Ajker Patrika

সিন্ডিকেটের ৬ পদই শূন্য, নেই শিক্ষক প্রতিনিধি

মিনহাজ তুহিন, চবি
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০৮: ৪৯
সিন্ডিকেটের ৬ পদই শূন্য, নেই শিক্ষক প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘সিন্ডিকেট’। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নেওয়া হয়। সিন্ডিকেটে ছয়টি পদে শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত সদস্যরা প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ছয় পদে নির্বাচন না হওয়ায় পদগুলো শূন্য হয়ে আছে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে নির্বাচন দিচ্ছে না প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরিতে নির্বাচন দিতে উপাচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। চিঠিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকায় শিক্ষকদের দাবি ও অধিকার সিন্ডিকেট সভায় যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আগামী এক মাস তথা ২ ডিসেম্বরের মধ্যে সিন্ডিকেট নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের কাছে পুনরায় জোর দাবি জানাচ্ছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ২৫ (বি) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটে ডিন, প্রভোস্ট, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরির ছয়টি পদে শিক্ষকদের নির্বাচিত সদস্যরা প্রতিনিধিত্ব করেন। বর্তমানে যার ছয়টি পদই শূন্য রয়েছে। এদের মধ্যে ডিন ও প্রভোস্ট প্রতিনিধি নির্বাচন না হওয়ায় শূন্য। এ ছাড়া অধ্যাপক ক্যাটাগরির প্রতিনিধি অবসরে যাওয়া, সহযোগী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরির প্রতিনিধি পদোন্নতি পাওয়া ও সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরির প্রতিনিধি শিক্ষাছুটিতে যাওয়ায় এই চারটি পদ কয়েক বছর ধরে শূন্য। সর্বশেষ এই চার ক্যাটাগরির নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর।

শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের স্বার্থ, অধিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, ভাবমূর্তি, গবেষণা নিয়ে বেশি কাজ করতে পারেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। দীর্ঘদিন ধরে পদগুলো শূন্য থাকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা বৈষম্যের শিকার হন।

এ দিকে সিন্ডিকেটে ডিন ক্যাটাগরিতে নির্বাচন দিতে গত ১২ অক্টোবর উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন সব অনুষদের ডিন। কিন্তু চিঠি দেওয়ার ২২ দিন পরও নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার এক সভায় এ বিষয়ে উপাচার্যের কাছে জানতে চান ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন নিজামী। এ সময় উপাচার্য বসা থেকে উঠে ডিনকে শাসাতে থাকেন এবং নির্বাচন দেবেন না বলে জানান। দুটি অনুষদের ডিন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি (উপাচার্য) আইন ও স্বচ্ছতার শাসনে বিশ্বাসী নন। তিনি আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করলাম নির্বাচনের জন্য স্মারকলিপি দেওয়ার পরও আপনি কেন নির্বাচন দিচ্ছেন না? উনি চিল্লাচিল্লি ও অশোভন আচরণ শুরু করলেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেট নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবশ্যই চিন্তাভাবনা আছে।’ এ বিষয়ে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন বদরুদ্দীন উমর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত