Ajker Patrika

ব্যক্তিজীবন নিয়ে মুখ খুললেন পরীমণি, জেলজীবন নিয়ে লিখেছেন বই

ব্যক্তিজীবন নিয়ে মুখ খুললেন পরীমণি, জেলজীবন নিয়ে লিখেছেন বই

ঢাকাই সিনেমার অন্যতম আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিজীবন নিয়েই আলোচনায় বেশি থাকেন তিনি। সম্প্রতি মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন কাজে। পরীমণি এখন আছেন কলকাতায়। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কাজ ও ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয় নিয়ে, বলেছেন সাবেক স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজকে নিয়েও। 

পরীমণি বলেন, ‘আমরা যখন থেকে আলাদা হয়ে যাই, তখন থেকে এখন পর্যন্ত সে (শরিফুল রাজ) আমার বাচ্চার কোনো খোঁজখবর নেয়নি। আমার বাচ্চার কেন খোঁজ নেবে সে? আমার সন্তানের সব দায়িত্ব প্রথম থেকেই আমি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও নেব। কারও দরকার নেই। তার (রাজের) প্রতি রাগ, ক্ষোভ ও অভিমান ছাড়া আর কিছুই নেই। ভালোবাসা আর সম্মান তো দূরের কথা। তবে সে যে আমার বাচ্চার বাবা, সেটা তো মুছে ফেলতে পারব না। তাই লোকটাকে কোনো কথা দিয়ে অসম্মান করতে চাই না।’

পরী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর প্রেম করবেন না তিনি। তাঁর জীবনে এখন একমাত্র প্রেম সন্তান রাজ্যর প্রতি। পরীমণি কথা বলেছেন তাঁর জেলজীবন নিয়েও। কেন তিনি জেলে গেলেন তা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি জানিয়েছেন, জেলে থাকা সময়গুলো নিয়ে বই লিখেছেন তিনি। পরী বলেন, ‘আমি কাউকে খুন করিনি, জঙ্গি হামলা করিনি, আমার বাসায় কোনো বোমা ছিল না। আমি আসলে কী করেছি এটাই জানি না। ভালো বিষয় হলো, এখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছি।’

জেলজীবন নিয়ে এখন কথা বলতে আগ্রহী না হলেও ভবিষ্যতে ঘটা করে জানাতে চান সব। ‘স্ট্রেট ফরোয়ার্ড’ বলেই ব্যক্তিজীবনে তাঁর লড়াইটা বেশি বলে মনে করেন পরী। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘একটু স্ট্রেট ফরোয়ার্ড বলে হয়তো আমার সঙ্গে এমনটা হচ্ছে। তবে এখন আমি জানি মানুষ কী পছন্দ করে আর কী পছন্দ করে না। মানুষ চায় নিজের গলাবাজির নিচে সবার গলাবাজি থাকুক। সবাই চায় আমি আস্তে কথা বলি, অন্যেরা যা চায় সেটা করি। সমাজের চাপানো কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে চললেই তুমি লক্ষ্মী মেয়ে।’

আমরা যখন থেকে আলাদা হয়ে যাই, তখন থেকে এখন পর্যন্ত সে আমার বাচ্চার কোনো খোঁজখবর নেয়নি। আমার বাচ্চার কেন খোঁজ নেবে সে? আমার সন্তানের সব দায়িত্ব প্রথম থেকেই আমি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও নেব। কারও দরকার নেই।...
—পরীমণি, অভিনেত্রী

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা নিয়ে পরীমণি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যত নেগেটিভ কথা হয়েছে, তত পজিটিভ কথাও হয়েছে। আমি যখন জেল থেকে বের হই তখন মানুষজন আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে, বিশেষ করে মেন্টালি। তাদের সঙ্গে আমার কিন্তু রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমার কাজের জন্যই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।’

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ফাইল ছবি তবে সবকিছু ছাপিয়ে নিজেকে ভালোবাসার পরামর্শ দিয়েছেন পরীমণি। যেটা তিনি বুঝেছেন ব্যক্তিজীবনের তিক্ত অভিজ্ঞাতা থেকে। জানালেন, নিজেকে ভালোবাসা খুব জরুরি। 

বিরতি ভেঙে কাজে ফিরলেও বেশি কাজ করতে চান না পরী। এমনভাবে এগোতে চান যেন কাজ ও সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন। কাজ করতে চান সব জনরার সিনেমায়। শিগগির ওপার বাংলার সিনেমায় দেখা যাবে পরীর অভিনয়। পরী জানান ইতিমধ্যে কথাবার্তাও নাকি পাকা হয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত