গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরামা এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইনের কারণে কেউ সহায়-সম্বল হারানোর শঙ্কায় আছেন, কেউ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বিধি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
বরামা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) উদ্যোগে গত বছর গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য বেশ কিছু টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। টাওয়ার নির্মাণের জন্য উপজেলার বরমী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় পতিত জমি থাকা সত্ত্বেও গতিপথ পরিবর্তন করে গ্রামের ভেতর আরও চারটি টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে গ্রামের অন্তত ৫০টি পরিবার।
বরামা গ্রামের রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই সীমানার গাছপালা ও জমির ফসল কেটে লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের একমাত্র সম্বল পাঁচ বিঘা জমির ওপর দিয়ে লাইন টানা হলে পুরো জমিই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ জন্য আমার প্রায় ২ হাজার কলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে, ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন দিয়েছি।’
বরামা গ্রামের সুমন সরকার বলেন, ‘নদীর পাড়ে অনেক জমি পতিত রয়েছে। নকশা অনুযায়ী ওই জমি দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বসানোর কথা; কিন্তু ওই পরিকল্পনা থেকে সরে এসে গ্রামের ভেতর দিয়ে অতিরিক্ত কয়েকটি টাওয়ার স্থাপন করে লাইন নেওয়া হচ্ছে। এতে গ্রামের একটি অংশের প্রায় ৫০টি পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে অথচ পতিত জমিতে টাওয়ার বসানো হলে গ্রামবাসী রক্ষা পেতেন।’
রমী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘উভয় পক্ষ মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছিল। পরে আমি বসে আলোচনা করতে দুপক্ষকে ডেকেছিলাম। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন সাড়া দেয়নি।’
বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন লাইনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সঞ্জয় বলেন, ‘১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর নিচে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা পুরোপুরি হুমকির মধ্যে বসবাস করা হবে।’
প্রকল্পের প্রকৌশলী চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমাদের লাইনের তার টানানোর জন্য যদি কোনো ক্ষতি হয়, তা হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধি আছে। অন্যথায় কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম নেই। স্থানীয়রা বাধা সৃষ্টি করায় এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।’
প্রকল্পের পরিচালক রুব্বাতুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেবেন না বলেন জানান তিনি। বক্তব্যের জন্য অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন করতে হবে বলে জানান।
যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেহেনা আখতার বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরামা এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইনের কারণে কেউ সহায়-সম্বল হারানোর শঙ্কায় আছেন, কেউ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বিধি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
বরামা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) উদ্যোগে গত বছর গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য বেশ কিছু টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। টাওয়ার নির্মাণের জন্য উপজেলার বরমী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় পতিত জমি থাকা সত্ত্বেও গতিপথ পরিবর্তন করে গ্রামের ভেতর আরও চারটি টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে গ্রামের অন্তত ৫০টি পরিবার।
বরামা গ্রামের রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই সীমানার গাছপালা ও জমির ফসল কেটে লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের একমাত্র সম্বল পাঁচ বিঘা জমির ওপর দিয়ে লাইন টানা হলে পুরো জমিই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ জন্য আমার প্রায় ২ হাজার কলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে, ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন দিয়েছি।’
বরামা গ্রামের সুমন সরকার বলেন, ‘নদীর পাড়ে অনেক জমি পতিত রয়েছে। নকশা অনুযায়ী ওই জমি দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বসানোর কথা; কিন্তু ওই পরিকল্পনা থেকে সরে এসে গ্রামের ভেতর দিয়ে অতিরিক্ত কয়েকটি টাওয়ার স্থাপন করে লাইন নেওয়া হচ্ছে। এতে গ্রামের একটি অংশের প্রায় ৫০টি পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে অথচ পতিত জমিতে টাওয়ার বসানো হলে গ্রামবাসী রক্ষা পেতেন।’
রমী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘উভয় পক্ষ মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছিল। পরে আমি বসে আলোচনা করতে দুপক্ষকে ডেকেছিলাম। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন সাড়া দেয়নি।’
বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন লাইনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সঞ্জয় বলেন, ‘১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর নিচে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা পুরোপুরি হুমকির মধ্যে বসবাস করা হবে।’
প্রকল্পের প্রকৌশলী চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমাদের লাইনের তার টানানোর জন্য যদি কোনো ক্ষতি হয়, তা হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধি আছে। অন্যথায় কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম নেই। স্থানীয়রা বাধা সৃষ্টি করায় এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।’
প্রকল্পের পরিচালক রুব্বাতুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেবেন না বলেন জানান তিনি। বক্তব্যের জন্য অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন করতে হবে বলে জানান।
যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেহেনা আখতার বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫