মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আমন ধানের মাঠ ডুবে আছে পানিতে। জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে আমন চাষাবাদের উপযোগী করার দাবিতে মৌলভীবাজারের কাওয়াদিঘি হাওর পাড়ের কৃষকেরা সমাবেশ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা সদরে প্রেসক্লাবের সামনে শত শত কৃষক এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। কৃষি ও কৃষক রক্ষা কমিটি নামকরণে ধানের চারা, কৃষকের ব্যবহৃত ছাতা, কোদালসহ কৃষি যন্ত্রাংশ নিয়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা।
কৃষি ও কৃষক রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা সেলিম আহমদের সভাপতিত্বে হুমায়ুন রশীদ সোয়েবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সদর ও রাজনগর উপজেলার কৃষকেরা।
কৃষক সমাবেশে আসা রাজনগর উপজেলার দুগাও, পৈতুরা, বাঙ্গালিয়া, বালিগাঁও, সোনাটিকি, সারমপুর, নিদনপুর গ্রামের কৃষকেরা জানান, চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও উজানের ঢলে হাওরে এখন ধারণক্ষমতার বেশি পানি। পানি কিছু কমলেও আবার বেড়ে যায়। ফলে হাওরের আশপাশের গ্রামগুলোর নিচু অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
তাঁরা বলেন, আমরা কৃষির ওপর নির্ভর। ফসল হলে আমরা বাঁচব, না হয় মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করে খেতে হবে।
জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সদর ও রাজনগর উপজেলার প্রায় ১০টি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক কৃষকদের উপস্থিতিতে কৃষক সমাবেশ জনসভায় পরিণত হয়। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য সমাবেশ শেষে কৃষকেরা বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
দুগাও গ্রামের কৃষক সুন্দর মিয়া বলেন, ‘৫০ জনের দল চাঁদা তুলে দুটি ট্রাক ভাড়া করে এসেছি। আমরা গরিব মানুষ, পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। পেটের জ্বালায় শহরে এসেছি দাবি আদায় করতে।’
বালিগাঁও গ্রামের কৃষক ছয়ফুল মিয়া বলেন, ‘কাশিমপুর সেচ পাম্প হাউসের আটটি পাম্প দিয়ে সেচ দিয়ে পানি নদীতে ফেলছে আমরা শুনেছি, তবু পানি কমছে না। পাম্প যারা চালায় তারা এখানে গাফিলতি করছে।’
সদর উপজেলার বানেশ্রী, কচুয়া, রায়পুর, কাদিপুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের হাওরের ওপরের অংশে এবং রাজনগর উপজেলার মেদিনীমহল, বালিগাঁও, সোনাটিকি, সারমপুর, পৈতুরাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের নিচু অংশ জলমগ্ন।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, সেচ দিয়ে কাওয়াদিঘি হাওরের পানির নামাতে কুশিয়ারা নদীর তীরে পাউবো ৮টি পাম্প স্থাপন করে ‘মনু সেচ প্রকল্পে’র আওতায় কাশিমপুর সেচ পাম্প হাউস। সেই পাম্প হাউস অনবরত সেচ দিয়ে পানি কুশিয়ারা নদীতে ফেলছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, কয়েক শ কৃষক এসেছেন জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি নিয়ে। যদিও বিষয়টি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
আমন ধানের মাঠ ডুবে আছে পানিতে। জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে আমন চাষাবাদের উপযোগী করার দাবিতে মৌলভীবাজারের কাওয়াদিঘি হাওর পাড়ের কৃষকেরা সমাবেশ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা সদরে প্রেসক্লাবের সামনে শত শত কৃষক এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। কৃষি ও কৃষক রক্ষা কমিটি নামকরণে ধানের চারা, কৃষকের ব্যবহৃত ছাতা, কোদালসহ কৃষি যন্ত্রাংশ নিয়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা।
কৃষি ও কৃষক রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা সেলিম আহমদের সভাপতিত্বে হুমায়ুন রশীদ সোয়েবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সদর ও রাজনগর উপজেলার কৃষকেরা।
কৃষক সমাবেশে আসা রাজনগর উপজেলার দুগাও, পৈতুরা, বাঙ্গালিয়া, বালিগাঁও, সোনাটিকি, সারমপুর, নিদনপুর গ্রামের কৃষকেরা জানান, চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও উজানের ঢলে হাওরে এখন ধারণক্ষমতার বেশি পানি। পানি কিছু কমলেও আবার বেড়ে যায়। ফলে হাওরের আশপাশের গ্রামগুলোর নিচু অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
তাঁরা বলেন, আমরা কৃষির ওপর নির্ভর। ফসল হলে আমরা বাঁচব, না হয় মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করে খেতে হবে।
জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সদর ও রাজনগর উপজেলার প্রায় ১০টি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক কৃষকদের উপস্থিতিতে কৃষক সমাবেশ জনসভায় পরিণত হয়। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য সমাবেশ শেষে কৃষকেরা বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
দুগাও গ্রামের কৃষক সুন্দর মিয়া বলেন, ‘৫০ জনের দল চাঁদা তুলে দুটি ট্রাক ভাড়া করে এসেছি। আমরা গরিব মানুষ, পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। পেটের জ্বালায় শহরে এসেছি দাবি আদায় করতে।’
বালিগাঁও গ্রামের কৃষক ছয়ফুল মিয়া বলেন, ‘কাশিমপুর সেচ পাম্প হাউসের আটটি পাম্প দিয়ে সেচ দিয়ে পানি নদীতে ফেলছে আমরা শুনেছি, তবু পানি কমছে না। পাম্প যারা চালায় তারা এখানে গাফিলতি করছে।’
সদর উপজেলার বানেশ্রী, কচুয়া, রায়পুর, কাদিপুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের হাওরের ওপরের অংশে এবং রাজনগর উপজেলার মেদিনীমহল, বালিগাঁও, সোনাটিকি, সারমপুর, পৈতুরাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের নিচু অংশ জলমগ্ন।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, সেচ দিয়ে কাওয়াদিঘি হাওরের পানির নামাতে কুশিয়ারা নদীর তীরে পাউবো ৮টি পাম্প স্থাপন করে ‘মনু সেচ প্রকল্পে’র আওতায় কাশিমপুর সেচ পাম্প হাউস। সেই পাম্প হাউস অনবরত সেচ দিয়ে পানি কুশিয়ারা নদীতে ফেলছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, কয়েক শ কৃষক এসেছেন জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি নিয়ে। যদিও বিষয়টি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪