সম্পাদকীয়
দুর্নীতিই যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নীতি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কী ভাষায় তিরস্কার করলে যথাযথ হয়, তা বুঝে উঠতেও সমস্যা হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিয়ে আজকের পত্রিকায় বুধবার প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ‘রেলের সব নিয়োগেই ভেজাল’। সব নিয়োগেই যদি ভেজাল হয়, তাহলে রেলের পরিস্থিতি কেমন, তা বুঝতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। রেলের অবস্থা একসময় কাহিল হয়ে পড়েছিল। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ের সরকারগুলো রেলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছিল।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে রেলের প্রতি আবার সুদৃষ্টি দেওয়া হয়। স্থবির হয়ে পড়া রেলযোগাযোগ সচল করার জন্য নানা উদ্যোগের সঙ্গে রেলের বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়কে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, একজন পূর্ণ মন্ত্রীকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে রেলে নিয়োগ বেড়েছে এবং কোনো নিয়োগই দুর্নীতিমুক্ত হচ্ছে না। টাকাপয়সার লেনদেন ছাড়া কোনো নিয়োগ হওয়ার খবর কেউ কি বলতে পারবেন?
রেলের কালো বিড়াল ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন একসময়ের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কিন্তু তাঁর এপিএসের গাড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। তারপর অনেক সময় গেছে। রেলের মন্ত্রী বদল হয়েছেন দুজন। কিন্তু রেলে অনিয়ম-দুর্নীতির রাশ টেনে ধরার ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে বলে শোনা যায় না। বরং ২০১৬ সালে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস, ২০১৭ সালে ১৮৫ জন সিপাহি এবং ২০১৮ সালে ‘টিকিট কালেক্টর’ পদে নিয়োগেও অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, রেলে সবচেয়ে বড় নিয়োগ হয় খালাসি পদে। এই পদে ৮৬৫ জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ২০১৩ সালের নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৯ সালে। সেই নিয়োগকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দুদক চট্টগ্রামের একজন উপসহকারী পরিচালক দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন পরিচালকের কাছে জমা দেন। এরপর গত বছরের মার্চে রেলের সাবেক জিএমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু তার আর পর নেই।
রেলওয়ের প্রতিটি জনবল নিয়োগে কোটি কোটি টাকা ঘুষ আদান-প্রদানের অভিযোগের পরও রেলপথ মন্ত্রণালয় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, বরং দুর্নীতিবাজদের পুরস্কৃত ও প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় বলেই সম্ভবত কোনো প্রতিকার হয় না। আবার যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাঁদের কাউকে কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করার ঘটনাও ঘটছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সব সময় দুর্নীতিকেই কেন প্রশ্রয় দিয়ে থাকে, মন্ত্রী বদল হলেও রেলের কালো বিড়াল কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও সান্ত্বনা পাওয়া যেত।
দুর্নীতিই যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নীতি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কী ভাষায় তিরস্কার করলে যথাযথ হয়, তা বুঝে উঠতেও সমস্যা হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিয়ে আজকের পত্রিকায় বুধবার প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ‘রেলের সব নিয়োগেই ভেজাল’। সব নিয়োগেই যদি ভেজাল হয়, তাহলে রেলের পরিস্থিতি কেমন, তা বুঝতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। রেলের অবস্থা একসময় কাহিল হয়ে পড়েছিল। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ের সরকারগুলো রেলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছিল।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে রেলের প্রতি আবার সুদৃষ্টি দেওয়া হয়। স্থবির হয়ে পড়া রেলযোগাযোগ সচল করার জন্য নানা উদ্যোগের সঙ্গে রেলের বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়কে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, একজন পূর্ণ মন্ত্রীকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে রেলে নিয়োগ বেড়েছে এবং কোনো নিয়োগই দুর্নীতিমুক্ত হচ্ছে না। টাকাপয়সার লেনদেন ছাড়া কোনো নিয়োগ হওয়ার খবর কেউ কি বলতে পারবেন?
রেলের কালো বিড়াল ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন একসময়ের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কিন্তু তাঁর এপিএসের গাড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। তারপর অনেক সময় গেছে। রেলের মন্ত্রী বদল হয়েছেন দুজন। কিন্তু রেলে অনিয়ম-দুর্নীতির রাশ টেনে ধরার ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে বলে শোনা যায় না। বরং ২০১৬ সালে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস, ২০১৭ সালে ১৮৫ জন সিপাহি এবং ২০১৮ সালে ‘টিকিট কালেক্টর’ পদে নিয়োগেও অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, রেলে সবচেয়ে বড় নিয়োগ হয় খালাসি পদে। এই পদে ৮৬৫ জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ২০১৩ সালের নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৯ সালে। সেই নিয়োগকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দুদক চট্টগ্রামের একজন উপসহকারী পরিচালক দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন পরিচালকের কাছে জমা দেন। এরপর গত বছরের মার্চে রেলের সাবেক জিএমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু তার আর পর নেই।
রেলওয়ের প্রতিটি জনবল নিয়োগে কোটি কোটি টাকা ঘুষ আদান-প্রদানের অভিযোগের পরও রেলপথ মন্ত্রণালয় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, বরং দুর্নীতিবাজদের পুরস্কৃত ও প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় বলেই সম্ভবত কোনো প্রতিকার হয় না। আবার যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাঁদের কাউকে কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করার ঘটনাও ঘটছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সব সময় দুর্নীতিকেই কেন প্রশ্রয় দিয়ে থাকে, মন্ত্রী বদল হলেও রেলের কালো বিড়াল কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও সান্ত্বনা পাওয়া যেত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪