Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ১৬: ২১
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া

১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘোষণার পর বিশ্ব নতুন একটি পর্বে প্রবেশ করে। এটাকে যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া আধিপত্যের কাল বলা যায়, যা চীনের উত্থানের মধ্য দিয়ে বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রতিযোগিতা, উত্তেজনায় তা স্পষ্ট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে, যার ফল সুদূরপ্রসারী বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক যতটা তিক্ত, বেইজিং-মস্কোর সাম্প্রতিক সম্পর্ক ততটা মধুর। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছে বেইজিং। ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাম্প্রতিক প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলেও যুদ্ধসংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ধৈর্য ধরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

অন্যদিকে পশ্চিমাদের অনুসরণ করে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে, ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে এবং মস্কো থেকে তেল-গ্যাস ক্রয় বাড়িয়েছে বেইজিং।

ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে গত সোমবার রোমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও চীনের বিদেশ নীতিবিষয়ক অফিসের প্রধান ইয়েং জিয়েচের নেতৃত্বে দুই দেশের কর্মকর্তারা কয়েক দফায় প্রায় সাত ঘণ্টা আলোচনা করেছেন।

বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীনকে আমাদের উদ্বেগের কথা স্পষ্ট করা হয়েছে। রাশিয়াকে উদ্ধারের জন্য যে এগিয়ে আসবে, তাকে তার ফল ভোগ করতে হবে।’

চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, মস্কো বেইজিং থেকে অস্ত্র চেয়েছে বলে যে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। রাশিয়া আমাদের প্রতিবেশী। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে তার সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণই করবে বেইজিং।

ভারতের সাবেক রুশ রাষ্ট্রদূত বি. ভি ভার্মা সম্প্রতি দ্য প্রিন্টে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এককেন্দ্রিক বিশ্বের মরণঘণ্টা বেজে গেছে। রাশিয়ার বৈদেশিক রিজার্ভে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার পর ডলারনির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হচ্ছে। বহুকেন্দ্রিক বিশ্বের যে জন্ম হচ্ছে, তাকে ক্রমশ সতর্কভাবে স্বাগত জানাবে বিশ্ব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত