Ajker Patrika

ফেসবুকে হঠাৎ সরব সবাই কয়েক ঘণ্টা পর নিশ্চুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১২: ৪৩
ফেসবুকে হঠাৎ সরব সবাই কয়েক ঘণ্টা পর নিশ্চুপ

গভীর রাতে হঠাৎ একটি প্যাডের স্ক্রিনশট দেখে নড়েচড়ে বসেন অনেকে। প্যাডটি মহানগর ছাত্রলীগের আদলে। তাতে নামের তালিকা। দাবি করা হয় এটি চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এটি। নেতাদের অভিনন্দন দেওয়াও শুরু হয়ে যায়। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই সব অভিনন্দনে যেন জল ঢেলে দিলেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি আর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা সবাই জানালেন, এই কমিটি ভুয়া। তাঁদের সইও নকল করা হয়েছে।

সেই কমিটির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মহানগর ছাত্রলীগের মতো প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে। যার ডান পাশে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সই ও সিল রয়েছে। বাঁ পাশে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের সই ও সিল রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে অনেকেই সেটিকে বাস্তব বলে ধরে নেন।

তবে সোমবার দুপুরে আড়াইটায় ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল করিম ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির এই তালিকাকে ভুয়া বলে জানাতেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট।

পরে ছাত্রলীগের নগর সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি লেখেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।’

গতকাল যোগাযোগ করা হলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতেই এই ষড়যন্ত্র। কিছু অনুপ্রবেশকারী ও ষড়যন্ত্রকারী আমাদের সই নকল করে এই ভুয়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছে। আমরা কারা এই কাজ করেছেন তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’

গত কদিন ধরে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানায় পাল্টাপাল্টি কমিটি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে নেতা–কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে। এর মধ্যেই এবার গায়েবি কমিটি দেওয়ার দৃশ্যও তাঁরা দেখলেন।

২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কলেজে শাখায় ২৫ সদস্যের আংশিক কমিটি দেয় নগর ছাত্রলীগ। এরপর সাড়ে তিন বছরেরও সময় ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই চলছে ছাত্রলীগের এই শাখা। নগরের রাজনীতিতে কলেজ শাখা কমিটির সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ দুজনই শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, দেড় বছর আগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১২১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে সুপারিশের জন্য দেন। তবে করোনা মহামারির কারণে পরে সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত