Ajker Patrika

সোয়া ৪ কোটির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সব আছে, জনবল নেই

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) 
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ০৪
সোয়া ৪ কোটির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সব আছে, জনবল নেই

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নির্মাণের দুই বছর পরও চালু হয়নি চিন্তামন ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্র। এতে করে স্থানীয় রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে গ্রাম্য ধাত্রীদের কাছে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়ছেন প্রসূতি মায়েরা। জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের চিন্তামনে মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪ কোটি ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই কেন্দ্রের নির্মাণ শুরু হয় ২০১৮ সালের আগস্টে। দুই বছর আগে কাজ শেষ হলেও এখন জনবল সংকটের কারণে তা কোনো কাজে আসছে না। ফলে কাজিহাল, বেতদীঘি, দৌলতপুর, দামাড়, পুখুরী, আটপুকুরহাট ও বুড়িরহাট এলাকার রোগীদের ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আসবাবপত্র ধুলাবালুতে ভরে আছে। সেখানে দেখা মেলে কেন্দ্রের দুটি ভবনের নিরাপত্তায় থাকা মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০২০ সাল থেকে ভবন দুটি তদারক করছেন। ঠিকাদার তাঁর কাছে চাবি দিয়ে চলে গেছেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জের মেসার্স পিয়াস কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ করে ভবন দুটি ও মালামাল ২০২০ সালে দিনাজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মমতাজ বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

একই তথ্য জানান দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ।

জানতে চাইলে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রইচ উদ্দিন খান বলেন, ‘ভবন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আমাদের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। তা ছাড়া ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ জনবল না থাকার কারণে কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে উপপরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘জনবল না থাকার কারণে  মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবল দেওয়া হলেই আমরা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করব। জনবল নিয়োগ পেলে কেন্দ্রটি পড়ে থাকবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত