Ajker Patrika

ফিরোজা বেগম

সম্পাদকীয়
ফিরোজা বেগম

নজরুলসংগীতের অবিস্মরণীয় শিল্পী ছিলেন ফিরোজা বেগম। তিনি নজরুলসংগীতের আদি, বিশুদ্ধ সুর ধরে গান গাইতেন।নজরুলসংগীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজনসহ বিভিন্ন ধরনের সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন।

ফিরোজা বেগমের জন্ম ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই বর্তমান গোপালগঞ্জের রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের এক জমিদার পরিবারে। ইসলামি গান দিয়ে তাঁর সংগীতজীবনের শুরু। পরে তিনি খ্যাতি লাভ করেন নজরুলসংগীতশিল্পী হিসেবে। মাত্র ১০ বছর বয়সে ফিরোজা বেগম কাজী নজরুলের ইসলামের সান্নিধ্য লাভ এবং তাঁর কাছে তালিম গ্রহণ করেছিলেন। নজরুলের গান নিয়ে প্রকাশিত তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪৯ সালে। কাজী নজরুল ইসলাম অসুস্থ হওয়ার পর ফিরোজা বেগম নজরুলসংগীতের শুদ্ধ স্বরলিপি এবং সুর সংরক্ষণের উদ্যোগ 
গ্রহণ করেছিলেন।

ফিরোজা বেগম ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গানে কণ্ঠ দেন। এরপর ১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে ইসলামি গান নিয়ে তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয়। পরে চিত্ত রায়ের তত্ত্বাবধানে বের হয় আরও একটি রেকর্ড। এরপর কমল দাশগুপ্তের কাছে উর্দু গানের তালিম নেন তিনি। গান শেখার সময়ই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

কলকাতায় বসবাসকালীন ১৯৫৫ সালে সুরকার, গায়ক ও গীতিকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি কলকাতার বিখ্যাত আধুনিক গানের শিল্পী পঙ্কজ মল্লিকের কাছেও গানের তালিম নিয়েছিলেন। ফিরোজা বেগম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৩৮০টির বেশি একক সংগীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। কমল দাশগুপ্ত ও ফিরোজা বেগম দম্পতির তিন সন্তান হলেন—তাহসিন, হামিন ও শাফিন। হামিন ও শাফিন রকব্যান্ড দল মাইলসের সদস্য। সম্প্রতি শাফিন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেছেন।

ফিরোজা বেগম ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত