মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
বাবা ভিক্ষা করে চালান সংসার। পরনে ভালো জামা নেই, পেট ভরে দুই বেলা খেতে পারে না। খাবার না খেয়েও কখনো কখনো স্কুলে যেতে হতো সুমাকে। দারিদ্র্যকে জয় করে আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের অশোক রায়ের মেয়ে সুমা রায় বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সুমা রায়ের মা-বাবা বোঝেন না জিপিএ-৫ কী জিনিস। তাঁরা কেবল বোঝেন মেয়ে ভালো পাস করেছে। অশোক রায়ের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে পাঁচজনের সংসারে সুমা রায় ভাই-বোনদের মধ্যে বড়।
সুমা রায়ের সঙ্গে কথা হলে বলল, ‘আমার বাবা অশোক রায় একজন প্রতিবন্ধী। তাঁর ভিক্ষার টাকায় চলে আমাদের সংসার। মানুষের জমিতে কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে এসেছি এত দিন। আমাদের ঘর নেই, পড়ার একটি টেবিল পর্যন্ত ছিল না। ভালো একটি জামাও নেই। না খেয়ে অনেক দিনই স্কুলে যেতাম। অনেক কষ্ট হতো, তবু লেখাপড়া ছাড়িনি। আমার স্বপ্ন লেখাপড়া করে চিকিৎসক হব। দেশের অসহায় মানুষের সেবা করব। কিন্তু কলেজে ভর্তি এবং লেখাপড়া করার সামর্থ্য নেই। এসএসসি পরীক্ষার যেদিন ফল প্রকাশ হয়েছে, সেদিনও আমাদের ঘরে খাবার ছিল না। আমি সকালে অন্যের জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে গেছি। জমি থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি এসে তারপরে শিক্ষকদের কাছে ফল জানতে গেছি।’
সুমা রায়ের মা শিখা রায় বলেন, ‘মোর মাইয়া শুনছি ভালো পাস করেছে, জিপিএ-৫ কী তা মুই কিছু বুঝি না। মোর মাইয়ারে আর লেহাপড়া করাইতে পারমু না, এই যেডু লেহাপড়া করছে, কত দিন না খাইয়া স্কুলে গেছে।’
সুমা রায়ের বাবা অশোক রায় বলেন, ‘মুই এই লেহাপড়া কী তা বুঝি না। শুনি মাইয়াডা ভালো পাস করছে। ভালো পাস কইরা কী হইবে। ভিক্ষা কইরা খাইতে পারি না, ল্যাহা পড়ার টাহা দিমু কোথার তা।’
বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, সুমা রায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় তার কাছ থেকে স্কুল নামমাত্র বেতন নিত। দেশের দানশীল ব্যক্তিরা সহযোগিতা করলে সুমা রায়ের স্বপ্ন পূরণ হওয়া সম্ভব।
বাবা ভিক্ষা করে চালান সংসার। পরনে ভালো জামা নেই, পেট ভরে দুই বেলা খেতে পারে না। খাবার না খেয়েও কখনো কখনো স্কুলে যেতে হতো সুমাকে। দারিদ্র্যকে জয় করে আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের অশোক রায়ের মেয়ে সুমা রায় বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সুমা রায়ের মা-বাবা বোঝেন না জিপিএ-৫ কী জিনিস। তাঁরা কেবল বোঝেন মেয়ে ভালো পাস করেছে। অশোক রায়ের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে পাঁচজনের সংসারে সুমা রায় ভাই-বোনদের মধ্যে বড়।
সুমা রায়ের সঙ্গে কথা হলে বলল, ‘আমার বাবা অশোক রায় একজন প্রতিবন্ধী। তাঁর ভিক্ষার টাকায় চলে আমাদের সংসার। মানুষের জমিতে কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে এসেছি এত দিন। আমাদের ঘর নেই, পড়ার একটি টেবিল পর্যন্ত ছিল না। ভালো একটি জামাও নেই। না খেয়ে অনেক দিনই স্কুলে যেতাম। অনেক কষ্ট হতো, তবু লেখাপড়া ছাড়িনি। আমার স্বপ্ন লেখাপড়া করে চিকিৎসক হব। দেশের অসহায় মানুষের সেবা করব। কিন্তু কলেজে ভর্তি এবং লেখাপড়া করার সামর্থ্য নেই। এসএসসি পরীক্ষার যেদিন ফল প্রকাশ হয়েছে, সেদিনও আমাদের ঘরে খাবার ছিল না। আমি সকালে অন্যের জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে গেছি। জমি থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি এসে তারপরে শিক্ষকদের কাছে ফল জানতে গেছি।’
সুমা রায়ের মা শিখা রায় বলেন, ‘মোর মাইয়া শুনছি ভালো পাস করেছে, জিপিএ-৫ কী তা মুই কিছু বুঝি না। মোর মাইয়ারে আর লেহাপড়া করাইতে পারমু না, এই যেডু লেহাপড়া করছে, কত দিন না খাইয়া স্কুলে গেছে।’
সুমা রায়ের বাবা অশোক রায় বলেন, ‘মুই এই লেহাপড়া কী তা বুঝি না। শুনি মাইয়াডা ভালো পাস করছে। ভালো পাস কইরা কী হইবে। ভিক্ষা কইরা খাইতে পারি না, ল্যাহা পড়ার টাহা দিমু কোথার তা।’
বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, সুমা রায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় তার কাছ থেকে স্কুল নামমাত্র বেতন নিত। দেশের দানশীল ব্যক্তিরা সহযোগিতা করলে সুমা রায়ের স্বপ্ন পূরণ হওয়া সম্ভব।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪