শপথ নিলেন দেবিদ্বারের ১৪ ইউপি চেয়ারম্যান

দেবিদ্বার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দেবিদ্বার আসনের সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিকুন নবী তালুকদারসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে ইউপির সচিবেরাও উপস্থিত ছিলেন।

শপথ নেওয়া চেয়ারম্যানরা হলেন বড় শালঘর ইউপির আবদুল আউয়াল, ইউসুফপুর ইউপির মো. জাকারিয়া, রসুলপুর শাহজাহান সরকার, সুবিল ইউপির গোলাম সরোওয়ার মুকুল ভূঁইয়া, ফতেহাবাদ ইউপির কামরুজজ্জামান মাসুদ, এলাহাবাদ ইউপির মো. নুরুল আমিন, জাফরগঞ্জ ইউপির জাহিদুল ইসলাম, গুনাইঘর উত্তর ইউপির মুকবুল হোসেন মুকুল, গুনাইঘর দক্ষিণ ইউপির হুমায়ূন কবির, রাজামেহার ইউপির জসিম উদ্দিন সরকার, ধামতী ইউপির মহিউদ্দিন মিঠু, সুলতানপুর ইউপির অধ্যাপক হুমায়ূন কবির, বরকামতা ইউপির নুরুল ইসলাম ও মোহনপুর ইউপির ময়নাল হোসেন।

দেবিদ্বার উপজেলার ১৫টি ইউপির মধ্যে ১৪টিতে নির্বাচন হয়েছিল। ১২ নম্বর ভানি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামান ভূঁইয়ার মৃত্যু হওয়ায় ওই ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

শপথ অনুষ্ঠানে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিগত দিনের চেয়ারম্যানরা বিতর্কে জড়িয়েছেন। এবার একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তিরাই নির্বাচিত হয়েছেন। টিআর কাবিখা দিয়ে তাঁদের চলতে হবে না। সবাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। আশা করি, সবাই মিলে কাজ করলে দেবিদ্বারে একটি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংসদ সবাই মিলে কাজ করবেন। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করবেন। সবাই নিয়মনীতি মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবেন। কোনো অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

দেবিদ্বার আসনের সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, নবনির্বাচিতদের মধ্যে বেশির ভাগই নতুন। তাঁদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, যাতে তাঁরা নীতিমালা জেনে ইউনিয়ন পরিষদ চালাতে পারেন। চেয়ারম্যানরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সচিবদের ওপর ছেড়ে দেন। এতে অনিয়ম হতে পারে। এর দায়ভার চেয়ারম্যানদের নিতে হয়। এ সময় তিনি চেয়ারম্যানদের সব পরিস্থিতিতে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানান।