Ajker Patrika

স্কুল-কলেজ এলাকায় বখাটের আড্ডা, উদ্বেগ অভিভাবকদের

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মে ২০২২, ১৭: ৪১
Thumbnail image

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে বেড়েছে বখাটেদের আড্ডা। স্কুল-কলেজ শুরু কিংবা ছুটির সময় ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে তারা। এদের বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। বখাটেদের উৎপাত রোধে স্কুল-কলেজের সামনে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাঁদের।

জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬১ টি। এর মধ্যে কলেজ ১৪ টি, মহিলা ডিগ্রি কলেজ একটি ও মহিলা উচ্চমাধ্যমিক কলেজ দুইটি। প্রতিবছর এ উপজেলা থেকে অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু বখাটেদের উৎপাতে পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।

সরেজমিন বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজ ঘুরে দেখা গেছে প্রবেশ ফটকের সামনে ও আশপাশে ছোট ছোট দলে আড্ডা দিচ্ছে কিশোর বয়সী ছেলেরা। ছাত্রীরা আসামাত্রই তাদের লক্ষ্য করে নানা মন্তব্য করতে শোনা যায়। মেয়েরা দ্রুত ভাড়া মিটিয়ে মাথা নিচু করে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, বাইরের ছেলেরা বিদ্যালয়ের আশপাশে আড্ডা দিয়ে থাকে। তাদের বেশি কিছু বলা যায় না। বলতে গেলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে তেড়ে আসে।

শহরের স্বনামধন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিল বেশ কয়েকজন কিশোর ও যুবক। আড্ডা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে আরমান হোসেন, আব্দুল আলিম, ইমরান হোসেন জানায়, তাদের এক বন্ধু এই এলাকায় থাকে, তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে তারা।

কলেজ ছুটির পর মেয়েকে বাসায় নিতে এসেছেন ১০-১২ জন অভিভাবক। এ প্রসঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, প্রতিদিন সকাল ও দুপুরে এ প্রতিষ্ঠানের আশপাশে বসে বখাটেদের আড্ডা। এ কারণে মেয়েদের একা স্কুলে পাঠাতে সাহস পান না। বখাটেরা প্রথমে মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাব দেয়, রাজি না হলেও বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। স্কুল-কলেজের সামনে টহল পুলিশের ব্যবস্থা করলে বখাটেদের উৎপাত কমবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

অভিভাবক বিলকিস বানু বেগম জানান, বখাটেদের উৎপাতের কারণে দশম শ্রেণিতে ওঠার পর বড় মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ করে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। প্রতিদিন তাকে স্কুলে আনা-নেওয়ার কাজ করেন।

এদিকে, কথা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানেরা জানান, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু বাইরের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাঁদের নেই। বখাটেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বখাটেরা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে কেউ অযথা ঘোরাফেরা করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত