Ajker Patrika

হাজীগঞ্জ বাজারে নিত্য জট

জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর)
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ২৭
হাজীগঞ্জ বাজারে নিত্য জট

চাঁদপুর জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা হাজীগঞ্জ বাজার। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকাটি এখন সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোবাইক ও হকারদের দখলে। দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপসহ মালবাহী যানবাহনও চলে প্রচুর। ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যানজট লেগে থাকে। সাধারণ পথচারীদের জন্য হেঁটে চলাও দায়। হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে পূর্ব পাশে বোয়ালজুড়ি ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে হকারদের বেচা-বিক্রি ও অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানোর চিত্র চোখে পড়ে নিয়মিত।

হাজীগঞ্জ বাজারের এ সড়কটি জেলা সদরের সঙ্গে কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক। ফলে আঞ্চলিক গণপরিবহন ও মালবাহী গাড়ির যাতায়াত থাকে বেশ। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও শৃঙ্খলার অভাব চোখে পড়ে। পূর্ব বাজারের থানা রোড থেকে শুরু করে পশ্চিম বাজার পপুলার হাসপাতাল ও শেখ মার্কেট হয়ে বিশ্বরোড পর্যন্ত তীব্র যানজট নিত্যদিনের স্বাভাবিক চিত্র।

হাজীগঞ্জ বাজার প্রায় এক কিলোমিটার। সড়কের দুই পাশ জুড়ে শপিংমল, মার্কেট আর ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাতের দোকান। তার মাঝে মানুষ চলাচলের নেই পথ। রাস্তার যত্রতত্র ছোট বিভিন্ন যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। এ সবকিছু মিলিয়ে বাজারে তীব্র যানজট সৃষ্টি।

করোনা মহামারির লকডাউন পরবর্তী সময়ে কিছু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। তাঁরা ফুটপাত দখল করেছেন। ছোট যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। এ সবকিছু মিলিয়ে যানজট বেড়েছে বলে সচেতন মহলের দাবি।

পথচারী রাসেল, ব্যবসায়ী বাবু ও গণমাধ্যমকর্মী খালিকুজ্জামান শামীম বলেন, বড় সমস্যা ছোট যানবাহন ও ফুটপাত দখল। তবে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা ও ট্র্যাফিক পুলিশ আরও কঠোর হলে যানজট এমন তীব্র আকারে ধারণ করত না।

হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশফাকুল আলম চৌধুরী বলেন, থানা প্রশাসনের সঙ্গে মিলে একাধিকবার চেষ্টা করেও ছোট যানবাহন ও ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারিনি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বিকল্প উদ্যোগ নিতে হবে।

ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, করোনা পরবর্তী অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তাঁদের অনেকে অটোরিকশা চালাচ্ছেন। কেউ ফুটপাতে ব্যবসা করছেন। এতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ যেখানে জট দেখছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, হকার ও অটোরিকশা চালকদের মেইন সড়ক থেকে উঠিয়ে দিলে আবার এসে বসে। তার পরও বাজারের যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১০ জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হকারদের জন্য বাজারে নির্ধারিত হকার্স মার্কেট আছে। কিন্তু তারা নিজেদের দোকান ভাড়া দিয়ে সড়কে এসে বসেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বহুবার তাদের জরিমানা করা হলেও পরিবর্তন আসেনি। তবে হকারদের জায়গা দেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ একটি মার্কেট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত