Ajker Patrika

আজ পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল চার উপজেলা

ময়মনসিংহ ও ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৫৯
Thumbnail image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল, ফুলপুর, ঈশ্বরগঞ্জ ও গফরগাঁও মুক্ত দিবস আজ ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এসব উপজেলা থেকে পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করে নিজ নিজ উপজেলাকে মুক্ত করেন। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ১১ নম্বর সেক্টরের মেজর আফসার বাহিনীর এফজে সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার আব্দুল বারী মাস্টারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ৮ ডিসেম্বর রাতে ত্রিশাল থানা আক্রমণ করেন। গভীর রাতে ত্রিশাল থানা ঘিরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা ৯ ডিসেম্বর ভোরে ত্রিশাল থানা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ ছাড়া গফরগাঁওয়ের মশাখালী স্টেশনের দক্ষিণে শীলা নদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই উপজেলায় সর্বশেষ যুদ্ধ হয় ৫ ডিসেম্বর। এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জয়ী হলে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে। তখন ইকবাল কামালের নেতৃত্বে কামাল কোম্পানি ও আফসার বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ধাওয়া করে গফরগাঁও সদরসহ উপজেলার সমস্ত এলাকা হানাদার মুক্ত করেন।

পরে ৯ ডিসেম্বর গফরগাঁওয়ের আকাশে উদিত হয় রক্তিম লাল সূর্য। ওড়ানো হয় বাংলাদেশের পতাকা। হানাদার মুক্ত হয় গফরগাঁও। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদর ও আলশামস তথা পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাও।

অপরদিকে ফুলপুর উপজেলায় শেষ যুদ্ধ হয় ৭ ডিসেম্বর। সেদিন হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে হানাদার বাহিনী পিছু হটার পথে মধ্যনগরে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দুজন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন। এই যুদ্ধেই পতন হয় হানাদার বাহিনীর। ৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্ত হয় ফুলপুর।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এই মাসে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্ত হয় ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা। এসব উপজেলায় মাসব্যাপী স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্ত দিবস ও বিজয়ের মাস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

ঈশ্বরগঞ্জ: আজ ৯ ডিসেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমান্ডের উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে আতশবাজি ফোটানো হবে। এ ছাড়া আজ সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদদের কবর জিয়ার, বিজয় শোভাযাত্রা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত