Ajker Patrika

বাফা নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের তির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৫
Thumbnail image

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অমিয় শংকর বর্মণের বিরুদ্ধে বন্দরের গেট পাস জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি সংগঠনের প্যাডে এক ব্যক্তিকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে বন্দর থেকে গেট পাসের ব্যবস্থা করেন। পরে ওই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় গত আগস্টে বন্দর কর্তৃপক্ষ গেট পাস বাতিল করে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চায়। এতে সামনে আসে বিষয়টি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাফার সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অমিয় শংকর বর্মণ তাঁর প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে বাফার প্যাডে নিয়োগপত্র দিয়ে বন্দরের গেট পাস দেন। কিন্তু তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ গেট পাস বাতিল করে এ বিষয়ে আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চায়। পরে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি, তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মীকে জালিয়াতির মাধ্যমে বন্দরের গেট পাস দিয়েছেন।’

এক প্রশ্নের উত্তরে আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর বাফার নির্বাচন। তাই বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন কমিটির নেতারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

বন্দর ও বাফা সূত্রে জানা গেছে, বাফার তৎকালীন সহসভাপতি অমিয় শংকর বর্মণ (বর্তমানে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম আমান উল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে বাফার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেন। গত বছরের ২৮ জুন নিয়োগপত্রে বাফার প্যাডে নিজে সই করেন। এরপর সংগঠনের নির্বাহী শাখাওয়াত হোসেনকে এই নিয়োগপত্র দিয়ে বন্দর থেকে গেট পাস নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

গেট পাস পাওয়ার পর আমান উল্লাহ বন্দরে সংগঠনের বাইরে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হন। প্রায় এক বছর ধরে এভাবে বন্দরের অভ্যন্তরে বাফার বাইরে বিভিন্ন কাজকর্মে যুক্ত থাকার পর বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের সন্দেহ হয়। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ৯ আগস্ট তাঁর পাস বাতিল করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে এ ঘটনায় বাফার সভাপতি কবির আহমেদকে চিঠি দিয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চায় বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক। বাফা তদন্ত করে জালিয়াতির প্রমাণ পায়।

এ বিষয়ে বাফার পক্ষ থেকে অমিয় শংকর বর্মণের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। পরে গত বুধবার সংগঠনের সভাপতি কবির আহমেদ বন্দরের পরিচালককে (নিরাপত্তা) সংগঠনের তদন্তের বিষয় জানিয়ে চিঠি দেন। এতে তিনি এ ঘটনার দায় বাফা নেবে না বলে উল্লেখ করা হয়। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বাফার আপত্তি নেই বলেও এতে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অমিয় শংকর বর্মণ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামনে আমাদের নির্বাচন। নির্বাচনে আমি প্রার্থী হয়েছি। যে কারণে একটি পক্ষ বিষয়টি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত