মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় কর্মসৃজন কর্মসূচি থেকে ১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শ্রমিক ফুলবাবু এই অভিযোগ তুলে আবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ফুলবাবু জানান, তিনিসহ ১৪ শ্রমিক সরকারের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির শুরু থেকে কাজ করে আসছিলেন। তাঁরা গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বাদল কর্মসূচির শ্রমিকদের তালিকা থেকে তাঁদের ছাঁটাই করে দিয়েছেন।
ফুলবাবু বলেন, তিনি প্রতিকার চেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন।
জমা দেওয়া আবেদনপত্রে ফুলবাবু ছাড়াও যে শ্রমিকদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন আব্দুল্লাপুর গ্রামের সোহেল রানা, খোকন মিয়া, রবিউল ইসলাম, জমশেদ আলী, নলিদ চন্দ্র, মানিক মিয়া, আশিকুর রহমান, হাওয়া বিবি, রাশেদ মিয়া, মজনু মিয়া ও মিলন মিয়া এবং হরিহরপুর গ্রামের আকমল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, ইউপি নির্বাচনের আগেই অনেক শ্রমিক কর্মসৃজন কর্মসূচি থেকে বাদ পড়েছেন। আগের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় কিছু সংখ্যক শ্রমিক কর্ম হারিয়েছেন। নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বা প্রতিহিংসাবশত কাউকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়নি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর ইন্ধনে ফুলবাবুসহ অন্যরা অবান্তর অভিযোগ করছেন।
এ বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল রায় জানান, ইউপি নির্বাচনের আগে উপজেলার ১৭ ইউনিয়নেই কিছু সংখ্যক শ্রমিককে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
একই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার কেরকেটার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিঠাপুকুর উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে শ্রমিক ছিলেন ৬ হাজার ১৩৬ জন। পরবর্তী প্রকল্পে ৪ হাজার ১৭৯ শ্রমিকের পারিশ্রমিকের অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ কারণে ১ হাজার ৯৫৭ শ্রমিককে ছাঁটাই করতে হয়েছে।
সন্তোষ কুমার জানান, শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা হতদরিদ্র এবং কাজ করার শারীরিক শক্তি আছে, তাঁদের কর্মে রাখা হয়েছে। বয়স বেশি এবং অন্যদের তুলনায় সচ্ছল এমন শ্রমিকেরাই বাদ পড়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন, ফুলবাবুর অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিঠাপুকুরের ১৭ ইউনিয়নে একসঙ্গে কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ৪০ দিনের কাজ চলছে। এতে ৪ হাজার ১৭৯ উপকারভোগী নারী ও পুরুষ শ্রমিক প্রতিদিন ৪০০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। ইউএনও ফাতেমাতুজ জোহরা ১৪ মে লতিবপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা সংস্কার শুরুর মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি শ্রমিকদের আন্তরিকভাবে উন্নয়নকাজে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে সাধারণত কাঁচা রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাটি ভরাট করা হয়।
মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় কর্মসৃজন কর্মসূচি থেকে ১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শ্রমিক ফুলবাবু এই অভিযোগ তুলে আবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ফুলবাবু জানান, তিনিসহ ১৪ শ্রমিক সরকারের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির শুরু থেকে কাজ করে আসছিলেন। তাঁরা গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বাদল কর্মসূচির শ্রমিকদের তালিকা থেকে তাঁদের ছাঁটাই করে দিয়েছেন।
ফুলবাবু বলেন, তিনি প্রতিকার চেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন।
জমা দেওয়া আবেদনপত্রে ফুলবাবু ছাড়াও যে শ্রমিকদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন আব্দুল্লাপুর গ্রামের সোহেল রানা, খোকন মিয়া, রবিউল ইসলাম, জমশেদ আলী, নলিদ চন্দ্র, মানিক মিয়া, আশিকুর রহমান, হাওয়া বিবি, রাশেদ মিয়া, মজনু মিয়া ও মিলন মিয়া এবং হরিহরপুর গ্রামের আকমল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, ইউপি নির্বাচনের আগেই অনেক শ্রমিক কর্মসৃজন কর্মসূচি থেকে বাদ পড়েছেন। আগের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় কিছু সংখ্যক শ্রমিক কর্ম হারিয়েছেন। নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বা প্রতিহিংসাবশত কাউকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়নি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর ইন্ধনে ফুলবাবুসহ অন্যরা অবান্তর অভিযোগ করছেন।
এ বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল রায় জানান, ইউপি নির্বাচনের আগে উপজেলার ১৭ ইউনিয়নেই কিছু সংখ্যক শ্রমিককে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
একই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার কেরকেটার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিঠাপুকুর উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে শ্রমিক ছিলেন ৬ হাজার ১৩৬ জন। পরবর্তী প্রকল্পে ৪ হাজার ১৭৯ শ্রমিকের পারিশ্রমিকের অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ কারণে ১ হাজার ৯৫৭ শ্রমিককে ছাঁটাই করতে হয়েছে।
সন্তোষ কুমার জানান, শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা হতদরিদ্র এবং কাজ করার শারীরিক শক্তি আছে, তাঁদের কর্মে রাখা হয়েছে। বয়স বেশি এবং অন্যদের তুলনায় সচ্ছল এমন শ্রমিকেরাই বাদ পড়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন, ফুলবাবুর অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিঠাপুকুরের ১৭ ইউনিয়নে একসঙ্গে কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ৪০ দিনের কাজ চলছে। এতে ৪ হাজার ১৭৯ উপকারভোগী নারী ও পুরুষ শ্রমিক প্রতিদিন ৪০০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। ইউএনও ফাতেমাতুজ জোহরা ১৪ মে লতিবপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা সংস্কার শুরুর মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি শ্রমিকদের আন্তরিকভাবে উন্নয়নকাজে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে সাধারণত কাঁচা রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাটি ভরাট করা হয়।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
২০ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪