টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলে শীত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া। এতে করে অন্য সময়ের তুলনায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১১০ জন করে চিকিৎসা নিচ্ছে। ভর্তি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ জন। হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। চিকিৎসকরাও শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়া ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের নানা ধরনের রোগ বেড়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৮ সিটের বিপরীতে ১১৫ জন রোগী ভর্তি ছিল। বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ বেড়েছে। অনেক শিশুকেই আমরা সিট দিতে পারছি না। এই শীতে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিশু রোগীদের সেবা দিতে।’
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি শয্যায় একাধিক রোগী ভর্তি। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের। কথা হয় এলাসিন থেকে আসা আট মাস বয়সী আরিশার মায়ের সঙ্গে। তিনি জানান, চার দিন ধরে মেয়ের ঠান্ডাজ্বর। স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়ানো হয়। কিন্তু না কমায় দুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন কিছুটা কমছে। আরিশার মা বলেন, ‘এই ছোট বাচ্চা নিয়ে এক শয্যায় দুজন শিশু রাখা হচ্ছে।’
সদর উপজেলার দিঘুয়া এলাকা থেকে মেয়ের চিকিৎসা করাতে আসা শামিম আরা বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে মেয়ের জ্বর। গতকাল (সোমবার) সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দুপুরে হাসপাতালে এসেছিলাম। শয্যা খালি না থাকায় দুই শিশুকে এক শয্যায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
একই অবস্থা শিশু ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও। সেখানে সিট বরাদ্দ না পেয়ে এই শীতের মধ্যে বারান্দার মেঝেতে রয়েছে অনেক শিশু ও তার স্বজনেরা। উপজেলার বাসাখানপুর এলাকার লায়লা বেগম বলেন, ‘তিন বছরের মেয়ে তাছবি দুই দিন ধরে পাতলা পায়খানা করছে। খাবার স্যালাইন খাওয়ালেও কাজ হচ্ছিল না। গত (সোমবার) রাতে হাসপাতালে এনেছি। কিন্তু কোনো শয্যা পাইনি। এই শীতের মধ্যেও বারান্দার মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।’
বাসাইল উপজেলার গীতা রানী বলেন, ‘মেয়ে তনুশ্রীর বয়স আড়াই বছর। গতকাল সকাল থেকে বমি করছে, সঙ্গে পাতলা পায়খানা। বাসাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানকার চিকিৎসক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। গতকাল (সোমবার) দুপুরে ভর্তি করেছি। কিন্তু হাসপাতালে শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায় বেড পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. নুরুল ইসলাম শামীম বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়তই হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে জ্বর-ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। আগে প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ৭০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকত। বর্তমানে গড়ে ১১৫-১২০ জন রোগী ভর্তি থাকছে। এতে করে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীতে শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকদের শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ডা. নুরুল ইসলাম শামীম বলেন, এই সময়টাতে শিশুদের সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। সঙ্গে সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের পোশাক নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
টাঙ্গাইলে শীত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া। এতে করে অন্য সময়ের তুলনায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১১০ জন করে চিকিৎসা নিচ্ছে। ভর্তি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ জন। হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। চিকিৎসকরাও শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়া ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের নানা ধরনের রোগ বেড়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৮ সিটের বিপরীতে ১১৫ জন রোগী ভর্তি ছিল। বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ বেড়েছে। অনেক শিশুকেই আমরা সিট দিতে পারছি না। এই শীতে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিশু রোগীদের সেবা দিতে।’
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি শয্যায় একাধিক রোগী ভর্তি। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের। কথা হয় এলাসিন থেকে আসা আট মাস বয়সী আরিশার মায়ের সঙ্গে। তিনি জানান, চার দিন ধরে মেয়ের ঠান্ডাজ্বর। স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়ানো হয়। কিন্তু না কমায় দুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন কিছুটা কমছে। আরিশার মা বলেন, ‘এই ছোট বাচ্চা নিয়ে এক শয্যায় দুজন শিশু রাখা হচ্ছে।’
সদর উপজেলার দিঘুয়া এলাকা থেকে মেয়ের চিকিৎসা করাতে আসা শামিম আরা বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে মেয়ের জ্বর। গতকাল (সোমবার) সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দুপুরে হাসপাতালে এসেছিলাম। শয্যা খালি না থাকায় দুই শিশুকে এক শয্যায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
একই অবস্থা শিশু ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও। সেখানে সিট বরাদ্দ না পেয়ে এই শীতের মধ্যে বারান্দার মেঝেতে রয়েছে অনেক শিশু ও তার স্বজনেরা। উপজেলার বাসাখানপুর এলাকার লায়লা বেগম বলেন, ‘তিন বছরের মেয়ে তাছবি দুই দিন ধরে পাতলা পায়খানা করছে। খাবার স্যালাইন খাওয়ালেও কাজ হচ্ছিল না। গত (সোমবার) রাতে হাসপাতালে এনেছি। কিন্তু কোনো শয্যা পাইনি। এই শীতের মধ্যেও বারান্দার মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।’
বাসাইল উপজেলার গীতা রানী বলেন, ‘মেয়ে তনুশ্রীর বয়স আড়াই বছর। গতকাল সকাল থেকে বমি করছে, সঙ্গে পাতলা পায়খানা। বাসাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানকার চিকিৎসক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। গতকাল (সোমবার) দুপুরে ভর্তি করেছি। কিন্তু হাসপাতালে শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায় বেড পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. নুরুল ইসলাম শামীম বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়তই হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে জ্বর-ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। আগে প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ৭০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকত। বর্তমানে গড়ে ১১৫-১২০ জন রোগী ভর্তি থাকছে। এতে করে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীতে শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকদের শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ডা. নুরুল ইসলাম শামীম বলেন, এই সময়টাতে শিশুদের সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। সঙ্গে সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের পোশাক নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪