সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
জাতীয় পার্টিতে (জাপা) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শুরু হওয়া অস্থিরতা আরও গভীর হচ্ছে। রওশনপন্থীদের সম্মেলনের পর দলীয় কার্যালয় ও মার্কা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে দলের উভয় পক্ষের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জি এম কাদেরপন্থীরা রওশনপন্থীদের নিয়ে চিন্তিত নয় বললেও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তির প্রভাব তাঁদের সংসদেও সহ্য করতে হবে।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা, রওশনপন্থী নেতাদের মনোনয়ন না দেওয়া এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নির্বাচনের পর থেকেই প্রকাশ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে জাপা। রওশনপন্থীদের সম্মেলন ঘোষণার পর চলে অব্যাহতি-পাল্টা অব্যাহতি। ৯ মার্চ সম্মেলনের পর চূড়ান্ত হয়েছে বিভক্তি।
জাপার উভয় অংশের নেতারাই বলছেন, তাঁদের লক্ষ্য সারা দেশে দলকে সুসংগঠিত করা। এক বছরের মধ্যেই দলকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চান তাঁরা।
এদিকে রওশনপন্থীদের সম্মেলনের আগেই ১২ অক্টোবর দশম জাতীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেন কাদেরপন্থীরা। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা, ৩০ আগস্টের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করা এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি জেলায় বর্ধিত সভার মাধ্যমে সংগঠনকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা।
মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুরুতর অপরাধ ছাড়া দল থেকে আগে অব্যাহতি পাওয়া নেতারা ক্ষমা চাইলে দলে ফিরতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
রওশনপন্থী নেতারাও বলছেন, এক বছরের মধ্যে তাঁরা প্রতি জেলা-উপজেলায় রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবেন। আগে যাঁরা জাপা ছেড়ে গেছেন এবং এরশাদের আদর্শ ধারণ করেও নিষ্ক্রিয় আছেন, তাঁদের রাজনীতিতে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়াও দলের ব্র্যাকেটবন্দী অন্য অংশগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
তবে এসব পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার আগে উভয় অংশের চিন্তায় দলীয় মার্কা ‘লাঙ্গল’ এবং দলীয় কার্যালয়। দল গোছানোর মিশনে নামার আগে উভয় অংশই এ দুটির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। মার্কা ও কার্যালয় বর্তমানে কাদেরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাঁরা তা হারানোর শঙ্কায় আছেন বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
রওশনপন্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র সুনীল শুভ রায় জানান, জাপার নবম কাউন্সিলে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষককে দলের সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল; তবে পরবর্তী সময়ে তা বিকৃত করা হয়েছে। ফলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, রওশন এরশাদের ডাকা সম্মেলন বৈধ।
রওশনপন্থী জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার দাবি, লাঙ্গল মার্কা ও কার্যালয়ের প্রধান দাবিদার রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। আমরা আইনের মধ্য দিয়ে লাঙ্গল নিয়ে আসব।’ কার্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আমরা আইনগত প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে বিজয়নগরের পার্টি অফিস নিয়ে নেব।’
মার্কা ও কার্যালয় প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় যাওয়া যেকোনো নাগরিকের অধিকার। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো লাভ হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন, দল থেকে বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা মিলে আলাদা দল করেছেন। এতে সংসদে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় পার্টির উভয় অংশের পেছনেই সরকারের ইন্ধন রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেতৃত্ব সুবিধাবাদী হওয়ায় নির্বাচনের আগে সরকারের দরকার ছিল জি এম কাদেরকে, তখন তাঁকে কাজে লাগিয়েছে। এখন জি এম কাদেরকে চাপে রাখার জন্য রওশন এরশাদকে দিয়ে একাংশ বানিয়েছে। তাঁদের জনভিত্তি দিন দিন দুর্বল হচ্ছে।
জাতীয় পার্টিতে (জাপা) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শুরু হওয়া অস্থিরতা আরও গভীর হচ্ছে। রওশনপন্থীদের সম্মেলনের পর দলীয় কার্যালয় ও মার্কা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে দলের উভয় পক্ষের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জি এম কাদেরপন্থীরা রওশনপন্থীদের নিয়ে চিন্তিত নয় বললেও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তির প্রভাব তাঁদের সংসদেও সহ্য করতে হবে।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা, রওশনপন্থী নেতাদের মনোনয়ন না দেওয়া এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নির্বাচনের পর থেকেই প্রকাশ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে জাপা। রওশনপন্থীদের সম্মেলন ঘোষণার পর চলে অব্যাহতি-পাল্টা অব্যাহতি। ৯ মার্চ সম্মেলনের পর চূড়ান্ত হয়েছে বিভক্তি।
জাপার উভয় অংশের নেতারাই বলছেন, তাঁদের লক্ষ্য সারা দেশে দলকে সুসংগঠিত করা। এক বছরের মধ্যেই দলকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চান তাঁরা।
এদিকে রওশনপন্থীদের সম্মেলনের আগেই ১২ অক্টোবর দশম জাতীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেন কাদেরপন্থীরা। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা, ৩০ আগস্টের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করা এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি জেলায় বর্ধিত সভার মাধ্যমে সংগঠনকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা।
মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুরুতর অপরাধ ছাড়া দল থেকে আগে অব্যাহতি পাওয়া নেতারা ক্ষমা চাইলে দলে ফিরতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
রওশনপন্থী নেতারাও বলছেন, এক বছরের মধ্যে তাঁরা প্রতি জেলা-উপজেলায় রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবেন। আগে যাঁরা জাপা ছেড়ে গেছেন এবং এরশাদের আদর্শ ধারণ করেও নিষ্ক্রিয় আছেন, তাঁদের রাজনীতিতে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়াও দলের ব্র্যাকেটবন্দী অন্য অংশগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
তবে এসব পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার আগে উভয় অংশের চিন্তায় দলীয় মার্কা ‘লাঙ্গল’ এবং দলীয় কার্যালয়। দল গোছানোর মিশনে নামার আগে উভয় অংশই এ দুটির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। মার্কা ও কার্যালয় বর্তমানে কাদেরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাঁরা তা হারানোর শঙ্কায় আছেন বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
রওশনপন্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র সুনীল শুভ রায় জানান, জাপার নবম কাউন্সিলে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষককে দলের সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল; তবে পরবর্তী সময়ে তা বিকৃত করা হয়েছে। ফলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, রওশন এরশাদের ডাকা সম্মেলন বৈধ।
রওশনপন্থী জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার দাবি, লাঙ্গল মার্কা ও কার্যালয়ের প্রধান দাবিদার রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। আমরা আইনের মধ্য দিয়ে লাঙ্গল নিয়ে আসব।’ কার্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আমরা আইনগত প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে বিজয়নগরের পার্টি অফিস নিয়ে নেব।’
মার্কা ও কার্যালয় প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় যাওয়া যেকোনো নাগরিকের অধিকার। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো লাভ হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন, দল থেকে বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা মিলে আলাদা দল করেছেন। এতে সংসদে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় পার্টির উভয় অংশের পেছনেই সরকারের ইন্ধন রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেতৃত্ব সুবিধাবাদী হওয়ায় নির্বাচনের আগে সরকারের দরকার ছিল জি এম কাদেরকে, তখন তাঁকে কাজে লাগিয়েছে। এখন জি এম কাদেরকে চাপে রাখার জন্য রওশন এরশাদকে দিয়ে একাংশ বানিয়েছে। তাঁদের জনভিত্তি দিন দিন দুর্বল হচ্ছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৭ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫