নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
নানা শঙ্কা নিয়ে শুরু হয় অমর একুশে বইমেলা। তবে এক সপ্তাহ না পেরোতেই মেলা জমে উঠেছে। লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের পদচারণে মুখর মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় আগত বইপ্রেমীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আসছে নতুন বই, বাড়ছে বেচাবিক্রি। প্রকাশের তালিকায় কাব্যগ্রন্থ এগিয়ে থাকলেও বিক্রির শীর্ষে রয়েছে উপন্যাস। তা ছাড়া আত্মোন্নয়নমূলক, গল্প, রাজনীতি ও অনুবাদের বইয়ের কদরও কমে যায়নি।
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম আট দিনে মেলায় নতুন যেসব বই এসেছে, সেগুলোর মধ্যে কবিতার বই এসেছে মোট ২২৯টি। একই সময়ে নতুন উপন্যাস এসেছে ১২০টি। তা ছাড়া অর্ধশতাধিক গল্পের বই, ২০টির বেশি মুক্তিযুদ্ধের বই ও বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মেলা ঘুরে বিক্রয় প্রতিনিধি ও প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হালের নতুন লেখকদের উপন্যাসের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের বইও। অন্বেষা প্রকাশনীর যেসব বই বেশি বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে উপন্যাসের সংখ্যাই বেশি। হুমায়ূন আহমেদের রূপা যেমন বিক্রি হচ্ছে, তেমনি বিক্রি হচ্ছে নতুন লেখক জুয়েল আহসান কামরুলের লেখা উপন্যাস ‘কী মনো কন্যা’ প্রভৃতি উপন্যাস। উপন্যাসের পরেই বিক্রির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে আত্মোন্নয়নমূলক ও গল্পের বই। অন্বেষা প্রকাশনীর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিক্রীত বই ‘ব্রেইন গেইম’। আত্মোন্নয়নমূলক বা মোটিভেশনাল এই বই দিনে কম করে হলেও শত কপি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন অন্বেষার বিক্রয় প্রতিনিধি আকাশ।
শোভা প্রকাশনীর স্টলে বেশি বিক্রি হচ্ছে শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস। ‘দেবদাস’, ‘চোখের বালি’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘গৃহদাহ’, ‘শ্রীকান্ত’সহ (অখণ্ড) বিক্রি হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’।
মেলায় ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে সাবলীলভাবে জানা ও বোঝার জন্য রবীন্দ্রনাথ পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আমার ছেলে নিজেই রবীন্দ্রনাথের “শেষের কবিতা” কিনে নিয়েছে।’
শিশু-কিশোরদের বইয়ের মধ্যে থ্রিলার, নীতিকথামূলক, রূপকথা ও আঁকার বই বিক্রি হচ্ছে বেশি। মাওলা ব্রাদার্স, কথাপ্রকাশ ও জাগৃতি প্রকাশনীর স্টলগুলোতে কথা বলে জানা যায়, ‘ক্র্যাচের কর্নেল’, ‘যদ্যপি আমার গুরু’সহ ছোটদের বই এবং প্রবন্ধ ও ইসলামি ধাঁচের বইগুলোর কাটতি আছে বেশ।
শিশুরা বেশি কিনছেন নীতিকথা, ভূতের গল্প ও রঙিন আঁকার বইগুলো। ঘাসফুল প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি সাথী আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেলার শুরু থেকেই আমাদের বিক্রি সন্তোষজনক। শিশুরা রঙিন ছবি আঁকা, ভূত ও নীতিকথামূলক বইগুলো বেশি কিনছে।’ রাজনীতি, অনুবাদের বইও বিক্রি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। রাজনীতি নিয়ে বিশ্লেষণমূলক বইয়ের মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে তারেক শামসুর রেহমানের সর্বশেষ লেখা বই ‘করোনা পরবর্তী বিশ্বরাজনীতি’।
কথাপ্রকাশের বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, এবারের বিক্রি ভালো। নতুন-পুরোনো উপন্যাস বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে আমাদের এখানে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বইও তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাচ্চাদের বই এবং ইসলামি বই বিক্রির সংখ্যা উল্লেখ করার মতো।
নানা শঙ্কা নিয়ে শুরু হয় অমর একুশে বইমেলা। তবে এক সপ্তাহ না পেরোতেই মেলা জমে উঠেছে। লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের পদচারণে মুখর মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় আগত বইপ্রেমীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আসছে নতুন বই, বাড়ছে বেচাবিক্রি। প্রকাশের তালিকায় কাব্যগ্রন্থ এগিয়ে থাকলেও বিক্রির শীর্ষে রয়েছে উপন্যাস। তা ছাড়া আত্মোন্নয়নমূলক, গল্প, রাজনীতি ও অনুবাদের বইয়ের কদরও কমে যায়নি।
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম আট দিনে মেলায় নতুন যেসব বই এসেছে, সেগুলোর মধ্যে কবিতার বই এসেছে মোট ২২৯টি। একই সময়ে নতুন উপন্যাস এসেছে ১২০টি। তা ছাড়া অর্ধশতাধিক গল্পের বই, ২০টির বেশি মুক্তিযুদ্ধের বই ও বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মেলা ঘুরে বিক্রয় প্রতিনিধি ও প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হালের নতুন লেখকদের উপন্যাসের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের বইও। অন্বেষা প্রকাশনীর যেসব বই বেশি বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে উপন্যাসের সংখ্যাই বেশি। হুমায়ূন আহমেদের রূপা যেমন বিক্রি হচ্ছে, তেমনি বিক্রি হচ্ছে নতুন লেখক জুয়েল আহসান কামরুলের লেখা উপন্যাস ‘কী মনো কন্যা’ প্রভৃতি উপন্যাস। উপন্যাসের পরেই বিক্রির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে আত্মোন্নয়নমূলক ও গল্পের বই। অন্বেষা প্রকাশনীর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিক্রীত বই ‘ব্রেইন গেইম’। আত্মোন্নয়নমূলক বা মোটিভেশনাল এই বই দিনে কম করে হলেও শত কপি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন অন্বেষার বিক্রয় প্রতিনিধি আকাশ।
শোভা প্রকাশনীর স্টলে বেশি বিক্রি হচ্ছে শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস। ‘দেবদাস’, ‘চোখের বালি’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘গৃহদাহ’, ‘শ্রীকান্ত’সহ (অখণ্ড) বিক্রি হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’।
মেলায় ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে সাবলীলভাবে জানা ও বোঝার জন্য রবীন্দ্রনাথ পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আমার ছেলে নিজেই রবীন্দ্রনাথের “শেষের কবিতা” কিনে নিয়েছে।’
শিশু-কিশোরদের বইয়ের মধ্যে থ্রিলার, নীতিকথামূলক, রূপকথা ও আঁকার বই বিক্রি হচ্ছে বেশি। মাওলা ব্রাদার্স, কথাপ্রকাশ ও জাগৃতি প্রকাশনীর স্টলগুলোতে কথা বলে জানা যায়, ‘ক্র্যাচের কর্নেল’, ‘যদ্যপি আমার গুরু’সহ ছোটদের বই এবং প্রবন্ধ ও ইসলামি ধাঁচের বইগুলোর কাটতি আছে বেশ।
শিশুরা বেশি কিনছেন নীতিকথা, ভূতের গল্প ও রঙিন আঁকার বইগুলো। ঘাসফুল প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি সাথী আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেলার শুরু থেকেই আমাদের বিক্রি সন্তোষজনক। শিশুরা রঙিন ছবি আঁকা, ভূত ও নীতিকথামূলক বইগুলো বেশি কিনছে।’ রাজনীতি, অনুবাদের বইও বিক্রি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। রাজনীতি নিয়ে বিশ্লেষণমূলক বইয়ের মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে তারেক শামসুর রেহমানের সর্বশেষ লেখা বই ‘করোনা পরবর্তী বিশ্বরাজনীতি’।
কথাপ্রকাশের বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, এবারের বিক্রি ভালো। নতুন-পুরোনো উপন্যাস বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে আমাদের এখানে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বইও তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাচ্চাদের বই এবং ইসলামি বই বিক্রির সংখ্যা উল্লেখ করার মতো।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫