Ajker Patrika

সরকারি কলেজের শিক্ষক হয়ে দলীয় পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১৪: ৫৮
Thumbnail image

সরকারি চাকরির আচরণবিধি ভঙ্গ করে গঙ্গাচড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের পদপদবির জন্য লড়ছেন। তিনি মহানগরীর হাজির হাট থানার সাধারণ সম্পাদক হতে চান। এ জন্য আসন্ন ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন।

শহিদুল নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) রাজনীতি করতেন। ২০১৪ সালে দল বদল করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পরের বছরই ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে শিক্ষক শহিদুল ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার হাজির হাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

বিধিমালায় বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহেন্দ্র নাথ বলেন, ‘গত বছর কলেজটি জাতীয়করণ হয়েছে। শহিদুল ইসলাম জাতীয়করণের আগ থেকেই ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন। পাশাপাশি রাজনীতিও করেন। তাঁকে নিয়ে কেউ আমাকে কোনো অভিযোগ করেননি। তবে সরকারি কর্মচারী হয়ে রাজনীতি করার সুযোগ বিধিমালায় উল্লেখ নেই।’

জানতে চাইলে শহিদুল বলেন, ‘কলেজ যখন বেসরকারি ছিল তখন থেকে সেখানে চাকরি করে আসছি। সম্প্রতি আমাদের কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে। এখনো কোনো বিল হয়নি। যদি সরকারিভাবে কাগজপত্রে আপত্তি থাকে তাহলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব।’

যোগাযোগ করা হলে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নবী উল্লা-পান্না বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সরকারি চাকরিরত অবস্থায় তাঁর দল করার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিজীবী কেউ ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাইলে এটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত