Ajker Patrika

নতুন পিন নম্বর পেতে লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ১২: ৫৮
নতুন পিন নম্বর পেতে লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষা

পোশাকের জন্য সরকারিভাবে ১ হাজার টাকা পেয়েছে ঢাকার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের নতুন বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া আক্তার। তার মায়ের মোবাইল ফোনে ‘নগদ’ হিসাবে সে এই আর্থিক সেবা পেয়েছে। কিন্তু পিন নম্বর অকার্যকর হয়ে পড়ার কারণে মা মিলি বেগম টাকা উত্তোলন করতে পারছিলেন না। পরে ২০ কিলোমিটার দূরে সাভার উপজেলা ডাকঘরে গিয়ে নতুন পিন নম্বর পাওয়ার পর গতকাল সোমবার টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। শুধু জাকিয়া আক্তারের মা মিলি বেগম নন, তাঁর মতো হাজারো অভিভাবক একই রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

মিলি বেগম বলেন, গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে তিনি সাভার উপজেলা ডাকঘরে পৌঁছান। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বেলা সাড়ে তিনটায় তিনি নগদের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাক্ষাৎ পান। পরে নতুন একটি পিন নম্বর পেয়ে টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হন।

একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের মোবাইলে নগদের হিসাবে আর্থিক সেবা পেয়ে থাকে। পোশাক কেনার জন্য সম্প্রতি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১ হাজার করে টাকা দিয়েছে সরকার, যা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ হিসাবে জমা হয়ে গেছে। কিন্তু পিন নম্বর অকার্যকর হয়ে পড়ায় অভিভাবকেরা সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছিলেন না। নগদের কর্মকর্তা বা কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি ছাড়া সমস্যার সমাধানও হচ্ছিল না। তাই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা নতুন পিন নম্বরের জন্য নগদের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিদের কাছে যাচ্ছেন। তাঁদের সহায়তায় নতুন পিন নম্বর দিয়ে টাকা উত্তোলন করছেন।

গতকাল দুপুরে সাভার ডাকঘরে গিয়ে নারীদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ে। পুরুষের লাইন ডাকঘরের ভেতরে থাকায় বাইরে থেকে তা দেখা যাচ্ছিল না। নগদের একজন কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি এক এক করে তাঁদের সমস্যার সমাধান করছিলেন। এতে দুই থেকে তিন মিনিট করে সময় লাগছিল। এতে বাইরে অপেক্ষার থাকা অভিভাবকদের সারি দীর্ঘ হচ্ছিল।

দিনভর লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও গতকাল নগদের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি পাশের ধামরাই উপজেলার চাউলাইল গ্রামের নেপাল সরকার। এর আগে গত রোববারও তিনি কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ বোধ করায় বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।

সাভার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আম্বার আলী বলেন, ‘পদ্ধতিগত দুর্বলতার কারণে এর আগে হ্যাকারেরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নগদ হিসাব থেকে টাকা নিয়ে গেছে। হ্যাকার রুখতে নগদ কর্তৃপক্ষ আগের সব পিন নম্বর অকার্যকর করে দিয়েছে।’

সাভার ডাকঘরে কর্মরত নগদের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি মোক্তাদিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ জন করে গ্রাহক সেবা নিতে আসছেন। সাধ্যমতো সেবা দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত