Ajker Patrika

গজারিয়া বাজারের নৌকার কদর, জোগায় জীবিকা

মনজুর রহমান, লালমোহন (ভোলা) 
Thumbnail image

নৌকা বেচাকেনার জন্য বিখ্যাত ভোলার লালমোহনের গজারিয়া বাজার। প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে বসছে নৌকার বাজার। নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন দুই শতাধিক শ্রমিক-কারিগর। এ বাজারে মাসে গড়ে ৫০-৬০ লাখ টাকার নৌকা বিক্রি হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

গজারিয়া বাজারের কারিগরদের তৈরি নৌকা চলে যায় দেশের উপকূলীয় জেলা ও উপজেলাগুলোতে। তবে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলার মনপুরা, চর কুকরিমুকরি, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলার ক্রেতা বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

জানা যায়, ভোলায় দুই লাখের বেশি জেলে রয়েছেন। তাঁদের মাছ শিকারের প্রধান বাহন হচ্ছে নৌকা-ট্রলার। এ ছাড়াও উপকূলের বিচ্ছিন্ন চরগুলোতে খেয়া পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। তাই এই জেলায় নৌকার কদর অনেক বেশি।

নৌকা তৈরির কারিগর মিলন ব্যাপারী, প্রদীপ মিস্ত্রি, তাপস মিস্ত্রি ও মো. ফারুক ব্যাপারী জানান, আগে দৈনিক মজুরি কম ছিল, এখন সবকিছুর দাম বাড়ছে। তাই এখন পাচ্ছেন দৈনিক  ৯০০ টাকা করে। প্রতিটি নৌকা আকার ও প্রকারভেদে গড়ে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। একেকটি নৌকা তৈরি করতে সময় লাগে ১৫-২০ দিন। ভালো মানের কাঠের তৈরি নৌকা ১০-১২ বছর পর্যন্ত টেকসই হয়।

এই বাজারের নৌকা ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, ‘প্রায় ২০০ শ্রমিক নৌকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের জীবিকা চলে নৌকা তৈরি করে। কমবেশি প্রতিদিন অর্ডার পাচ্ছি। একেকটি নৌকা বিক্রি করে ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ হয়।’

চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মৎস্য ঘাট থেকে নৌকা কিনতে এসেছেন আলাউদ্দিন মাঝি। তিনি বলেন, ‘এ বাজারের নৌকার অনেক সুনাম। তাই ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটা নৌকা কিনেছি।’

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গজারিয়া বাজারে নৌকা তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা একত্র হয়ে সমিতির মাধ্যমে এলে তাঁদের ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল বলেন, ‘নৌকা তৈরির কাজের সঙ্গে যাঁরা সংশ্লিষ্ট তাঁদের সরকারিভাবে যদি কোনো অনুদান, প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত