Ajker Patrika

সৈকত থেকে ৪১৭ দোকান উচ্ছেদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
Thumbnail image

কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে গড়ে ওঠা চার শতাধিক ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের পর জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভা এসব দোকান উচ্ছেদ করে।

গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী এবং লাবণি পয়েন্টে এ অভিযান চালানো হয়। 
এ সময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদ, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সৈকতে ৫ শতাধিক দোকানের মধ্যে ৪১৭টি উচ্ছেদ করা হয়েছে। অন্য দোকানগুলো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি আদেশ রয়েছে। এসব দোকানের বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসন ও সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে বাৎসরিক প্রতিটি দোকান ৮ হাজার টাকা রাজস্ব দিয়ে বসানো হয়। এসব দোকান ভ্রাম্যমাণ (ভাসমান) হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীভাবে বসেছে। কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসন গণহারে ঝুপড়ি দোকান অনুমোদন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সৈকতের বালিয়াড়িতেও রাতারাতি বসেছে ঝুপড়ি দোকান।

সমুদ্রসৈকতের লাবণি পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সৈকতে অন্তত এক হাজার ঝুপড়ি দোকান রয়েছে। এতে সৈকতের সৌন্দর্য হানির পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সৈকতে যেসব দোকান উচ্ছেদ হয়েছে, তাদের প্রতি সরকার খুবই আন্তরিক। ইতিমধ্যে তাদের অন্যত্রে পুনর্বাসনের জন্য ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করা হয়েছে।’

সম্প্রতি হাইকোর্ট কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সমুদ্রসৈকতে অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে না, তা জানতে চেয়েছেন এবং আগামী ১৯ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে তার জবাব দিতে নির্দেশ দেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত