Ajker Patrika

শিক্ষক-প্রার্থীকে ২ নোটিশ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ২২: ৪৪
শিক্ষক-প্রার্থীকে ২ নোটিশ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নির্বাচনী প্রচারে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার অভিযোগে সেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানপ্রার্থীকে দুটি পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে নোটিশে।

আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে কেদার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কচাকাটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান। গত শনিবার দুপুরে বিষ্ণুপুর নয়আনা গ্রামে নিজ বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। এতে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মাদারগঞ্জ-ভূরুঙ্গামারী সড়কের কচাকাটা বাজার, কেদার ইউনিয়ন পরিষদ মোড় হয়ে ৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে তাঁর বাড়িতে যায়। সেখানে তাদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠক করেন প্রধানশিক্ষক। বৈঠকে ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে মোটরসাইকেল প্রতীকে তাদের মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজনের ভোট চান। পরে এ বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এদিকে গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম বিষয়টি অবগত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেদার ও কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে দুটি পৃথক চিঠি দেন। গতকালই মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ফজলুর রহমানকে ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ বিধি ১১(২) ভঙ্গের দায়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে তাঁর লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

অপরদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ওই প্রার্থীকে আরও একটি নোটিশ দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয় চলাকালীন ছাত্রীদের নিজ বাড়িতে আপ্যায়ন, তাদের নির্বাচনী মিছিল ও প্রচারকাজে সম্পৃক্ত করা বিদ্যালয় পরিচালনার সম্পূর্ণ বিধি লঙ্ঘন। এ জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ বিষয়ে নোটিশ প্রাপ্তির ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রার্থী ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের মোবাইলে গতকাল একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে গত শনিবার তিনি বলেন, ‘আমি ভোটে দাঁড়ানোর পর বিদ্যালয়ে যাইনি। তাই শিক্ষার্থীরা আমার বাড়িতে দেখা করতে এসেছে। তারা আমার নির্বাচনের প্রচারের কাজে আসেনি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ‘চিঠি পাওয়ার পরে ওই প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত