মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
‘পোলা-মাইয়া আর বাড়িওয়ালি (স্ত্রী) কয়দিন ধইরাই কইতাছে, একটু গরুর গোশত নিতাম। গরিব মানুষ। গরুর গোশত কিনার মতো সাঙ্গেস্তা (সামর্থ্য) নাই। বাজারে গেছিলাম ফারমের (ব্রয়লার) মুরগি কিনতাম। গিয়া হুনি আড়াই শ টেহা কেজি! হুইন্না মাথাডা চক্কর মারছে। বাজারের যে অবস্থা, মাছ-গোশত তো দূরের কথা; ডাইল-ভাত খাইয়া বাইচ্চা (বেঁচে) থাহাই কঠিন অয়া গেছে। আমরার মতো গরিব মানুষ বাঁচব ক্যামনে।’
আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের পৌর এলাকায় ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ চানাচুর বিক্রেতা জাকিরুল মিয়া। বর্তমান বাজারে একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ মাছ-মাংসের আকাশছোঁয়া দাম, অন্যদিকে আয়ের তুলনায় ব্যয় বাড়ায় সংসারের খরচ জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষেরা। জাকিরুল মিয়া তাঁদেরই একজন।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার বাজারে গতকাল দেখা গেছে, শাকসবজি এবং পেঁয়াজের দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকলেও আকাশছোঁয়া দাম আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচের। প্রতি কেজি আদা ১২০-১৫০, রসুন (দেশি) ১২০-১৪০, চায়না রসুন ২০০-২২০, কাঁচা মরিচ ১০০-১২০, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে মাছ-মাংসেরও। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে।
স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, ‘রোজার মাস এসে গেছে। সারা বছর যেমনই খাওয়া-দাওয়া হোক না কেন, সারা দিন রোজা রেখে সবাই একটু ভালো কিছু খেতে চায়। ভেবেছিলাম কিছু মাছ-মাংস কিনে ফ্রিজে রেখে দেব, কিন্তু বাজারের যে অবস্থা, সাহসই পাচ্ছি না। রোজা শুরু হলে জিনিসপাতির দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাবে মনে হচ্ছে।’
পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে জিনিসপত্রের দাম ব্যবসায়ীরা যেন মনগড়া না বাড়াতে পারেন, এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকির দাবি করেছে স্থানীয় সচেতন মহল। ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলম বলেন, রমজান মাস এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মনগড়া পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে সব শ্রেণিপেশার মানুষেরই বিপাকে পড়তে হয়।
খুচরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘একে তো মুরগির খাদ্যের দাম বাড়তি, অন্যদিকে কোম্পানি থেকে ব্রয়লারসহ কক মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া খামারিদের চাহিদা অনুযায়ী মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিরাট একটা সিন্ডিকেট করছে কোম্পানির লোকজন। এ অবস্থায় আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীরা পড়েছি চরম বিপাকে। দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা একেবারেই কমে গেছে।’ রমজান সামনে রেখে ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান এই ব্যবসায়ীর।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুখাদ্যের দামও। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে শিশুদের প্রতিটা খাবারের দাম বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। ১৮০ গ্রাম ওজনের ল্যাকটোজেন ওয়ান এবং টুয়ের দাম ছিল ২৫০-২৬০ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ২৯০ টাকা। ৩৫০ গ্রাম ওজনের ল্যাকটোজেন ওয়ান এবং টুয়ের দাম ছিল ৫১০-৫২০ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ৫৬০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়েছে সেরেলাকের দামও।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর তদারকি করা হচ্ছে। রমজান উপলক্ষে তদারকি আরও জোরদার করা হবে। ব্যবসায়ীদের মনগড়া দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।
‘পোলা-মাইয়া আর বাড়িওয়ালি (স্ত্রী) কয়দিন ধইরাই কইতাছে, একটু গরুর গোশত নিতাম। গরিব মানুষ। গরুর গোশত কিনার মতো সাঙ্গেস্তা (সামর্থ্য) নাই। বাজারে গেছিলাম ফারমের (ব্রয়লার) মুরগি কিনতাম। গিয়া হুনি আড়াই শ টেহা কেজি! হুইন্না মাথাডা চক্কর মারছে। বাজারের যে অবস্থা, মাছ-গোশত তো দূরের কথা; ডাইল-ভাত খাইয়া বাইচ্চা (বেঁচে) থাহাই কঠিন অয়া গেছে। আমরার মতো গরিব মানুষ বাঁচব ক্যামনে।’
আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের পৌর এলাকায় ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ চানাচুর বিক্রেতা জাকিরুল মিয়া। বর্তমান বাজারে একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ মাছ-মাংসের আকাশছোঁয়া দাম, অন্যদিকে আয়ের তুলনায় ব্যয় বাড়ায় সংসারের খরচ জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষেরা। জাকিরুল মিয়া তাঁদেরই একজন।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার বাজারে গতকাল দেখা গেছে, শাকসবজি এবং পেঁয়াজের দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকলেও আকাশছোঁয়া দাম আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচের। প্রতি কেজি আদা ১২০-১৫০, রসুন (দেশি) ১২০-১৪০, চায়না রসুন ২০০-২২০, কাঁচা মরিচ ১০০-১২০, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে মাছ-মাংসেরও। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে।
স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, ‘রোজার মাস এসে গেছে। সারা বছর যেমনই খাওয়া-দাওয়া হোক না কেন, সারা দিন রোজা রেখে সবাই একটু ভালো কিছু খেতে চায়। ভেবেছিলাম কিছু মাছ-মাংস কিনে ফ্রিজে রেখে দেব, কিন্তু বাজারের যে অবস্থা, সাহসই পাচ্ছি না। রোজা শুরু হলে জিনিসপাতির দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাবে মনে হচ্ছে।’
পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে জিনিসপত্রের দাম ব্যবসায়ীরা যেন মনগড়া না বাড়াতে পারেন, এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকির দাবি করেছে স্থানীয় সচেতন মহল। ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলম বলেন, রমজান মাস এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মনগড়া পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে সব শ্রেণিপেশার মানুষেরই বিপাকে পড়তে হয়।
খুচরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘একে তো মুরগির খাদ্যের দাম বাড়তি, অন্যদিকে কোম্পানি থেকে ব্রয়লারসহ কক মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া খামারিদের চাহিদা অনুযায়ী মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিরাট একটা সিন্ডিকেট করছে কোম্পানির লোকজন। এ অবস্থায় আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীরা পড়েছি চরম বিপাকে। দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা একেবারেই কমে গেছে।’ রমজান সামনে রেখে ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান এই ব্যবসায়ীর।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুখাদ্যের দামও। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে শিশুদের প্রতিটা খাবারের দাম বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। ১৮০ গ্রাম ওজনের ল্যাকটোজেন ওয়ান এবং টুয়ের দাম ছিল ২৫০-২৬০ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ২৯০ টাকা। ৩৫০ গ্রাম ওজনের ল্যাকটোজেন ওয়ান এবং টুয়ের দাম ছিল ৫১০-৫২০ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ৫৬০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়েছে সেরেলাকের দামও।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর তদারকি করা হচ্ছে। রমজান উপলক্ষে তদারকি আরও জোরদার করা হবে। ব্যবসায়ীদের মনগড়া দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪