রাহুল শর্মা, ঢাকা
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দপ্তরটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই দপ্তর স্বাধীনতার পর থেকেই প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ দায়িত্ব দিতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই)। যদিও মন্ত্রণালয়ে এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করছে এনসিটিবি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিকের বই ছাপা নিয়ে দুই দপ্তরের (এনসিটিবি ও ডিপিই) মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। এর মূলে রয়েছে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার সার্ভিস চার্জ। কারণ, প্রতিবছর সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ অর্থ পায় এনসিটিবি।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে বই ছাপার দায়িত্ব অধিদপ্তরকে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামতের অপেক্ষায় রয়েছে। মতামত পেলেই ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বই ছাপার কাজ শুরু করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বই ছাপা নিয়ে এনসিটিবি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এর আগেও একবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বই ছাপার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তখন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হস্তক্ষেপে এ উদ্যোগ স্থগিত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিকের বই ছাপার দায়িত্ব নিজেরাই করতে চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, ‘এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোব। এনসিটিবি আসলে ওভারবার্ডেন (কাজের চাপে ভারাক্রান্ত)। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল-সংকটের কারণে তারা ওভারবার্ডেন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পালন করবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘বই ছাপানোর বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে আসে। আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। কাজটা যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারি, সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে পারব।’
তবে সচিবের এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বই ছাপার কাজ এক জায়গাতে না থাকলে ছাপার খরচ নিয়ে ঝামেলা তৈরি হবে। আমরা মাধ্যমিকের জন্য এক দর দিলাম, তারা দিল অন্যটা। এতে ব্যয় বাড়বে, এ সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’
ফরহাদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আইন পরিবর্তন না করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি চায় বই ছাপার দায়িত্ব নিতে তাহলে এনসিটিবির প্রধান হিসেবে আমি তা ছেড়ে দিতে পারি না। কোনো দপ্তর (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) যদি এ দায়িত্ব নিতে চায় তাহলে আমার যতটুকু করার আছে তা করব।’
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দপ্তরটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই দপ্তর স্বাধীনতার পর থেকেই প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ দায়িত্ব দিতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই)। যদিও মন্ত্রণালয়ে এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করছে এনসিটিবি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিকের বই ছাপা নিয়ে দুই দপ্তরের (এনসিটিবি ও ডিপিই) মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। এর মূলে রয়েছে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার সার্ভিস চার্জ। কারণ, প্রতিবছর সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ অর্থ পায় এনসিটিবি।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে বই ছাপার দায়িত্ব অধিদপ্তরকে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামতের অপেক্ষায় রয়েছে। মতামত পেলেই ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বই ছাপার কাজ শুরু করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বই ছাপা নিয়ে এনসিটিবি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এর আগেও একবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বই ছাপার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তখন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হস্তক্ষেপে এ উদ্যোগ স্থগিত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিকের বই ছাপার দায়িত্ব নিজেরাই করতে চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, ‘এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোব। এনসিটিবি আসলে ওভারবার্ডেন (কাজের চাপে ভারাক্রান্ত)। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল-সংকটের কারণে তারা ওভারবার্ডেন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পালন করবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘বই ছাপানোর বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে আসে। আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। কাজটা যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারি, সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে পারব।’
তবে সচিবের এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বই ছাপার কাজ এক জায়গাতে না থাকলে ছাপার খরচ নিয়ে ঝামেলা তৈরি হবে। আমরা মাধ্যমিকের জন্য এক দর দিলাম, তারা দিল অন্যটা। এতে ব্যয় বাড়বে, এ সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’
ফরহাদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আইন পরিবর্তন না করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি চায় বই ছাপার দায়িত্ব নিতে তাহলে এনসিটিবির প্রধান হিসেবে আমি তা ছেড়ে দিতে পারি না। কোনো দপ্তর (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) যদি এ দায়িত্ব নিতে চায় তাহলে আমার যতটুকু করার আছে তা করব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪