উচ্ছেদের পর আবার দখল

কুমিল্লা নগরীর যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত উচ্ছেদে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের অভিযান। এ অভিযানে ফুটপাত ও সড়কের অবৈধ স্থাপনা, যানবাহন স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযানের কয়েক দিন পরেই আবার ফুটপাত ও সড়ক দখল হয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি নগরীর চকবাজার, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, টমছমব্রিজসহ বিভিন্ন মোড়ে অস্থায়ী সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু গতকাল এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অভিযানে সড়কের ওপর থেকে এসব সরিয়ে দেওয়া হলেও পুনরায় আবার দখল হয়ে গেছে। আবার অনেক দোকানি ফুটপাত ও সড়কে মালামাল রেখে দখল করে রেখেছেন।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার দুই দিনব্যাপী নগরীর কান্দিরপাড় থেকে পুলিশ লাইন সড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর নগরীর কান্দিরপাড়ের ফুটপাতে গতকাল বিকেল পর্যন্ত হকার বসতে দেখা যায়নি। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে।

যানজট নিরসন ও অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম। অভিযানে সহযোগিতা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্ত ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান রাসেল। এ সময় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান আলমগীর হোসেন, পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন ইকুসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানে বিভিন্ন সড়কে স্থায়ী দোকানের সামনে নালার ওপরে রাখা মালামাল জব্দ করা হয়। তা ছাড়া দোকানের বাইরে বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হয়। সেই সঙ্গে করা হচ্ছে সর্তকতামূলক মাইকিং। সাম্প্রতিক সময়ে নগরীতে যানজট প্রকট আকার ধারণ করায় অসহনীয় যানজটে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পরছেন নগরবাসী। কুমিল্লা নগরীর যানজটের ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যানজট নিরসনে দিনের বেলায় নগরীতে মালবাহী ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চকবাজার, টমছমব্রিজসহ বিভিন্ন প্রবেশ পথে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অভিযান পরিচালনার সময় জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্ত বলেন, ‘আমরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। পাশাপাশি সতর্ক করছি, যাতে পুনরায় না দখল করে। আমরা এ অভিযান চলমান রাখব। কেউ দখল করলে আবার উচ্ছেদ করব। আপাতত আমরা সতর্ক করছি, সচেতন করছি। পরবর্তীতে জেলা জরিমানা ও মামলা করা হবে।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্ত করতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। এ কারণে একটু সময় লাগছে। এ উচ্ছেদের পর পুনরায় কেউ বসলে মালামাল নিয়ে আসা হবে। অবৈধ স্ট্যান্ডের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেহেতু আমাদের অভিযান চলমান থাকবে তাই পুনরায় দখলের চেষ্টা করা বৃথা হবে। আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’