Ajker Patrika

স্বরূপে ফিরছে নগরী খুলছে দোকানপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১১: ৫২
স্বরূপে ফিরছে নগরী খুলছে দোকানপাট

ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। খুলেছে শপিং মল এবং দোকানপাট। জনবহুল এলাকার ফুটপাতে আবার পণ্যের পসরা সাজাচ্ছেন হকাররা। গন্তব্যমুখী গাড়ির জন্য যাত্রীদের উন্মুখ অপেক্ষা। হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রাণচাঞ্চল্য। সব মিলিয়ে স্বরূপে ফিরছে রাজধানী ঢাকা। তবে গতকালও সড়কে যানজট না থাকায় বাইরে বের হওয়া অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।

গতকাল সকালে ফার্মগেটে হলিক্রস স্কুলের সামনে কিছুটা ভিড় থাকলেও ফার্মগেট মোড়ে বাসের দীর্ঘ সারি ছিল না। হলিক্রস স্কুলের ছাত্রী মুমতাহিনা মাহিয়া জানায়, ‘আজ (গতকাল) স্কুলে আসতে অনেক কম সময় লেগেছে। এমনভাবে যদি প্রতিদিন যাওয়া-আসা করা যেত, তাহলে আমাদের অনেকটা সময় বেঁচে যেত। তবে দুই দিন পর আবারও জ্যাম শুরু হবে, আবার ভোগান্তি।’

তবে সকালের দিকে অফিসগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছুটা পরিবহনসংকটে ভোগে। ধানমন্ডি ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা মিজানুল আমিন বলেন, ‘অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি, কোনো বাস নাই। যে বাস আসে সব ভর্তি, ওঠা যাচ্ছে না। আজ থেকে তো মোটামুটি ছুটি শেষ, তাহলে পর্যাপ্ত বাস রাস্তায় থাকা উচিত ছিল।’

ফার্মগেট থেকে শাহবাগের দীর্ঘ জ্যাম পোহাতে হচ্ছে না মানুষকে। তবে কম দূরত্বের যাত্রীকে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। দীপা নাগ বলেন, বাসের সিটগুলো ফাঁকাই থাকছে। বাসে উঠে অল্প দূরত্বে নেমে গেলে কন্ডাক্টর ক্যাটক্যাট করেন। আগে এতটা করেননি। এই দুই দিন হলো তাঁরা বেশি এমন করছেন। বাসভাড়া নিয়েও তাঁরা যাত্রীদের কথা শোনাচ্ছেন। ভাড়া বেশিও নিচ্ছেন কেউ কেউ।

বিহঙ্গ পরিবহনের চালক আবুল কালাম বললেন, ‘আর এক-দুই দিন এমন থাকব। তারপর থেকে আবার সেই জ্যাম। এই কয়দিন ভাড়া কম হইলেও গাড়ি চালাইয়া আরাম পাইতাছি। আবার সেই ভিড় বাড়ব, এটাই স্বাভাবিক।’ সড়কে বাস কম কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাস তো কম নাই, বাস আছে। মানুষই নাই। সেই হিসাবে লস তো আমাদের।’

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডেও ভিড় নেই। যাত্রী না থাকায় বাসগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে ছিল। সকালে পল্টনে যাওয়ার জন্য বাসে ওঠেন মাসুদা খাতুন। প্রায় ২০ মিনিট বসে থাকার পরও যখন চালক যাত্রীদের কথা শুনছিলেন না, তখন যাত্রী ও বাসের স্টাফদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। মাসুদা খাতুন জানান, ‘রাস্তা ফাঁকা, শহরে মানুষ নেই জন্য কি এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকব! ওদের কিছু বলাও যায় না। ফাঁকা রাস্তায় কয়েক দিন হলো একটু স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারছি, এটাই তো অনেক। চালকদের জন্য তা-ও দেরি হয়।’

বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষণীয়। সকালে বাবার হাত ধরে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছিল আট বছরের সোনিয়া আক্তার ও তার ভাই আশরাফ। সোনিয়ার বাবা জানান, আগামীকাল (সোমবার) থেকে তার ছুটি শেষ। ঈদে দেশের বাড়িতে গেলেও ছুটি শেষের আগেই ঢাকায় চলে এসেছেন ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘুরতে। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা এত ব্যস্ত থাকি আর যানজটে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই ছুটি শেষ না হতেই ঢাকায় এসেছি ওদের নিয়ে একটু ঘুরব বলে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত