সম্পাদকীয়
‘বিপিসির হিসাবে গরমিল’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় শুক্রবার একটি বিশ্লেষণ ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ২০১৪-১৫ থেকে
২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত সাত বছরে মুনাফা করেছে মোট ৪২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই সাত বছরে বিপিসির ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা মুনাফার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দুই তথ্যের মধ্যে ব্যবধান ৩ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।
কেন এই গরমিল, সমস্যা কোথায়, রাষ্ট্রীয় খাতের একটি বড় প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশে এই গরমিল মেনে নেওয়া যায় কি না—এসব যৌক্তিক প্রশ্ন মুলতবি রেখে বরং যে প্রশ্নটা করা যায়, সেটা হলো, আসলে আমাদের জীবনের কোন ক্ষেত্রে হিসাবের এমন গরমিল নেই? আমরা যেন কেমন একধরনের অস্বচ্ছতার জালে জড়িয়ে পড়েছি বা পড়ছি। স্বচ্ছতা ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কিন্তু যাঁদের জবাব দেওয়ার কথা, তাঁরা মুখ খোলেন না।
দেশে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে। আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করে যখন ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে গর্ব অনুভব করছি, ঠিক তখনই সংবাদপত্রে আবার এমন খবরও আমাদের পড়তে হচ্ছে যে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি খেলার মাঠ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার এক যুগ পরেও তা বাস্তবায়িত হয় না। ২০১১ সালে প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্মুক্ত খেলার মাঠ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার ছয় বছর পর জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ওই মাঠ তৈরির কাজ শুরু হলেও আজও তা শেষ হয়নি। কারণ কী? সমস্যা কোথায়?
এমন আরও অনেক বিষয় আছে। যেমন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কথা বাদ দিলেও এই রাজধানী শহরে এমন কিছু রাস্তাঘাট আছে, যেগুলো মাসের পর মাস চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। কেন এগুলো মেরামত করে নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন করা হয় না? এগুলো শত শত কোটি টাকার প্রজেক্ট নয় বলে? এগুলো থেকে ভাগ-বাঁটোয়ারার সুযোগ কম থাকে বলে?
আপনি ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা নদী কয়েক মিনিটে এখন অতিক্রম করে দ্রুততম সময়েই হয়তো দক্ষিণের কোনো জেলা শহরে পৌঁছে যাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ শহরের প্রবেশমুখের অবস্থা তো যাচ্ছে তাই। সড়কের ছালবাকল উঠে গেছে। গাড়ি চলে গোঁত্তা খেয়ে খেয়ে। মহাসড়কের স্বস্তি কয়েক মিনিটেই ভুলিয়ে দিয়ে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। এগুলো দেখার কেউ নেই?
বড় স্থাপনা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, আঙুল তুলে বলা যায়, দেখো, আমরা এটাও পারি। কিন্তু ছোট ছোট অনেক বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে অহংকার করা যায় না, কিন্তু মানুষ খুশি হয়, সেগুলো করতে বেশি অর্থও লাগে না অথচ তা করা হয় না।
কেন এই গরমিল? এই প্রশ্নের জবাব তো কাউকে না কাউকে দিতেই হবে।
‘বিপিসির হিসাবে গরমিল’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় শুক্রবার একটি বিশ্লেষণ ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ২০১৪-১৫ থেকে
২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত সাত বছরে মুনাফা করেছে মোট ৪২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই সাত বছরে বিপিসির ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা মুনাফার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দুই তথ্যের মধ্যে ব্যবধান ৩ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।
কেন এই গরমিল, সমস্যা কোথায়, রাষ্ট্রীয় খাতের একটি বড় প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশে এই গরমিল মেনে নেওয়া যায় কি না—এসব যৌক্তিক প্রশ্ন মুলতবি রেখে বরং যে প্রশ্নটা করা যায়, সেটা হলো, আসলে আমাদের জীবনের কোন ক্ষেত্রে হিসাবের এমন গরমিল নেই? আমরা যেন কেমন একধরনের অস্বচ্ছতার জালে জড়িয়ে পড়েছি বা পড়ছি। স্বচ্ছতা ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কিন্তু যাঁদের জবাব দেওয়ার কথা, তাঁরা মুখ খোলেন না।
দেশে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে। আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করে যখন ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে গর্ব অনুভব করছি, ঠিক তখনই সংবাদপত্রে আবার এমন খবরও আমাদের পড়তে হচ্ছে যে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি খেলার মাঠ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার এক যুগ পরেও তা বাস্তবায়িত হয় না। ২০১১ সালে প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্মুক্ত খেলার মাঠ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার ছয় বছর পর জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ওই মাঠ তৈরির কাজ শুরু হলেও আজও তা শেষ হয়নি। কারণ কী? সমস্যা কোথায়?
এমন আরও অনেক বিষয় আছে। যেমন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কথা বাদ দিলেও এই রাজধানী শহরে এমন কিছু রাস্তাঘাট আছে, যেগুলো মাসের পর মাস চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। কেন এগুলো মেরামত করে নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন করা হয় না? এগুলো শত শত কোটি টাকার প্রজেক্ট নয় বলে? এগুলো থেকে ভাগ-বাঁটোয়ারার সুযোগ কম থাকে বলে?
আপনি ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা নদী কয়েক মিনিটে এখন অতিক্রম করে দ্রুততম সময়েই হয়তো দক্ষিণের কোনো জেলা শহরে পৌঁছে যাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ শহরের প্রবেশমুখের অবস্থা তো যাচ্ছে তাই। সড়কের ছালবাকল উঠে গেছে। গাড়ি চলে গোঁত্তা খেয়ে খেয়ে। মহাসড়কের স্বস্তি কয়েক মিনিটেই ভুলিয়ে দিয়ে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। এগুলো দেখার কেউ নেই?
বড় স্থাপনা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, আঙুল তুলে বলা যায়, দেখো, আমরা এটাও পারি। কিন্তু ছোট ছোট অনেক বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে অহংকার করা যায় না, কিন্তু মানুষ খুশি হয়, সেগুলো করতে বেশি অর্থও লাগে না অথচ তা করা হয় না।
কেন এই গরমিল? এই প্রশ্নের জবাব তো কাউকে না কাউকে দিতেই হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪