Ajker Patrika

রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২২, ১৩: ২৮
রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাড়ছে। জেলার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এ হার উদ্বেগজনক। প্রতিদিন দেড় শ থেকে ২ শ রোহিঙ্গা শিবিরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। এ ছাড়া শিবিরের আশপাশে ও জেলা শহরেও এ রোগ বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গতকাল রোববার ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে জড়িতদের নিয়ে জরুরি সভা হয়। পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফেও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যাতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত জুন মাসেই ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে অন্তত তিন হাজার ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহেই আক্রান্তের হার হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের স্থানীয় লোকজনও আক্রান্ত হচ্ছেন।

রোহিঙ্গা শিবিরে আক্রান্তের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রথম চার মাসে ১৭২ জনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১৮৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৭ জন এবং এপ্রিলে ৬২ জন রয়েছে। এরপর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ১৮ জন, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫ জন, তৃতীয় সপ্তাহে ৭৬ জন এবং চতুর্থ সপ্তাহে ৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। জুন মাসেই আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যায়।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের হিসেবে দেখা গেছে, ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় ২৪২ জন। এরপর ৬ থেকে ১২ জুন ৪৭৬ জন ১৩ থেকে ১৯ জুন ৮০৬ জন এবং ২০ থেকে ২৬ জুন ১ হাজার ৬০ জন। গেল জুন মাসেই তিন সপ্তায় ২ হাজার ৩৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে আক্রান্ত এক হাজার ছাড়িয়ে যায়। অবশ্যই আক্রান্ত বেশি হলেও রোগীর অবস্থা

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের চিকিৎসা সমন্বয়ক আবু তোহা বলেন, ক্যাম্পগুলোতে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৯২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোমিনুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালে নতুন ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬ জন রোহিঙ্গা।

সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক আব্দুল মজিদ বলেন, প্রায় প্রতিদিনই শিশু ওয়ার্ডে রোহিঙ্গা শিশু ভর্তি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৩ জুন জিসমা আক্তার নামে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, জুন মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৫ জন স্থানীয় ও ১৪ জন রোহিঙ্গা ভর্তি ছিলেন। এখন সচেতনতা বাড়ানোর উদ্বুদ্ধকরণ সভা ও এলাকায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত