Ajker Patrika

উচ্চশিক্ষা: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন যেভাবে

হাবিবুর রহমান রাব্বি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫: ৫০
উচ্চশিক্ষা: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন যেভাবে

যাঁরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাঁদের বেশির ভাগের সমস্যা হয় আবেদন করতে এসে।  ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। চলুন জেনে নিই পদ্ধতি দুটি। 

পদ্ধতি ১: ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে প্রোফাইল কমপ্লিট করার পর ইউনিভার্সিটি সার্চ করতে পারবেন। এতে একটি সুবিধা আছে। আপনার প্রোফাইলের সঙ্গে ম্যাচ করে যেই ইউনিভার্সিটিগুলোতে আপনি আবেদনের যোগ্য, সেই প্রোগ্রাম ও ইউনিভার্সিটিগুলো আপনার সামনে চলে আসবে। সেখান থেকে আপনি পছন্দমতো ইউনিভার্সিটি খুঁজে নিতে পারবেন। অ্যাপ্লাই বোর্ডের মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন একটি অ্যাকাউন্ট থেকে। এর বেশি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে চাইলে আপনাকে একাধিক মেইল দিয়েঅ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এদের ওয়েবসাইটে। শুরুতেই ইনভেস্ট করতে না চাইলে আপনি অ্যাপ্লিকেশন ফি ‘ফ্রি’ দেওয়া ভার্সিটিগুলোও সিলেক্ট করতে পারেন।

পদ্ধতি ২: পদ্ধতি-১-এর ওয়েবসাইট থেকে যেসব ইউনিভার্সিটিতে আপনার যোগ্যতা আছে, ভার্সিটিগুলো দেখে নেওয়ার পর চাইলে সরাসরি ওই ভার্সিটিগুলোর ওয়েবসাইটে গিয়েও আপনি আবেদন করতে পারেন। কারণ অ্যাপ্লাই বোর্ডের মাধ্যমে আবেদন করলে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। ওপরের পদ্ধতির যেটাই অনুসরণ করেন না কেন, আপনাকে সব ডকুমেন্টস স্ক্যান করে সেগুলো জমা করতে হবে। আবেদন ফি থাকলে সেটাও ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। মনে রাখবেন, পেমেন্ট যদি থাকে, তাহলে যতক্ষণ পেমেন্ট না দেবেন ততক্ষণ এরা (ভার্সিটি বা অ্যাপ্লাই বোর্ড) আপনার ফাইল নিয়ে কাজ করবে না। সঠিকভাবে আবেদন জমা করার পর আর কোনো কাজ নেই। এখন শুধু অফার লেটারের জন্য অপেক্ষা করবেন। অফার লেটার আসতে একেক ইউনিভার্সিটির একেক সময় লাগে। কোনো কোনো ইউনিভার্সিটি সাত দিনে অফার লেটার দিতে পারে, আবার অনেক ভার্সিটির এক থেকে দুই মাসও লাগতে পারে। তবে আমার মতে, সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, চার-পাঁচটা ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করে রাখতে পারেন; এতে এক মাসের মধ্যে ন্যূনতম দু-তিনটা অফার লেটার চলে আসার সম্ভাবনা থাকবে। সেখান থেকে আপনি সেরাটা নির্বাচন করতে পারবেন। 

  • অ্যাপ্লাই বোর্ডের মাধ্যমে আবেদন করলে সুবিধা–
    যেই ইউনিভার্সিটিতেই আবেদন করতে চান না কেন, সিস্টেম একই থাকে। এ কারণে একেক ইউনিভার্সিটির পোর্টালে আবেদন করার সিস্টেম একেক রকম হলেও অ্যাপ্লাই বোর্ডই ভার্সিটির পোর্টাল নিয়ন্ত্রণ করবে। আপনাকে পোর্টাল- জনিত ঝামেলা নিতে হবে না।
  • অনেক ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি আবেদন করতে পেমেন্ট দিতে হয়। কিন্তু অ্যাপ্লাই বোর্ডের সঙ্গে ইউনিভার্সিটিগুলোর লিংক থাকায় তারা অনেক সময় অ্যাপ্লিকেশন ফি ওয়েভার করে। 
  • অ্যাপ্লাই বোর্ডের মাধ্যমে আবেদন করলে অসুবিধা–
    যেহেতু আপনার হয়ে আবেদন করার স্বত্ব আপনি অ্যাপ্লাই বোর্ডকে দিয়ে দেবেন, সেহেতু আপনি সরাসরি আর ইউনিভার্সিটিতে যোগাযোগ করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটির অফিশিয়াল DSO (Designated School Official)-এর সঙ্গে আপনার খোলাখুলি কথা বলার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ইউনিভার্সিটি থেকে কিছু জানতে চাইলে সেটা থার্ড পার্টি অ্যাপ্লাই বোর্ডকে জানাতে হবে, এরপর এরা ইউনিভার্সিটি থেকে জেনে আপনাকে জানাবে। যেটা সরাসরি আবেদন করলে আপনি সরাসরি আপনার DSO থেকে জেনে নিতে পারতেন।
  • যেহেতু আপনি অ্যাপ্লাই বোর্ডের মাধ্যমে আবেদন করার পর এরা ম্যানুয়াল প্রসেস করে, সেহেতু অনেক সময় এরা দেরি করে ফেলতে পারে আপনাকে কোনো তথ্য জানাতে। ভার্সিটি থেকে কোনো নোটিশ দিলে সেটা টাইমমতো না-ও পেতে পারেন। তবে এমন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। 

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

হাবিবুর রহমান রাব্বি, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ, ক্যাম্পবেলসভিল ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক কেরানির ২৪টি আলিশান বাড়ি ও ৩০ হাজার কোটির সম্পদ

আরও বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সব কমিটি থেকে নারীদের সিস্টেমেটিক্যালি সাইড করা হয়েছে: সামান্তা শারমিন

অবরোধকারীদের ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের’ হামলা, পুলিশের লাঠিপেটায় শাহবাগ ফাঁকা

ব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে রেখে ‘৪ কোটি টাকা আদায়’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত