আবু সাইম, ঢাকা
দেশের তৃতীয় পর্যায়ের মোবাইল সেবা (থ্রি-জি) যেখানে গ্রাহকেরা ঠিকমতো পাচ্ছেন না, সেখানে ঢাকায় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা টেলিটক। এতে ব্যয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা। আগামী এক বছরে এ টাকা খরচ করতে চায় টেলিটক।
ময়মনসিংহ বিভাগের নতুন সদর নির্মাণে ‘ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পে প্রায় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ হবে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা।
দুটি প্রকল্পই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের জন্য উঠছে আজ।
অর্থনীতির চলমান সংকট মোকাবিলায় কৃচ্ছ্রসাধনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া নিরুৎসাহিত করেছে। এতে চলমান ৬৫০ প্রকল্পে অর্থায়ন কমিয়ে দিয়েছে সরকার। এমনকি ৯০টি প্রকল্পে পুরো অর্থছাড়ই বন্ধ থাকবে। এমন মুহূর্তেও কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অনুমোদনে চাপ বাড়ছে। এতে নতুন প্রকল্পে বরাদ্দের চাপ তৈরি হবে।
আজ একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে আট প্রকল্প। এর মধ্যে তিনটি সংশোধিত, পাঁচটি নতুন। সব প্রকল্পেই ব্যয় হবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বা দেশীয় অর্থ ব্যয় হবে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। শুধু একটি প্রকল্পে ১২২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব সময় প্রকল্পের পেছনে একটি সুবিধাভোগী পক্ষ থাকে। তারা চায় তাদের প্রকল্প যেকোনোভাবেই পাস হোক। বর্তমান অবস্থায় সরকারের উচিত বেছে বেছে প্রকল্প নেওয়া। এখনই দরকার নেই বা পরেও নেওয়া যাবে, সেসব প্রকল্প সংকট-পরবর্তী সময়ের জন্য রাখা উচিত। নতুন অপর দুটি প্রকল্পের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মূল কাজ গবেষণা ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন এবং প্রশিক্ষণ ও অফিসের সরঞ্জাম কেনা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘প্রকিউরমেন্ট অব মেশিনারি অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ফ্রম বেলারুশ ফর সিলেক্টেড মিউনিসিপ্যালিটিজ অ্যান্ড সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে’র নতুন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি টাকা।
একটি ‘কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমারে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী বরাবর পোল্ডারসমূহের (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭/বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্প যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। এরই মধ্যে তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ১৪১ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৩৬৮ কোটি টাকায়। ব্যয় বাড়ছে ১৬০ শতাংশ বা ২২৭ কোটি টাকা। মেয়াদ বাড়বে আরও এক বছর, ২০২৪ সাল পর্যন্ত। অনুমোদন পেলে এ প্রকল্পে বাড়তি ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে এ বছর।
অন্তহীন আরেক প্রকল্প ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন’। এর ব্যয় ৩৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৯০ কোটি টাকা।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের ‘কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজশাহী (১ম সংশোধিত)’ সংশোধনীর জন্য উঠছে। এর ব্যয়ও ৭৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ৯৯ কোটি টাকা হয়েছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব মামুন আল-রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে কারণেই হোক এসব প্রকল্প ঠিকমতো শেষ করতে পারেননি প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। এতে সরকারের অর্থের অপচয় হয়েছে, এটা স্বীকার করেই নিতে হবে।
দেশের তৃতীয় পর্যায়ের মোবাইল সেবা (থ্রি-জি) যেখানে গ্রাহকেরা ঠিকমতো পাচ্ছেন না, সেখানে ঢাকায় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা টেলিটক। এতে ব্যয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা। আগামী এক বছরে এ টাকা খরচ করতে চায় টেলিটক।
ময়মনসিংহ বিভাগের নতুন সদর নির্মাণে ‘ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পে প্রায় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ হবে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা।
দুটি প্রকল্পই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের জন্য উঠছে আজ।
অর্থনীতির চলমান সংকট মোকাবিলায় কৃচ্ছ্রসাধনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া নিরুৎসাহিত করেছে। এতে চলমান ৬৫০ প্রকল্পে অর্থায়ন কমিয়ে দিয়েছে সরকার। এমনকি ৯০টি প্রকল্পে পুরো অর্থছাড়ই বন্ধ থাকবে। এমন মুহূর্তেও কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অনুমোদনে চাপ বাড়ছে। এতে নতুন প্রকল্পে বরাদ্দের চাপ তৈরি হবে।
আজ একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে আট প্রকল্প। এর মধ্যে তিনটি সংশোধিত, পাঁচটি নতুন। সব প্রকল্পেই ব্যয় হবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বা দেশীয় অর্থ ব্যয় হবে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। শুধু একটি প্রকল্পে ১২২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব সময় প্রকল্পের পেছনে একটি সুবিধাভোগী পক্ষ থাকে। তারা চায় তাদের প্রকল্প যেকোনোভাবেই পাস হোক। বর্তমান অবস্থায় সরকারের উচিত বেছে বেছে প্রকল্প নেওয়া। এখনই দরকার নেই বা পরেও নেওয়া যাবে, সেসব প্রকল্প সংকট-পরবর্তী সময়ের জন্য রাখা উচিত। নতুন অপর দুটি প্রকল্পের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মূল কাজ গবেষণা ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন এবং প্রশিক্ষণ ও অফিসের সরঞ্জাম কেনা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘প্রকিউরমেন্ট অব মেশিনারি অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ফ্রম বেলারুশ ফর সিলেক্টেড মিউনিসিপ্যালিটিজ অ্যান্ড সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে’র নতুন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি টাকা।
একটি ‘কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমারে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী বরাবর পোল্ডারসমূহের (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭/বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্প যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। এরই মধ্যে তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ১৪১ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৩৬৮ কোটি টাকায়। ব্যয় বাড়ছে ১৬০ শতাংশ বা ২২৭ কোটি টাকা। মেয়াদ বাড়বে আরও এক বছর, ২০২৪ সাল পর্যন্ত। অনুমোদন পেলে এ প্রকল্পে বাড়তি ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে এ বছর।
অন্তহীন আরেক প্রকল্প ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন’। এর ব্যয় ৩৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৯০ কোটি টাকা।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের ‘কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজশাহী (১ম সংশোধিত)’ সংশোধনীর জন্য উঠছে। এর ব্যয়ও ৭৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ৯৯ কোটি টাকা হয়েছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব মামুন আল-রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে কারণেই হোক এসব প্রকল্প ঠিকমতো শেষ করতে পারেননি প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। এতে সরকারের অর্থের অপচয় হয়েছে, এটা স্বীকার করেই নিতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪