরিচ ৬০ টাকায় কিনলাম।’
পাগলাবাজার হাটে মরিচ বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, ‘বিভিন্ন এলাকায় মরিচের খেত ডুবে গেছে। বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট রয়েছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচের কেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবু আজ (বৃহস্পতিবার) মোকামে গিয়ে মরিচ পাইনি। বেশি দামে আনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।’
কয়েকজন পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী জানান, ‘বাজারে মরিচ নেই। আমদানি কম থাকায় মরিচের দাম বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘মরিচের দাম বৃদ্ধি সারা দেশের একই চিত্র। উপজেলায় এ মৌসুমে মরিচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকেরা। কৃষি অফিস তাঁদের সর্বদা সহায়তা করে যাচ্ছে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৯ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪