দিনাজপুর প্রতিনিধি
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের অভাবে পাট জাগ দিতে সমস্যা হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন কৃষক। এ ছাড়া পাটের দাম আরও বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পাট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার বিভিন্ন বাজারে পাট প্রকারভেদে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে পাটের বাজারদর ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছরের আবহাওয়া পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ছিল। তা ছাড়া আধুনিক জাতের উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার এবং ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি বিভাগ পাট চাষে কৃষকদের সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে জেলায় পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
পাট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার বিভিন্ন বাজারে পাট প্রকারভেদে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে পাটের বাজারদর ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা।
জানা গেছে, এ বছর বর্ষাকালে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও আবাদি এলাকা ছিল বন্যামুক্ত এবং থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া আধুনিক জাতের উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার এবং ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। ফলে জেলায় ক্রমান্বয়ে পাটের উৎপাদন বাড়ছে। জেলায় পাট আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২০ হেক্টর বেশি। এ বছর পাটের উৎপাদনও বেড়েছে। গত বছর প্রতি হেক্টরে পাটের গড় উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ১১ মেট্রিক টন। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১২ মেট্রিক টন।
খানসামা, চিরিরবন্দর, সদর ও বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলায় বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও পাটের আবাদ কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। পাট নিয়ে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ খেত থেকে পাট কাটছেন, কেউবা পাট পানিতে জাগ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ আঁশ শুকিয়ে বাজারে নিচ্ছেন বিক্রির জন্য। পাট চাষের প্রধান সমস্যা হলো আঁশ পচানোর জন্য নদী-নালা, খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকা। যদিও এ বছর প্রথম দিকে পানি না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে মৌসুমের শেষ সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট জাগ দিতে কৃষকের তেমন সমস্যা হয়নি।
কৃষকেরা জানান, উচ্চফলনশীল বীজ ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভালো উৎপাদন হওয়ায় কৃষকেরা খুশি।
খানসামা উপজেলার পাটচাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, পাট মূলত বৃষ্টিনির্ভর ফসল। মৌসুমের শুরুতে এবার বৃষ্টি হওয়ায় পাটগাছের বৃদ্ধি কিছুটা কম হয়েছে। পরে সময়মতো বৃষ্টি ও রোদ ভালো হওয়ায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। পাট কাটার সময় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দিতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। এতে পরিবহনের ব্যয়েও সাশ্রয় হয়েছে।
একই এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। সব মিলে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো। বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় দেড় বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার পাট বিক্রি করব।’
চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, ‘এবার তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাটের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বাজারে পাটের দাম ভালো হওয়ায় লাভবান হব আশা করছি।’
একই গ্রামের পাটচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গতবারের তুলনায় পাট ভালো দামে বিক্রি করেছি। ভালো মানের পাট বাজারে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গতবারের তুলনায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি।’
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের অভাবে পাট জাগ দিতে সমস্যা হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন কৃষক। এ ছাড়া পাটের দাম আরও বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পাট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার বিভিন্ন বাজারে পাট প্রকারভেদে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে পাটের বাজারদর ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছরের আবহাওয়া পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ছিল। তা ছাড়া আধুনিক জাতের উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার এবং ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি বিভাগ পাট চাষে কৃষকদের সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে জেলায় পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
পাট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার বিভিন্ন বাজারে পাট প্রকারভেদে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে পাটের বাজারদর ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা।
জানা গেছে, এ বছর বর্ষাকালে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও আবাদি এলাকা ছিল বন্যামুক্ত এবং থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া আধুনিক জাতের উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার এবং ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। ফলে জেলায় ক্রমান্বয়ে পাটের উৎপাদন বাড়ছে। জেলায় পাট আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২০ হেক্টর বেশি। এ বছর পাটের উৎপাদনও বেড়েছে। গত বছর প্রতি হেক্টরে পাটের গড় উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ১১ মেট্রিক টন। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১২ মেট্রিক টন।
খানসামা, চিরিরবন্দর, সদর ও বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলায় বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও পাটের আবাদ কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। পাট নিয়ে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ খেত থেকে পাট কাটছেন, কেউবা পাট পানিতে জাগ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ আঁশ শুকিয়ে বাজারে নিচ্ছেন বিক্রির জন্য। পাট চাষের প্রধান সমস্যা হলো আঁশ পচানোর জন্য নদী-নালা, খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকা। যদিও এ বছর প্রথম দিকে পানি না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে মৌসুমের শেষ সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট জাগ দিতে কৃষকের তেমন সমস্যা হয়নি।
কৃষকেরা জানান, উচ্চফলনশীল বীজ ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভালো উৎপাদন হওয়ায় কৃষকেরা খুশি।
খানসামা উপজেলার পাটচাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, পাট মূলত বৃষ্টিনির্ভর ফসল। মৌসুমের শুরুতে এবার বৃষ্টি হওয়ায় পাটগাছের বৃদ্ধি কিছুটা কম হয়েছে। পরে সময়মতো বৃষ্টি ও রোদ ভালো হওয়ায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। পাট কাটার সময় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দিতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। এতে পরিবহনের ব্যয়েও সাশ্রয় হয়েছে।
একই এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। সব মিলে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো। বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় দেড় বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার পাট বিক্রি করব।’
চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, ‘এবার তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাটের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বাজারে পাটের দাম ভালো হওয়ায় লাভবান হব আশা করছি।’
একই গ্রামের পাটচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গতবারের তুলনায় পাট ভালো দামে বিক্রি করেছি। ভালো মানের পাট বাজারে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গতবারের তুলনায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪