Ajker Patrika

নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা বাড়ছে বন্দরে

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৩১
নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা বাড়ছে বন্দরে

বন্দরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর একের পর এক হামলা, ভাঙচুর, পোস্টার ছেঁড়া ও ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা। বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধেই বড় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো প্রার্থী অভিযোগ দেওয়াকে সময়ের অপচয় হিসেবে দেখছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া, ধামগড়, মদনপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার একাধিক অভিযোগ ওঠে। এর ভেতর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, পোস্টার ছেঁড়া, মাইক ও গাড়ি ভাঙচুর করা। এ ছাড়া প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে মারামারি প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দিন প্রধান। তাঁর অভিযোগ প্রতিপক্ষ জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেলোয়ার প্রধানের নির্দেশে ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁর ক্যাম্প। যদিও দেলোয়ার তা অস্বীকার করে বলছেন, নৌকার মতো ক্ষমতাসীন দলের ক্যাম্প আমরা ভাঙব, এটি জীবনেও কেউ বিশ্বাস করবে না।

বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নে ২ মেম্বার প্রার্থীর সংঘর্ষে গুরুতর আহত তাওলাদ হোসেন (৭১) নামে এক বৃদ্ধ। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ হামলাকারী মেম্বার প্রার্থী আক্তার হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী বৃদ্ধ একই এলাকার মেম্বার প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের সমর্থক।

ধামগড় ইউনিয়নে রাতের আঁধারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়া, মাইক ভাঙচুর, গাড়ির কাচ ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে নৌকার প্রার্থী মাসুম আহম্মেদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন নিজেকে কোণঠাসা দাবি করছেন। তবে নৌকার প্রার্থী মাসুম আহম্মেদ বলছেন, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই কামাল হোসেন গল্প তৈরি করছে।

এ ছাড়া বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো মারামারি থেকে শুরু করে নানান ঘটনা প্রতিনিয়ত উঠে আসছে গণমাধ্যমে। তবে এসব ঘটনায় স্রেফ সতর্কতা জারি করা ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল কাদির বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগেই সব চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ডেকে আচরণবিধির ব্যাপারে সতর্ক করেছি। আর যেসব হামলার কথা বলা হচ্ছে, সে সম্পর্কে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তবে কিছুই যে হচ্ছে না, তা বলা যাবে না। কিন্তু আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত