Ajker Patrika

সিঙ্গাইরে খাল ভরাট, কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৫৭
সিঙ্গাইরে খাল ভরাট, কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের একটি সরকারি খাল ভরাট করে দোকান নির্মাণ করায় শত শত বিঘা কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চাপড়াইল গ্রামের ওই খালটি ভরাটের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে দুই গ্রামের কৃষকেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন দুই গ্রামের কয়েক শ কৃষক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধলেশ্বরী নদীর একটি শাখা খাল জামির্ত্তা ইউনিয়নের চাপড়াইল ও জয়মন্টপ ইউনিয়নের খান বানিয়াড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। চাপড়াইল গ্রামে ওই খালের একটি অংশ ভরাট করে দোকান নির্মাণ ও খান বানিয়াড়া গ্রামের অংশ ভরাট করে কলাবাগান করা হয়েছে। এতে খান বানিয়াড়া ও বাটি গ্রামের শত শত বিঘা কৃষি জমিতে বর্ষার পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। পানি আটকা থাকায় বর্ষার পরবর্তী কয়েক মাসেও চাষাবাদ করা যাচ্ছে না ওই কৃষি জমিগুলো।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, খালটির চাপড়াইল গ্রামের একটি অংশ ভরাট করে ওই গ্রামের আবু বক্কর মুদি দোকান করেছেন। পাশেই আরও দুইটি পরিত্যক্ত দোকান রয়েছে। চাপড়াইল গ্রামের পাশে খান বানিয়াড়া অংশেও খালটি ভরাট করে কলাবাগান করেছেন মুন্নু ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। ওই খান বানিয়াড়া অংশে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। পাইপ ভেঙে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে।

খান বানিয়াড়া গ্রামের কৃষক মো. মুরাদ বলেন, ‘খান বানিয়াড়া গ্রামে আমার ৫ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। বর্ষার পানি আটকা পড়ে জমিগুলো বছরের বেশির ভাগ সময় পতিত পড়ে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যাটি সমাধান হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

বাটি গ্রামের কৃষক লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘বাটি চকে (ফসলের মাঠ) প্রায় শত বিঘা তিন ফসলি জমি রয়েছে। এই জমিগুলো পানিবন্দী থাকায় চাষাবাদ করতে পারছি না। চাপড়াইল ও খান বানিয়াড়া গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি খালটি ভরাট করায় দুই গ্রামের শত শত কৃষকের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে।’

খাল ভরাট করে দোকান নির্মাণকারী আবু বক্কর বলেন, ‘দোকান নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। খান বানিয়াড়া গ্রামের মুন্নু ভূঁইয়া খাল ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে।’

সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা বলেন, ‘সরকারি খাল কোনোভাবেই কেউ ভরাট করতে পারবে না। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খাল ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত