Ajker Patrika

বাঁ পায়ে লিখেই জিপিএ-৫

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ২২
Thumbnail image

দুই হাত ও ডান পা নেই তামান্না নুরার। শুধু আছে বাঁ পা-টা। সেই মানুষটি টেবিলের ওপর বসে এক পায়ে লিখে পরীক্ষা দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিকে। পেয়েছেন সাফল্যও। তুলে নিয়েছেন জিপিএ-৫।

তামান্না নুরা যশোরের ঝিকরগাছার আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পীর মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে বড়। বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। জন্ম থেকেই তাঁর দুই হাত ও এক পা নেই। আছে শুধু বাঁ পা। তবে শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতাকে সাফল্যের পথে কখনো বাধা হিসেবে দাঁড়াতে দিতে রাজি নন তিনি। এর আগে তিনি পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় বাম পায়ে লিখেই জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর এবার সাফল্য পেলেন এইচএসসিতে।

অদম্য তামান্না জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসক হতে চান। তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমি লেখাপড়া শিখে প্রকৃত মানুষ হতে চাই। দেশ ও দশের সেবা করতে চাই। আমার শারীরিক অক্ষমতার পরও তো আমি মানুষ। সকলে পারলে আমিও পারব।’

তবে তামান্নার বাবা রওশন আলী চান, মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক। তিনি বলেন, ‘তার (তামান্না) স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। আমরা তাকে বোঝাচ্ছি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেই ভালো হবে।’

বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শামসুর রহমান বলেন, কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জনকারী তামান্না এক অদম্য মেধাবী। তার অটুট মনোবলের কারণেই আগের মতো এবারও সে সাফল্য পেয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক (ইউএনও) বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় তামান্নার বিশেষ কোটায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ ছিল। বিশেষ কোটায় পরীক্ষা দিলে সে আধা ঘণ্টা বেশি সময় পেত। কিন্তু সে সুযোগ না নিয়ে তামান্না সাধারণভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েই জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা আমাদের গর্বিত করেছে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে দুটি ইচ্ছার কথা জানিয়ে দরখাস্ত লিখেছে তামান্না। একটি ইচ্ছা হলো চিকিৎসক হওয়া, অপরটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত