Ajker Patrika

আসবাবের দোকানে কাজ করে স্বাবলম্বী তরুণেরা

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ০৯: ২৯
Thumbnail image

আগৈলঝাড়ায় কাঠের আসবাবপত্র বা ফার্নিচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেক তরুণ এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে কাঠের আসবাবের দোকানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে কাঠের নানা ধরনের কাজ করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে তরুণদের।

উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় দেড় শতাধিক কাঠের আসবাবের দোকান রয়েছে। অধিকাংশ দোকানের অবস্থান গৈলা রথখোলা বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা সদর, নীমতলা, সাহেবেরহাট, ছয়গ্রাম, পয়সারহাট, বড়মগড়া, জোবারপাড়, কাঠিরাসহ বিভিন্ন স্থানে। দোকানগুলোতে তৈরি হচ্ছে কারুকার্যখচিত বিভিন্ন ধরনের খাট, আলনা, শোকেস, চেয়ার-টেবিল, ডাইনিং টেবিল ইত্যাদি। দামও মধ্যবিত্তদের মোটামুটি নাগালের মধ্যে।

কাঠ মিস্ত্রি আয়নাল হোসেন জানান, আসবাব তৈরিতে যে কাঠ প্রয়োজন স্থানীয় এলাকা গুলোতেই সেগুলো পাওয়া যায়। আসবাব তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে রেইন ট্রি, মেহগনি, কড়াই, সেগুন, গজারী, জাম, আম ও কাঁঠাল প্রভৃতির কাঠ।

তবে ফার্নিচারের দোকান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান পরিবেশবাদী কাজল দাশ গুপ্ত। বিশেষ করে গাছ বড় এবং পরিপক্ব হওয়ার আগে অনেকেই তা কেটে আসবাব তৈরি করছেন।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গাছ লাগানো প্রয়োজন। গাছ প্রতিটি পরিবারের জন্য সম্পদ। বৃক্ষ রোপণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্রাম বাংলায় গাছ রোপণ করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক গাছ পরিপক্ব হওয়ার পূর্বেই কেটে ফেলা হচ্ছে।

গৈলা গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি লিটু সরদার বলেন, ‘আমি এক সময় বেকার ছিলাম। কাঠের আসবাবের দোকানে মিস্ত্রির কাজ শেখার জন্য ১০ বছর আগে একটি দোকানে বিনা বেতনে কাজ শুরু করি। এরপর আমি কাঠের ফার্নিচারের কাজ শিখে নিজেই বাড়িতে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। আমার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রতিদিন দশ জন লোক কাজ করছে। আর আমি অবসরে বাইরের কয়েকটি দোকানে বার্নিশের কাজ করছি। বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী।’

গৈলা রথখোলা বাসস্ট্যান্ডের ফার্নিচার ব্যবসায়ী পলাশ বৈদ্য বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে কৃষি কাজের পর অন্যতম পেশা হচ্ছে কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসা ও কাঠ মিস্ত্রির কাজ। দিন যত যাচ্ছে কাঠের ফার্নিচারের কদর ততই বাড়ছে। স্টিলের আসবাবপত্রের চেয়ে কাঠের আসবাবের মান ভালো। আমাদের এলাকার কাঠের ফার্নিচারের দেশের বিভিন্ন স্থানে সুনাম রয়েছে। দামও তুলনামূলক কম হওয়ায় চাহিদাও বাড়ছে দ্রুত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত