রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর ()
নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে প্রায় এক যুগ ধরে চিকিৎসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে কেন্দ্রটি শ্রমিকদের কোনো কল্যাণে আসছে না। জরাজীর্ণ ভবনে কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এর কার্যক্রম।
আবার অনেক শ্রমিক জানেনই না শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটির খবর এবং এখানকার প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি। অথচ প্রতিবছর এ কেন্দ্রের জন্য চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদন বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ উপজেলা। এই উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় দুই হাজারের বেশি কারখানা। এসব কারখানায় প্রায় এক লাখ শ্রমিক কর্মরত। এ ছাড়া বাস-মিনিবাস, ট্রাক, রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার।
১৯৭৮ সালে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন শহরের নিচু কলোনি এলাকায় ৫৪ শতক জমির ওপর এসব শ্রমিকের চিকিৎসাসেবা ও বিনোদনের জন্য শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে। কেন্দ্রটিতে ১২টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ছয়জন। শুরুতে এই কেন্দ্র শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করলেও বর্তমানে এর কোনো কার্যক্রম চলছে না।
সূত্রটি আরও জানায়, বিনোদনের জন্য এখানে ক্যারম ও কয়েকটি দাবা বোর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই। এই অবস্থায় এখানে শ্রমিক আসছে না। ফলে এখানে কর্মরত স্টাফদের অলস সময় কাটাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ একটি ভবনে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দেয়াল ও ছাদে আগাছা জন্মেছে। চিকিৎসকের কক্ষসহ অধিকাংশ কক্ষই তালাবদ্ধ। যে কয়জন অফিস স্টাফ রয়েছেন, তাঁরা গল্পগুজব করে সময় কাটাচ্ছেন।
শহরের ট্রাকশ্রমিক আবু বকর, খায়রুল আলম ও বাসশ্রমিক মিজানুর রহমান জানান, এখানে শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে, সেটাই জানেন না তাঁরা। রিকশাচালক আতিয়ার রহমান, মোতালেব হোসেন ও ইমরান হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে রোজ রিকশা চালান তাঁরা। কিন্তু কোনো এখানে শ্রমিকদের চিকিৎসা নিতে দেখেননি।
নীলফামারী জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শ্রী রনজিত রায় বলেন, সৈয়দপুর শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি বাস্তবে শ্রমিকদের জন্য কোনো কাজ করছে না। অথচ সরকার প্রতিবছর এই কেন্দ্রে কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মেটাতে গিয়ে ব্যয় করছেন কোটি কোটি টাকা।
সৈয়দপুর শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের শ্রমকল্যাণ সংগঠক আব্দুল খালেক জানান, ২০১০ সাল থেকে এই অফিসে চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ ছয়টি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে শ্রমিকদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে একাধিকবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দিনাজপুর আঞ্চলিক শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের উপপরিচালক আবুল বাশার বলেন, চিকিৎসা কর্মকর্তা, নার্সসহ ছয়টি পদে জনবল না থাকার বিষয়টি শ্রম মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এসব সমস্যার সমাধান শিগগির হবে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে প্রায় এক যুগ ধরে চিকিৎসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে কেন্দ্রটি শ্রমিকদের কোনো কল্যাণে আসছে না। জরাজীর্ণ ভবনে কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এর কার্যক্রম।
আবার অনেক শ্রমিক জানেনই না শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটির খবর এবং এখানকার প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি। অথচ প্রতিবছর এ কেন্দ্রের জন্য চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদন বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ উপজেলা। এই উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় দুই হাজারের বেশি কারখানা। এসব কারখানায় প্রায় এক লাখ শ্রমিক কর্মরত। এ ছাড়া বাস-মিনিবাস, ট্রাক, রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার।
১৯৭৮ সালে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন শহরের নিচু কলোনি এলাকায় ৫৪ শতক জমির ওপর এসব শ্রমিকের চিকিৎসাসেবা ও বিনোদনের জন্য শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে। কেন্দ্রটিতে ১২টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ছয়জন। শুরুতে এই কেন্দ্র শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করলেও বর্তমানে এর কোনো কার্যক্রম চলছে না।
সূত্রটি আরও জানায়, বিনোদনের জন্য এখানে ক্যারম ও কয়েকটি দাবা বোর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই। এই অবস্থায় এখানে শ্রমিক আসছে না। ফলে এখানে কর্মরত স্টাফদের অলস সময় কাটাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ একটি ভবনে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দেয়াল ও ছাদে আগাছা জন্মেছে। চিকিৎসকের কক্ষসহ অধিকাংশ কক্ষই তালাবদ্ধ। যে কয়জন অফিস স্টাফ রয়েছেন, তাঁরা গল্পগুজব করে সময় কাটাচ্ছেন।
শহরের ট্রাকশ্রমিক আবু বকর, খায়রুল আলম ও বাসশ্রমিক মিজানুর রহমান জানান, এখানে শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে, সেটাই জানেন না তাঁরা। রিকশাচালক আতিয়ার রহমান, মোতালেব হোসেন ও ইমরান হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে রোজ রিকশা চালান তাঁরা। কিন্তু কোনো এখানে শ্রমিকদের চিকিৎসা নিতে দেখেননি।
নীলফামারী জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শ্রী রনজিত রায় বলেন, সৈয়দপুর শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি বাস্তবে শ্রমিকদের জন্য কোনো কাজ করছে না। অথচ সরকার প্রতিবছর এই কেন্দ্রে কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মেটাতে গিয়ে ব্যয় করছেন কোটি কোটি টাকা।
সৈয়দপুর শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের শ্রমকল্যাণ সংগঠক আব্দুল খালেক জানান, ২০১০ সাল থেকে এই অফিসে চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ ছয়টি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে শ্রমিকদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে একাধিকবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দিনাজপুর আঞ্চলিক শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের উপপরিচালক আবুল বাশার বলেন, চিকিৎসা কর্মকর্তা, নার্সসহ ছয়টি পদে জনবল না থাকার বিষয়টি শ্রম মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এসব সমস্যার সমাধান শিগগির হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪