Ajker Patrika

আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৪৯
আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহকেরা

অনলাইনে কেনাকাটায় গত ১ জুলাই থেকে আগাম টাকা পরিশোধ করেও যারা পণ্য পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেবে সরকার। গত ৩০ জুন এসক্রো সার্ভিস নীতিমালা জারির পর থেকে গ্রাহকেরা ২১৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেও পণ্য পাননি, যা বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে। আপাতত এই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে ১ জুলাইয়ের আগে যারা টাকা পরিশোধ করেও পণ্য পাননি, তাদের টাকা কবে, কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এসক্রো এমন একটি সেবা যেখানে একজন ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের সময় যে মূল্য পরিশোধ করেন তা একটি তৃতীয় পক্ষের কাছে জমা থাকে। ক্রেতা তার কাঙ্ক্ষিত পণ্য বা সেবা বুঝে পেয়েছেন এমন নিশ্চয়তা দেওয়ার পর সেই তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতাকে মূল্য পরিশোধ করেন।

ই-কমার্স ব্যবসার সমস্যা পর্যালোচনায় গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে একটি সভা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।

সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা (ই-কমার্সে বিনিয়োগের) ফেরত দেওয়ার বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি দেখবে। নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জুলাই মাস থেকে যাদের টাকা আটকে আছে সেগুলো যেন তাদের কাছে ফেরত যায়। এ বিষয়ে যেসব আইনি জটিলতা আছে সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটু সময় লাগবে।’

সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘৩০ জুন এসক্রো নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে যেসব ট্রানজেকশন হয়েছে, সেই ট্রানজেকশনের বিপরীতে টাকাগুলো ব্লক করা আছে। যেটা ডেলিভারি হয়নি সেই টাকাটা পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আছে। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে কাস্টমার ও টাকার পরিমাণ আইডেন্টিফাইড। সেগুলো আমরা আইনি জটিলতা ঠিক করে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব। গত ১ জুলাই থেকে গ্রাহকেরা ২১৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে পণ্য পাননি। কিন্তু যে টাকা ই-কমার্স কোম্পানি নিয়ে গেছে, যে টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই, সেটা তো দিতে পারব না।’

এ ছাড়া এসক্রো সার্ভিস অটোমেটেড করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আপাতত মনে হচ্ছে মাস তিনেক লেগে যাবে সব ব্যাপার একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে।’

অনুমোদন ছাড়াই ১০টি পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রতিষ্ঠান কীভাবে ব্যবসা করছে, সেই প্রশ্নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা করেছে। কিন্তু পেমেন্ট গেটওয়ে অপারেট করছে ২০১১ সাল থেকে। সবগুলোই লাইসেন্সের প্রক্রিয়াধীন প্রতিষ্ঠান। একবারে অবৈধ সেটা বলার কিন্তু সুযোগ নেই। লাইসেন্সিং কমপ্লিট হয়নি কিন্তু তারা কিন্তু লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই এই অপারেশন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত