‘আমি যদি অনুভূতিটা বোতলবন্দী করে রাখতাম’—সবুজ মাঠে হাঁটতে হাঁটতে ক্রিকেটে নারীদের সাফল্য নিয়ে কথাটা বলছিলেন পাকিস্তানের ‘খেলো ক্রিকেট’-এর প্রতিষ্ঠাতা হাদিল ওবায়েদ। মেয়েদের নিয়ে প্রথমবারের মতো রাত্রিকালীন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। সেটিও পাকিস্তানের মতো রক্ষণশীল দেশে। আর এ টুর্নামেন্টই এখন বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে পাকিস্তানের মেয়েদের ক্রিকেটকে।
বিশ্বে এখন পুরুষ ক্রিকেটের সঙ্গে এখন এগিয়ে যাচ্ছে নারী ক্রিকেটও। মেয়েদের ক্রিকেটে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসির বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকলেও পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন ওবায়েদ নামের এক ক্রিকেট সংগঠক। করাচিতে ২০১৬ সালে টেপ টেনিস বল নিয়ে প্রথম তিনি চালু করেন ‘খেলো ক্রিকেট’। খেলা চলে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত।
উপমহাদেশে টেপ টেনিস বলের টুর্নামেন্ট নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানেও ছেলেদের রাত্রিকালীন টেপ টেনিস ক্রিকেট বেশ জনপ্রিয়। তবে এ জায়গায় বেশ পিছিয়ে ছিলেন নারীরা। নারীদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে ওবায়েদের মাথায় আসে খেলো ক্রিকেট আয়োজনের। সেই লক্ষ্যে সাত বছর আগে এই টুর্নামেন্টের ধারণা নিয়ে বিজ্ঞাপন দেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫০ নিবন্ধন পেয়ে উৎসাহটাও বেড়ে যায় তাঁর। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফের মধ্যে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে নারীরা খেলাধুলায় অনেক পিছিয়ে। তবে এই ‘ট্যাবু’ ভাঙার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ওবায়েদ। এখন নিজের কন্যাদেরও মাঠে দেখে আবেগতাড়িত এবং উৎসাহিত হন মায়েরা। পাকিস্তানি মায়েদের এমন কথাগুলোয় বিবিসিকে সম্প্রতি জানিয়েছেন খেলো ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ‘মায়েরা আমার সামনে কাঁদেন এবং বলেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মেয়েদের সুযোগ করে দেওয়ায়।’
২০২৩ সালে খেলো ক্রিকেট বছরেই হতে যাচ্ছে পাঁচবার। একেক সংস্করণে অংশ নিচ্ছে পুরো পাকিস্তানের ১০-১২টি দল। ম্যাচ সর্বোচ্চ ২০ ওভারের। টেনিস বলের ওপর বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানোর টেপ দিয়ে মোড়ানো শক্ত বল দিয়ে হয় খেলা। শুরুটা করাচিতে হলেও লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে এই টুর্নামেন্ট ছড়িয়ে দিতে চান ওবায়েদ। তিনি জানান, এই টুর্নামেন্ট নারীদের নিরাপদে ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিচ্ছে। আর এই টুর্নামেন্টের কারণে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে পাকিস্তানের স্থানীয় নারী ক্লাবগুলোও।
পাকিস্তান জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ফাতিমা সানা উঠে এসেছেন খেলো ক্রিকেট থেকে। গত বছর সানা আইসিসি নারী উদীয়মান ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এই টুর্নামেন্টটির। ওবায়েদ খেয়াল করেছেন, প্রতিটি টুর্নামেন্টে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাচ্ছে। টেলিগ্রাফকে তিনি বলছিলেন, ‘আমরা দেখছি, অনেক বাবা, ভাই কিংবা মানুষ—যাঁরা বাধা হতেন, তাঁরাই এখন রোমাঞ্চিত। আমাদের মেয়েরা পাকিস্তানের হয়ে খেলতে যাচ্ছে, এটা তারা গর্ব নিয়ে বলে। জানি না আগে এই গর্ব কেন দেখা যেত না। এখন আমরা এটাকে দেখি আসল উদ্যাপন আর সুযোগ হিসেবে।’
‘আমি যদি অনুভূতিটা বোতলবন্দী করে রাখতাম’—সবুজ মাঠে হাঁটতে হাঁটতে ক্রিকেটে নারীদের সাফল্য নিয়ে কথাটা বলছিলেন পাকিস্তানের ‘খেলো ক্রিকেট’-এর প্রতিষ্ঠাতা হাদিল ওবায়েদ। মেয়েদের নিয়ে প্রথমবারের মতো রাত্রিকালীন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। সেটিও পাকিস্তানের মতো রক্ষণশীল দেশে। আর এ টুর্নামেন্টই এখন বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে পাকিস্তানের মেয়েদের ক্রিকেটকে।
বিশ্বে এখন পুরুষ ক্রিকেটের সঙ্গে এখন এগিয়ে যাচ্ছে নারী ক্রিকেটও। মেয়েদের ক্রিকেটে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসির বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকলেও পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন ওবায়েদ নামের এক ক্রিকেট সংগঠক। করাচিতে ২০১৬ সালে টেপ টেনিস বল নিয়ে প্রথম তিনি চালু করেন ‘খেলো ক্রিকেট’। খেলা চলে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত।
উপমহাদেশে টেপ টেনিস বলের টুর্নামেন্ট নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানেও ছেলেদের রাত্রিকালীন টেপ টেনিস ক্রিকেট বেশ জনপ্রিয়। তবে এ জায়গায় বেশ পিছিয়ে ছিলেন নারীরা। নারীদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে ওবায়েদের মাথায় আসে খেলো ক্রিকেট আয়োজনের। সেই লক্ষ্যে সাত বছর আগে এই টুর্নামেন্টের ধারণা নিয়ে বিজ্ঞাপন দেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫০ নিবন্ধন পেয়ে উৎসাহটাও বেড়ে যায় তাঁর। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফের মধ্যে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে নারীরা খেলাধুলায় অনেক পিছিয়ে। তবে এই ‘ট্যাবু’ ভাঙার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ওবায়েদ। এখন নিজের কন্যাদেরও মাঠে দেখে আবেগতাড়িত এবং উৎসাহিত হন মায়েরা। পাকিস্তানি মায়েদের এমন কথাগুলোয় বিবিসিকে সম্প্রতি জানিয়েছেন খেলো ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ‘মায়েরা আমার সামনে কাঁদেন এবং বলেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মেয়েদের সুযোগ করে দেওয়ায়।’
২০২৩ সালে খেলো ক্রিকেট বছরেই হতে যাচ্ছে পাঁচবার। একেক সংস্করণে অংশ নিচ্ছে পুরো পাকিস্তানের ১০-১২টি দল। ম্যাচ সর্বোচ্চ ২০ ওভারের। টেনিস বলের ওপর বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানোর টেপ দিয়ে মোড়ানো শক্ত বল দিয়ে হয় খেলা। শুরুটা করাচিতে হলেও লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে এই টুর্নামেন্ট ছড়িয়ে দিতে চান ওবায়েদ। তিনি জানান, এই টুর্নামেন্ট নারীদের নিরাপদে ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিচ্ছে। আর এই টুর্নামেন্টের কারণে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে পাকিস্তানের স্থানীয় নারী ক্লাবগুলোও।
পাকিস্তান জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ফাতিমা সানা উঠে এসেছেন খেলো ক্রিকেট থেকে। গত বছর সানা আইসিসি নারী উদীয়মান ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এই টুর্নামেন্টটির। ওবায়েদ খেয়াল করেছেন, প্রতিটি টুর্নামেন্টে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাচ্ছে। টেলিগ্রাফকে তিনি বলছিলেন, ‘আমরা দেখছি, অনেক বাবা, ভাই কিংবা মানুষ—যাঁরা বাধা হতেন, তাঁরাই এখন রোমাঞ্চিত। আমাদের মেয়েরা পাকিস্তানের হয়ে খেলতে যাচ্ছে, এটা তারা গর্ব নিয়ে বলে। জানি না আগে এই গর্ব কেন দেখা যেত না। এখন আমরা এটাকে দেখি আসল উদ্যাপন আর সুযোগ হিসেবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫