নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে ব্যাংকিং খাতে দুর্দশা চলছে। চালানো কঠিন হয়ে পড়ায় কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে। ব্যাংকিং খাতের এই দুরবস্থার জন্য প্রথমত ব্যাংক মালিকেরাই দায়ী। তাঁদের লুটপাটের কারণে অনেকগুলো ব্যাংক ধ্বংসের মুখে চলে গেছে। আর এই কাজে তাঁদের সহায়তা করেছে সরকার ও প্রশাসন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন মতই উঠে এসেছে সমাজের বিশিষ্টজনদের আলোচনায়। ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: ইকোনমি, পলিটিকস, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক বইটি সম্পাদনা করেছেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান ও সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. রওনক জাহান।
বইটিতে ১৫ জন লেখকের প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। রওনক জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখকেরা সরাসরি ও অনলাইনে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘এখন আমরা গণতন্ত্রের অবক্ষয় দেখছি। জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। সবাই কি একই বিচার পাচ্ছে? পুলিশ সবাইকে একই সেবা দিচ্ছে? সবাই ব্যাংকঋণ পাচ্ছে? আসলে নির্বাচন কমিশন ও দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এখানে ভালো নির্বাচন হতো। যে পদ্ধতি পাকিস্তান ও নেপাল গ্রহণ করেছিল। দুই দলের রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষা হয়েছিল। এখন আমরা কী দেখছি?’
বইয়ের একটি প্রবন্ধের লেখক ও সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘৫১ বছরে বিভিন্নভাবে আর্থসামাজিক উত্তরণ হয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে কয়েকটি বিষয় দ্বিতীয় প্রজন্মকে চ্যালেঞ্জের সামনে নিয়ে গেছে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমরা সামনে টেকসই হব কি না, মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ব কি না, সেটিই এখন চিন্তার বিষয়।’
আরেক লেখক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, সাফল্যের বিপরীতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা অনেক বেশি। বাংলাদেশে এখন সংস্কার জরুরি।
বইয়ের একটি প্রবন্ধের লেখক অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বাংলাদেশে গরিবের উন্নতি শামুকের গতিতে আর ধনীদের রকেট গতিতে হয়েছে। শ্রমিকের গড় উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে, সে হারে মজুরি বাড়েনি।
বইয়ের একটি প্রবন্ধের লেখক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দুর্নীতি এখন ধনীদের মূল অ্যাজেন্ডা। আগে দুর্নীতি করা হতো নিজের স্বার্থের জন্য। এখন তারা দুর্নীতি করে নিজের নিরাপত্তার জন্য।
দেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে রক্ষণশীল ইসলামপন্থীরা আরও শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বইটির আরেক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আলী রীয়াজ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, সরকার ইসলামপন্থীদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সে শূন্যতা পূরণ করেছে রক্ষণশীল ইসলামপন্থীরা।
লেখকদের আলোচনা শেষে বইয়ের পর্যালোচনা (রিভিউ) করে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। প্রবন্ধের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এখন সুবিধা পেতে রাজনৈতিক অভিজাতদের সঙ্গে চক্র গড়ে তুলেছেন। ব্যবসায়ীরা এখন রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করতে সম্পদ বিনিয়োগ করেন। সমন্বিত রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলে তাঁরা নীতিমালার গতিমুখ নির্ধারণ করার ক্ষমতা অর্জন করেছেন।’
দেশের ব্যাংকিং খাতের বিষয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি মালিকদের লুটপাটের ফলে অনেকগুলো ব্যাংক ধ্বংসের মুখে। এগুলো ধ্বংস করতে সরকার, প্রশাসন সহায়তা করেছে। এগুলোকে এখন আবার সরকার উদ্যোগী হয়ে একীভূত করার নামে ভালো ব্যাংকগুলোর ওপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
বইটি পর্যালোচনা করে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আপাত স্ববিরোধী বিষয় নয়। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ছাড়া কীভাবে উন্নয়ন হলো, সেটা আর এখন আলোচনার বিষয় নয়। বরং উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও কেন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হচ্ছে না, এখন সেটা বুঝতে হবে।’ এই অবস্থায় তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা যেমন উঠতে পারি, তেমনি পিছলেও যেতে পারি।’
দেশে ব্যাংকিং খাতে দুর্দশা চলছে। চালানো কঠিন হয়ে পড়ায় কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে। ব্যাংকিং খাতের এই দুরবস্থার জন্য প্রথমত ব্যাংক মালিকেরাই দায়ী। তাঁদের লুটপাটের কারণে অনেকগুলো ব্যাংক ধ্বংসের মুখে চলে গেছে। আর এই কাজে তাঁদের সহায়তা করেছে সরকার ও প্রশাসন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন মতই উঠে এসেছে সমাজের বিশিষ্টজনদের আলোচনায়। ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: ইকোনমি, পলিটিকস, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক বইটি সম্পাদনা করেছেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান ও সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. রওনক জাহান।
বইটিতে ১৫ জন লেখকের প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। রওনক জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখকেরা সরাসরি ও অনলাইনে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘এখন আমরা গণতন্ত্রের অবক্ষয় দেখছি। জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। সবাই কি একই বিচার পাচ্ছে? পুলিশ সবাইকে একই সেবা দিচ্ছে? সবাই ব্যাংকঋণ পাচ্ছে? আসলে নির্বাচন কমিশন ও দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এখানে ভালো নির্বাচন হতো। যে পদ্ধতি পাকিস্তান ও নেপাল গ্রহণ করেছিল। দুই দলের রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষা হয়েছিল। এখন আমরা কী দেখছি?’
বইয়ের একটি প্রবন্ধের লেখক ও সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘৫১ বছরে বিভিন্নভাবে আর্থসামাজিক উত্তরণ হয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে কয়েকটি বিষয় দ্বিতীয় প্রজন্মকে চ্যালেঞ্জের সামনে নিয়ে গেছে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমরা সামনে টেকসই হব কি না, মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ব কি না, সেটিই এখন চিন্তার বিষয়।’
আরেক লেখক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, সাফল্যের বিপরীতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা অনেক বেশি। বাংলাদেশে এখন সংস্কার জরুরি।
বইয়ের একটি প্রবন্ধের লেখক অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বাংলাদেশে গরিবের উন্নতি শামুকের গতিতে আর ধনীদের রকেট গতিতে হয়েছে। শ্রমিকের গড় উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে, সে হারে মজুরি বাড়েনি।
বইয়ের একটি প্রবন্ধের লেখক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দুর্নীতি এখন ধনীদের মূল অ্যাজেন্ডা। আগে দুর্নীতি করা হতো নিজের স্বার্থের জন্য। এখন তারা দুর্নীতি করে নিজের নিরাপত্তার জন্য।
দেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে রক্ষণশীল ইসলামপন্থীরা আরও শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বইটির আরেক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আলী রীয়াজ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, সরকার ইসলামপন্থীদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সে শূন্যতা পূরণ করেছে রক্ষণশীল ইসলামপন্থীরা।
লেখকদের আলোচনা শেষে বইয়ের পর্যালোচনা (রিভিউ) করে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। প্রবন্ধের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এখন সুবিধা পেতে রাজনৈতিক অভিজাতদের সঙ্গে চক্র গড়ে তুলেছেন। ব্যবসায়ীরা এখন রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করতে সম্পদ বিনিয়োগ করেন। সমন্বিত রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলে তাঁরা নীতিমালার গতিমুখ নির্ধারণ করার ক্ষমতা অর্জন করেছেন।’
দেশের ব্যাংকিং খাতের বিষয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি মালিকদের লুটপাটের ফলে অনেকগুলো ব্যাংক ধ্বংসের মুখে। এগুলো ধ্বংস করতে সরকার, প্রশাসন সহায়তা করেছে। এগুলোকে এখন আবার সরকার উদ্যোগী হয়ে একীভূত করার নামে ভালো ব্যাংকগুলোর ওপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
বইটি পর্যালোচনা করে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আপাত স্ববিরোধী বিষয় নয়। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ছাড়া কীভাবে উন্নয়ন হলো, সেটা আর এখন আলোচনার বিষয় নয়। বরং উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও কেন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হচ্ছে না, এখন সেটা বুঝতে হবে।’ এই অবস্থায় তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা যেমন উঠতে পারি, তেমনি পিছলেও যেতে পারি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪