Ajker Patrika

বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় শেষ হলো ইউপি নির্বাচন

গজারিয়া ও সিরাজদিখান প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ২৬
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পৃথক স্থানে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হয়। বেসরকারিভাবে ৩ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর চারটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নির্বাচিতরা হলেন গজারিয়া ইউপিতে শফিউল্লাহ শফি (নৌকা), ইমামপুরে হাফিজুজ্জামান খান জিতু (নৌকা), গুয়াগাছিয়াতে আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন (নৌকা), ভবেরচর ইউপিতে ইঞ্জিনিয়ার সাইদ লিটন (স্বতন্ত্র), টেঙ্গারচরে কামরুল ইসলাম ফরাজী (স্বতন্ত্র), বালুয়াকান্দিতে শহিদুজ্জামান জুয়েল (স্বতন্ত্র) ও হোসেন্দীতে হাজি মো. আক্তার হোসেন (স্বতন্ত্র)।

সকাল ১০টার দিকে হোসেন্দি ইউনিয়নের চরবলাকিতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ দিকে ইমামপুর ইউনিয়নের কালিপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোপন কক্ষে সিল না মেরে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ছাড়া গজারিয়া ইউনিয়নের দরিয়াকান্দি কলসেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। অন্যদিকে হোসেনদি ইউনিয়ন থেকে ছয়টি শটগান উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানাবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

তবে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আর কোথায় অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার সকাল ৮ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মোট গ্রহণ শুরু হলেও ১০টার পরে ইমামপুর ও গজারিয়া ইউনিয়নের পৃথক দুটি কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সময় হোসেন্দি ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো হলেও ভবেরচর ইউনিয়নের ওয়াজীর আলী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রটি ছিল একেবারে ফাঁকা।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, বেলা সাড়ে দশটার পর থেকে ভোটার উপস্থিতি কমে যায়। ১১টার দিকে কক্ষের বাইরে ভোটারের লাইনগুলো ছিল একেবারে শূন্য।

বেলা ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ওই কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো কোনো ভোটার নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ভোটার এসে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

স্থানীয় ভোটাররা জানান, ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার আশঙ্কায় ভোটাররা সকাল সকাল ভোট দিয়ে গেছেন। এ ছাড়া এখন বাড়িতে কাজের সময় হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম বলে মনে হচ্ছে। বিকেলে আবার ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল। লাইনে থেকে ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই কেন্দ্রে ভোট বুথ সংখ্যা সাতটি। বুথ বেশি হওয়াতে দ্রুত ভোট কাস্ট হয়েছে। এ জন্য ভোটার লাইন এখন কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত