মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে খাসজমি ভোগদখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সাদেক আলী (৬০) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। নিহত সাদেক ওই গ্রামের বাসিন্দা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ১৫ বিঘা খাসজমি নিয়ে হোগলবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী গং ও খাইরুল ইসলাম গংয়ের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। গত বুধবার ওই জমিতে সাদেক আলী ধানের চারা রোপণ করেন। পর দিন প্রতিপক্ষ খাইরুল ইসলাম ওই জমিতে রোপণকৃত চারা নষ্ট করে দেন। গতকাল সকালে আবারও ওই জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান সাদেক ও তাঁর লোকজন। এ সময় ওত পেতে থাকা খাইরুল ও তাঁর লোকজন দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাদেক। আহত হন তাঁর আরও ১০ সহযোগী।
ওসি জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি হাসুয়া, একটি হাতুড়ি,২টি বল্লম ও ৮টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার রাফিউল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম।
নিহতের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সম্প্রতি জমিটি আমার ভাই সাদেক আলীর দখলে ছিল। জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করত। কিন্তু কয়েক দিনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমার ভাইয়ের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এ কারণে, ভাইকে তারা খুন করবে, এটি কখনোই আমরা ভাবতে পারিনি।’
নিহতের স্ত্রী পারভিনা আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার স্বামীকে প্রতিপক্ষের লোকজন হুমকি দিয়ে আসছিল। বলত, জমি ছেড়ে না দিলে আমাদের সঙ্গে মারামারি করতে আসবে। কয়েক দিন আগেও জমিতে থাকা ধানের রোপণকৃত চারা নষ্ট করেছে তারা। কিন্তু এত খারাপ পর্যায়ে যাবে, আমরা তা কখনোই ভাবতে পারিনি। আমার স্বামী চারা নষ্ট হওয়া জমিতে পুনরায় চারা রোপণ করতে গেলে তারা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। আমরা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
খাইরুল ইসলামের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইজ উদ্দীন বলেন, ‘খাসজমি ভোগদখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই পক্ষের বিরোধ চলছিল। জমি নিয়ে উভয় পক্ষ মামলা করেছে, যার কারণে এলাকার মানুষও বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেন না।’
ওসি আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেননি বলে জানান তিনি।
মেহেরপুরের গাংনীতে খাসজমি ভোগদখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সাদেক আলী (৬০) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। নিহত সাদেক ওই গ্রামের বাসিন্দা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ১৫ বিঘা খাসজমি নিয়ে হোগলবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী গং ও খাইরুল ইসলাম গংয়ের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। গত বুধবার ওই জমিতে সাদেক আলী ধানের চারা রোপণ করেন। পর দিন প্রতিপক্ষ খাইরুল ইসলাম ওই জমিতে রোপণকৃত চারা নষ্ট করে দেন। গতকাল সকালে আবারও ওই জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান সাদেক ও তাঁর লোকজন। এ সময় ওত পেতে থাকা খাইরুল ও তাঁর লোকজন দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাদেক। আহত হন তাঁর আরও ১০ সহযোগী।
ওসি জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি হাসুয়া, একটি হাতুড়ি,২টি বল্লম ও ৮টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার রাফিউল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম।
নিহতের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সম্প্রতি জমিটি আমার ভাই সাদেক আলীর দখলে ছিল। জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করত। কিন্তু কয়েক দিনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমার ভাইয়ের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এ কারণে, ভাইকে তারা খুন করবে, এটি কখনোই আমরা ভাবতে পারিনি।’
নিহতের স্ত্রী পারভিনা আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার স্বামীকে প্রতিপক্ষের লোকজন হুমকি দিয়ে আসছিল। বলত, জমি ছেড়ে না দিলে আমাদের সঙ্গে মারামারি করতে আসবে। কয়েক দিন আগেও জমিতে থাকা ধানের রোপণকৃত চারা নষ্ট করেছে তারা। কিন্তু এত খারাপ পর্যায়ে যাবে, আমরা তা কখনোই ভাবতে পারিনি। আমার স্বামী চারা নষ্ট হওয়া জমিতে পুনরায় চারা রোপণ করতে গেলে তারা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। আমরা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
খাইরুল ইসলামের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইজ উদ্দীন বলেন, ‘খাসজমি ভোগদখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই পক্ষের বিরোধ চলছিল। জমি নিয়ে উভয় পক্ষ মামলা করেছে, যার কারণে এলাকার মানুষও বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেন না।’
ওসি আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেননি বলে জানান তিনি।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪