Ajker Patrika

চারঘাটে ধান সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জনে সংশয়

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৪
চারঘাটে ধান সংগ্রহের   লক্ষ্য অর্জনে সংশয়

রাজশাহীর চারঘাটে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের বাজার মূল্য বেশি। আবার নিজ খরচে ধান পরিবহন করে খাদ্য গুদামে নিয়ে যেতে হয় ধান। ফলে স্থানীয় কৃষকেরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করছেন না। তাই এবার ধান সংগ্রহ কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ৭ নভেম্বর সারা দেশের মতো চারঘাটেরও আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ বছর সরকারিভাবে ধানের দর প্রতি কেজি ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় বাজারগুলোতে ধানের দর ২৮-৩০ টাকা। তাই ধান সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে উপজেলার খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮৩ মেট্রিক টন। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ দুই মাসেও সরকারি গুদামে কোনো ধান দেয়নি কৃষক। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাদ্যগুদামে আমন ধান সংগ্রহ চলবে বলে জানিয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর।

উপজেলার নিমপাড়া ও শলুয়া ইউনিয়নের একাধিক কৃষক বলেছেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান নিজ খরচে পৌঁছে দিতে হয়। ধানের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে হয় এবং আরও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার ধান সংগ্রহে যে দাম নির্ধারণ করেছে সরকার, তার চেয়ে বেশি দামে এলাকার ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে লোকসান দিয়ে সরকারি গুদামে তাঁরা ধান বিক্রি করবেন কেন?

নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, এত কষ্ট করে ধান উৎপাদন করেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা ১১শ থেকে ১২শ টাকা মন দরে ধান কিনছেন। সরকারিভাবে গুদামে এক মন ধান কেনা হচ্ছে ১ হাজার ৮০ টাকা দরে। আবার গুদামে ধান দিতে নানা ঝামেলা। এ জন্য বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, খাদ্য পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ধান সংগ্রহ নিয়ে সংশয়ে আছি। এখন পর্যন্ত কোনো কৃষক ধান দেয়নি। তারপরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত